কানাডার বিপক্ষে জয়ের ব্যবধান বড় না হওয়ার আক্ষেপ মেসির

কানাডার বিপক্ষে জয়ের ব্যবধান বড় না হওয়ার আক্ষেপ মেসির

র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে অবস্থান আর্জেন্টিনার। বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। তার ওপর আর্জেন্টিনা কোপা মিশন শুরু করেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে। এমন দলের বিপক্ষে র‌্যাঙ্কিংয়ের ৪৮ নাম্বারে থাকা কানাডার ২-০ গোলে হারের ব্যবধানটাকে মন্দ বলার উপায় নেই। বরং জয়ের ব্যবধান বড় না হওয়ার জন্য আক্ষেপ করা উচিত আর্জেন্টিনার। ম্যাচ শেষে সেই আক্ষেপই শোনা গেল মেসির কণ্ঠে। সঙ্গে এটাও জানালেও কেন ব্যবধানটা আরও বড় হয়নি।

কোপার প্রথম ম্যাচে প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনাকে গোল বঞ্চিত রেখেছিল কানাডা। তাতে বাহবা পেতেই পারে তারা। তবে দিনশেষে হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদের। দ্বিতীয়ার্ধে যে তাদের দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছে আর্জেন্টিনা। তাদের কোনো রকম পাত্তাই দেয়নি আলবিসেলেস্তেরা। হেসেখেলে কানাডার বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা। আর এই জয়ের কোপা আমেরিকার মিশন শুরু হয়েছে আর্জেন্টিনার।

এদিন প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনার বেশ কিছু আক্রমণ প্রতিহত করে মুনশিয়ানা দেখিয়েছিল কানাডা। তাতে দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের আক্রমণে পরিবর্তন আনতে বাধ্য হয় আর্জেন্টিনা। জুলিয়ান আলভারেজকে উঠিয়ে লাউতারো মার্তিনেজ ও ডি মারিয়ার জায়গায় লো সেলসোকে মাঠে নামায় আর্জেন্টিনা। তাতেই বদলে যায় দৃশ্যপট। অবশ্য এই দুই ফুটবলার মাঠে থাকা অবস্থাতেই প্রথম গোলের দেখা পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা।

প্রথমার্ধে গোল বঞ্চিত থাকার কষ্ট দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই দূর করে আর্জেন্টিনা। ম্যাক অ্যালিস্টারের বাড়ানো বল নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে কানাডার সর্বনাশ করে আসেন ম্যানসিটির তরুণ বিশ্বকাপের সেরা উদীয়মান ফুটবলার আলভারেজ। ম্যাচ জয়ের রসদটা পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি আর্জেন্টিনাকে।

গোলের ব্যবধান বাড়াতে এরপর একটু পরপরই কানাডার রক্ষণের পরীক্ষা নিয়েছে আর্জেন্টিনা। তবে সেই পরীক্ষায় জবাবটা ভালো দিলেও ম্যাচের শেষ দিকে এসে ফের তালগোল পাকিয়ে ফেলে কানাডা। লাউতারো মার্তিনেজের গোলে ২-০ গোলে ম্যাচ হেরে বসে তারা। এরপরও আর্জেন্টিনার মতো দলের বিপক্ষে এটাকে খারাপ বলার উপায় নেই কানাডার।

তবে ব্যবধান বড় না হওয়ার দুঃখ আছে আর্জেন্টিনার। ব্যবধান বড় না হওয়ার কারণ হিসেবে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক মেসি বলেন, ‘আমাদের জন্য আজ জায়গা খুঁজে পাওয়া কঠিন ছিল। বেশির ভাগ প্রতিদ্বন্দ্বীই আমাদের চেয়ে ভিন্নভাবে খেলে থাকে। বলের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে ও এক পাশ থেকে অন্য পাশে নিয়ে যেতে আমাদের ধৈর্য ধরতে হয়েছে। আগামী ম্যাচগুলোতেও আমাদের ধৈর্য ধরে রেখে খেলা চালিয়ে যেতে হবে এবং সুযোগ এলেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে হবে।’

মেসি আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম কঠিন এক ম্যাচ হতে চলেছে। ওরা শরীরী ফুটবল খেলবে। প্রথমার্ধে খুব কম জায়গা পেয়েছি। সৌভাগ্যক্রমে আমরা দ্বিতীয়ার্ধে দ্রুত লক্ষ্য খুঁজে পেয়েছি। তারপরও কাজটা কঠিন ছিল।’

আর্জেন্টিনার পরের ম্যাচ আগামী বুধবার চিলির বিপক্ষে।

সম্পর্কিত খবর