সাকিবকে ফের শেবাগের খোঁচা, আবারও নিতে বললেন অবসর
‘গত বিশ্বকাপেই আমার এমন মনে হয়েছে, ওকে আর টি-টোয়েন্টিতে খেলানো উচিত নয়। অনেক আগেই ওর অবসর নেওয়ার সময় হয়েছে। তুমি এত সিনিয়র ক্রিকেটার, নিজে লম্বা সময় অধিনায়ক ছিলে, তোমার পরিসংখ্যানের অবস্থা এমন, সাকিবের নিজেরই তো লজ্জা পাওয়া উচিত। নিজেরই বলা উচিত, আমি এই সংস্করণ থেকে অবসর নিচ্ছি।’ এমন আক্রমণাত্মক মন্তব্যটি সাকিব আল হাসানকে নিয়ে ভারতের সাবেক ক্রিকেটার বীরেন্দর শেবাগের। গ্রুপপর্বে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে ব্যাটে-বলে সাকিবের নিষ্প্রভ পারফর্মের পর এই মন্তব্য করেছিলেন তিনি। এবার সুপার এইটে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের পর সাকিবকে খোঁচা দিলেন শেবাগ, ফের নিতে বললেন অবসর।
ডাচদের বিপক্ষে রানে ফিরলেও সবশেষ তিন ম্যাচে ফের ব্যাট হাতে বিবর্ণ সাকিব। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে সাকিব যখন পিচে আসেন তখন জয়ের জন্য ৫৩ বলে প্রয়োজন ১২১ রান। যা বেশ কঠিন হলেও ধরাছোঁয়ার মধ্যেই ছিল। তবে সেখানে আক্রমণাত্মক খেলার বিকল্প কিছু ছিল না। সাকিবও বেছে নিয়েছিলেন সেই পথই। ১৩তম ওভারে কুলদীপ যাদবের দ্বিতীয় বলে হাঁকালেন ছক্কা, তবে পরের বলেই ফিরলেন রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়ে। খেলেন ৭ বলে ১১ রানের এক ইনিংস। দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের থেকে এমন কিছু আশা করা যায় না বলে জানান শেবাগ। এতেই সাকিবকে নিজের জায়গা ছেড়ে কোনো তরুণ ক্রিকেটারকে সুযোগ করে দেওয়ার কথা বললেন তিনি।
গতকালের বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের পর ক্রিকবাজে ম্যাচ বিশ্লেষণী আলাপচারিতায় শেবাগ বলেন,আপনার সঙ্গে যখন একজন ব্যাটসম্যান খেলছে, তখন তাকে সঙ্গ দিন। ম্যাচটা গড়ে তোলার চেষ্টা করুন। কিন্তু আপনি ১১ রান করে চলে গেলেন! এত অভিজ্ঞতা থাকার পরও সে (সাকিব) কেন যে সেটি ব্যবহার করে না আমি সেটাই বুঝতে পারি না। এমন নয় যে তাকে প্রতি বলে ছক্কা মারতে হবে। সে তার অভিজ্ঞতার ব্যবহার করে না। এজন্য আমি আগেরবার বলেছিলাম, সাকিব আল হাসানকে নতুন কোনো ক্রিকেটারের জন্য জায়গা ছেড়ে দেওয়া উচিত।’
এই ম্যাচেই অবশ্য রেকর্ড বনে গেছেন সাকিব। ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মার উইকেট তুলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম কোনো বোলার হিসেবে ৫০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনেও এসেছিলেন তিনিই। সেখানেও এলো অবসরের প্রশ্ন। সেটাকে শেবাগের মন্তব্যের জবাব ঠিক বলা না গেলেও অবসরের বিষয়টি পরিষ্কার করে দিলেন সাকিব। ‘যদি খেলার আগ্রহটা হারিয়ে ফেলি, আমি আর খেলাটা উপভোগ না করি, তাহলে আর খেলব না।’