ভাঙা নাক নিয়ে প্রস্তুত এমবাপে, নাক গলাচ্ছে উয়েফা
কদিন আগেই এক সাক্ষাৎকারে এমবাপে বলেছেন, তার কাছে বিশ্বকাপের চেয়েও কঠিন ইউরো জেতা। তার এমন কথা বলার কারণও আছে। ক্যারিয়ারে একটি বিশ্বকাপ ও একটি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেললেও ইউরো জেতা হয়নি তার। এমবাপের এই কথায় আরেকটা বার্তা পরিষ্কার; এইবার ফ্রান্সের হয়ে ইউরোর স্বাদ নিতে চান তিনি। সেই স্বাদ পেতে এমবাপে কতটা মরিয়া সেটা বুঝা যায়, প্রথম ম্যাচে অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে নাক ফাটার পরও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচের আগে তার অনুশীলনে নামা দেখে। তবে সমস্যা হলো এমবাপের সেই অনুশীলন ও মাঠে নামার প্রস্তুতি নিয়ে নাক গলাচ্ছে উয়েফা।
নাক ফেটে যাওয়ার পরও এমবাপেকে আপাতত অস্ত্রোপচার করাতে না হলেও বিশেষ প্রতিরক্ষামূলক মাস্ক পরতে হচ্ছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী সেই মাস্ক পরে অনুশীলনও শুরু করেছেন এমবাপে। ভাবা হচ্ছিল এই মাস্ক পরেই হয়তো নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচে মাঠে নামবেন তিনি। তবে সেটা যে সম্ভব নয় তাই জানিয়ে দিয়েছে উয়েফা। অবশ্য এমবাপেকে মাস্ক পরতে কোনো বাধা দেয়নি উয়েফা।
এক্ষেত্রে যত সমস্যা দেখা দিয়েছে এমবাপের মাস্কের রং, নাম ও লগো নিয়ে। যা নিয়ে আপত্তি আছে উয়েফার। ফুটবলারদের মাস্ক পরা নিয়ে তাদের প্রবিধানে বলা আছে, চিকিৎসা সরঞ্জাম হিসেবে যে কেউই এই মাস্ক পরতে পারবে। তবে সেটাকে অবশ্যই হতে হবে এক রঙের। যেখানে থাকতে পারবে না কোনো দল প্রস্ততকারক বা কোনো ব্যক্তি বিশেষের নাম।
এমবাপে মূলত, এই নিয়মেই ফেঁসে গেছেন। অনুশীলনে যেই মাস্ক পরে দেখা গেছে এমবাপেকে সেটা তিন রঙের। যা ফ্রান্সের পতাকার আদলে তৈরি। শুধু তাই নয়; সেখানে ফ্রান্সের ফুটবল ফেডারেশনের লগোও আছে। যাতে আবার এমবাপের নামের দুই অক্ষর কেএম লেখা। যা উয়েফার নিয়মের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। স্বাভাবিকভাবেই তাই এমবাপেকে এ ম্যাচে খেলতে হলে মাস্ক পরিবর্তন করতে হবে। এক রঙা মাস্ক পরে মাঠে নামতে হবে।
তবে সমস্যা হলো, এমবাপে খেলবেন কিনা; সেটাই নিশ্চিত নয়। কেননা, যেই চোটে তিনি পড়েছেন; তাতে তাকে নিয়ে হয়তো খুব বেশি রিস্ক নিতে চাইবে না ফ্রান্স। টুর্নামেন্টের বাকি অংশে এমবাপের সার্ভিস পেতে অতি প্রয়োজন ছাড়া তাকে বিশ্রাম দেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।