ইউরো ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় বনে গেলেন লামিন
প্রশ্নটা সরাসরি গিয়েছিল লুকা মদ্রিচের কাছে। ৩৮ বছর বয়সী ক্রোয়াট এই তারকা যখন ২০০৬ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো ক্রোয়েশিয়ার হয়ে কোনো মেজর টুর্নামেন্টে খেলছেন, স্পেনের তরুণ তুর্কি লামিন ইয়ামালের যে তখনও জন্মই হয়নি!
মদ্রিচ এবারও ইউরোয় আছেন। এই ইউরোয় তার দল ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষেই মেজর টুর্নামেন্ট অভিষেক হচ্ছে ইয়ামালের। এতে মদ্রিচের প্রতিক্রিয়া, ‘এসব কথা বলবেন না তো! এসব শুনলে মনে হয় বুড়ো হয়ে গেছি!’
এরপরই সিরিয়াস হয়ে একগাদা প্রশংসা করলেন লামিনের। বললেন, ‘সব দলই তাকে স্পেন দলে সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে দেখে। তার দারুণ প্রতিভা আছে। তার সামনে দারুণ একটা ভবিষ্যৎও পড়ে আছে।’
মদ্রিচের সঙ্গে বয়সের তুলনায় অর্ধেকেরও কম লামিন এবার অভিষিক্ত হচ্ছেন স্পেনের জার্সি গায়ে, তা পুরোনো কথা। তবে তাতে একটা রেকর্ডও গড়ে ফেলেছেন তিনি। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে প্রথম একাদশে তার থাকার খবরেই ইতিহাসটা গড়া হয়ে গেছে। ১৬ বছর ৩৩৮ দিন বয়সী লামিন বনে যাচ্ছেন ইউরোর ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়।
রেকর্ডটা গেল ইউরোতেই গড়েছিলেন পোল্যান্ডের খেলোয়াড় ক্যাসপার কোজলভস্কি। ১৭ বছর ২৪৬ দিন বয়সে অভিষেক হয়েছিল তার।
আজ যদি লামিন গোলও করে ফেলেন, তাহলেও যে তা রেকর্ড হবে, তা বলাই বাহুল্য। সেটা করে ফেলতে পারলে তিনি ভাঙবেন সুইস ফরোয়ার্ড ইয়োহান ভনলান্থেনের কীর্তি। ২০০৪ ইউরোয় ফ্রান্সের বিপক্ষে ১৮ বছর ১৪১ দিন বয়সে গোল করে রেকর্ডটা গড়েছিলেন তিনি।
বার্সেলোনার জার্সি গায়ে তার দারুণ একটা মৌসুম কেটেছে। যদিও ১৫ বছর বয়সে বার্সেলোনার হয়ে তার অভিষেক হয়েছিল তার আগের মৌসুমে। এরপর গেল সেপ্টেম্বরে স্পেন কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তে তাকে জাতীয় দলে প্রথম ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। ইউরো বাছাইপর্বে জর্জিয়ার বিপক্ষে গোল করে স্পেন ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতাও বনে গিয়েছিলেন তিনি।
এবার তার সামনে মিশন ইউরো। ক্লাব আর জাতীয় দলের হয়ে অনেক রেকর্ড গড়া লামিনের সামনে তাই হাতছানি আরও রেকর্ডের।