পাত্তাই পেল না থাইল্যান্ড, ফাইনালে বাংলাদেশ

পাত্তাই পেল না থাইল্যান্ড, ফাইনালে বাংলাদেশ

 

বঙ্গবন্ধু কাপ ২০২৪ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। আজ রোববার (২ জুন) মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দিনের প্রথম সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডকে ৩টি লোনাসহ ৪১-১৮ পয়েন্ট ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপার মঞ্চে জায়গা করে নেয় লাল-সবুজের দল। এর মধ্য দিয়ে মর্যাদার বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডিতে টানা চতুর্থবারের মতো ফাইনালে জায়গা করে নিল দলটি। আজ খেলার প্রথমার্ধে বিজয়ী দল ২৩-০৮ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে ছিল।

শেষ চারের লড়াইয়ে দারুণ ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতে নেন বাংলাদেশের তারকা রেইডার অধিনায়ক আরদুজ্জামান মুন্সি। প্রতিপক্ষের কাছ থেকে আরদুজ্জামান একাই তুলে আনেন মূল্যবান ১১টি পয়েন্ট। সেমিফাইনালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ম্যাচসেরার হাতে পুরস্কার তুলে দেন জাতীয় সংসদের হুইপ সানজিদা খানম, এমপি এবং দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম।

কাকতালীয়ভাবে গত আসরের দুই সেমিফাইনালিস্ট এবারো পস্পরের বিরুদ্ধে আজ মুখোমুখি হয়। অভিন্ন প্রতিপক্ষের ম্যাচের ফলাফলও অভিন্ন। শুধু পার্থক্যে ভেন্যুতে। গত বছর বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল থাইল্যান্ড। পল্টনের শহীদ নূর হোসেন ভলিবল স্টেডিয়ামে সেদিন থাইল্যান্ডকে ৪৫-২৬ পয়েন্ট ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল বাংলাদেশ।

আজ ম্যাচের শুরুতেই বাজিমাত বাংলাদেশের। খেলার মাত্র ১২ সেকেন্ডেই বোনাসসহ থাইল্যান্ডের কাছ থেকে ৪ পয়েন্ট তুলে আনেন আরদুজ্জামান। খেলার ষষ্ঠ মিনিটে প্রথম লোনা অর্জন বাংলাদেশের। এ সময় ১০-১ পয়েন্ট এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। ১৯ মিনিটে ম্যাচের দ্বিতীয় লোনা বাংলাদেশের। আরদুজ্জামান, মিজানুররা এগিয়ে ছিল ২৩-৭ পয়েন্ট ব্যবধানে। প্রথমার্ধে বাংলাদেশের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি থাইল্যান্ড।

প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধেও বাংলাদেশের সামনে অসহায় আত্মসমর্পন থাইল্যান্ডের। খেলার ২৮ মিনিটে তৃতীয় লোনা (৩৪-১২ পয়েন্ট এগিয়ে বাংলাদেশ) তুলে একচেটিয়া ম্যাচ জয় স্বাগতিকদের। খেলাশেষে ম্যাচসেরা বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেন, চতুর্থবারের মতো আমি বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডিতে খেলছি। প্রথম আসরে তিনবার ম্যাচসেরা, দ্বিতীয় আসরে একবার, তৃতীয় আসরে ম্যাচসেরা না হলেও এবার চতুর্থবার আসরে ৬ ম্যাচের মধ্যে ২ বার ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছি। আসলে আমি সেরা হয়েছি এটা বড় কথা নয়। দল সেমিফাইনালে জিতে ফাইনালে উঠেছে এটাই আমার সবচেয়ে বড় পুরস্কার। সেমিফাইনালেও মতো ফাইনালেও আমরা জিততে চাই। দেশকে আরেকবার শিরোপা রঙে রাঙাতে চাই।

বাংলাদেশের কোচ আব্দুল জলিল বলেন, আমি গতকালই বলেছিলাম থাইল্যান্ডকে হারিয়ে আমরা ফাইনালে যেতে চাই। ছেলেরা দারুণ খেলে আজ সেই উপলক্ষ এনে দিয়েছে। ছেলেদের পারফরম্যান্সে আমি সন্তুষ্ট। ওরা শুধু আজ সেমিফাইনালেই নয়; পুরো টুর্নামেন্ট অর্থাৎ গ্রুপপর্ব থেকে সেমিফাইনাল ৬ ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেছে। গত তিন আসরে চ্যাম্পিয়ন হলেও এবারের দলটাকে আমি বলব সবচেয়ে দুর্দান্ত।

সম্পর্কিত খবর