কোর্তোয়ার সঙ্গে কোচের বিবাদ, সমাধান চায় বেলজিয়ান ফুটবল
সপ্তাহখানেক আগে আসছে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য ২৫ সদস্যের দল ঘোষণা করে বেলজিয়াম ফুটবল দল। সেই দলে তাদের তারকা গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়াকে রাখেননি বেলজিয়ান কোচ ডোমেনিকো তেদেসকো। এতেই শুরু হয় আলোচনা। একই সঙ্গে কোর্তোয়া ও তেদেসকো সম্পর্কের অবনতি ঘটে আরও খানিকটা। তবে তাদের এই সম্পর্কের টানাপোড়নের অবসান চায় বেলজিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। বেলজিয়ানদের হয়ে এমনটাই জানিয়েছেন তাদের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ফ্রাঙ্ক ফেরকাউটেরেন।
চোটের কারণে প্রায় পুরো মৌসুম মাঠের বাইরের থাকলেও শেষ দিকে ফিরে লা লিগায় রিয়ালের মৌসুমের শেষ চারটি ম্যাচে গোলপোস্টের দায়িত্ব পান কোর্তোয়া। পরে লুনিন জ্বরে ভোগায় চ্যাম্পিয়নস লিগের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। সেখানে ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে জিতে টুর্নামেন্টের ১৫তম শিরোপা জেতে লস ব্লাঙ্কোসরা। সেখানে গোলপোস্টে দারুণভাবে সামলান এই বেলজিয়ান তারকা গোলরক্ষক। এতেই সেই আলোচনা আরও চাউর হয়ে উঠে কেন বেলজিয়ানদের দলে নেই কোর্তোয়া।
তেদেসকো দল ঘোষণা করেছে ২৫ জনের। সেখানে আরও একজন বাড়ানোর সুযোগ আছে। এমনকি আগামী শুক্রবার পর্যন্ত স্কোয়াডে পরিবর্তনও আনতে পারবে দলগুলো। তবে তেদেসকো তার সিদ্ধান্তে অটল এবং কোর্তোয়াকে ফেরানোর আর সুযোগ নেই বলে জানান ফেরকাউটেরেন।
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে এই বিষয়টি পরিষ্কার করে ফেরকাউটেরেন বলেন, ‘দুর্ভাগ্য হলেও তাকে (কোর্তোয়া) ছাড়াই আমরা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ খেলব। তাই সেসবে (কোর্তোয়ার সঙ্গে কোচের মনোমালিন্যের বিষয়ে) মনোযোগ না দেওয়াই ভালো। সম্পর্ক ঠিক করার কাজ ফেডারেশনের এবং এটা করতেই হবে।’
চোটে ফেরার কোর্তোয়ার মান নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন তোলেননি ফেরকাউটেরেন। ‘আমরা তার মান নিয়ে কখনো সন্দেহ করিনি বা সে ফিট থাকবে না এটা নিয়েও ভাবিনি। তাই এসব আলোচনা বন্ধ করতে হবে।’
তেদেসকোর সঙ্গে কোর্তোয়ার সম্পর্কের অবনতি শুরু মূলত গত বছরের জুনে, এই ইউরোর বাছাইপর্ব চলাকালে। অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে তাদের অধিনায়ক কেভিন ডি ব্রুইনা খেলতে না পারায় রোমেলু লুকাকুকে অধিনায়ক করেন বেলজিয়ান কোচ। যা ভালোভাবে নেন নি কোর্তোয়া। এতেই পরের ম্যাচ এস্তোনিয়ার বিপক্ষে খেলবেন না জানিয়ে দলের ক্যাম্প ছাড়েন তিনি। ঝামেলার মূল শুরু সেখানেই। এমন কাণ্ডের জন্য পরে অবশ্য ক্ষমা চেয়েছিলেন কোর্তোয়া। তবে এর পরই লম্বা সময়ের জন্য চোটে পড়ায় সেই ঝামেলার সমাধাও পরে আর হয়নি।