ম্যাচ জিতলেও বিবেকের কাছে হেরে যেতাম: মাশরাফি
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার হাতছানি ছিল। আফগানদের দেওয়া ১১৫ রান ১২.১ ওভারে তাড়া করতে পারলেই হতো দেশের ক্রিকেটে নতুন ইতিহাস। তবে শেষ পর্যন্ত সেটি হয়নি বাংলাদেশের ব্যাটারদের দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ের কারণে। সেমিফাইনালে খেলতে যেই মেজাজে ব্যাট করতে হতো বাংলাদেশকে সেটা দেখা যায়নি কারোর মাঝেই।
উল্টো, সেমির রেস থেকে ছিটকে যাওয়ার পরও সহজ ম্যাচ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। নাজমুল শান্তর দলকে যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখালেন আফগানিস্তান। কীভাবে লড়াই করতে হয়। দেশকে বিশ্বমঞ্চে প্রতিনিধিত্ব করতে হয়। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের এমন ব্যাটিং দেখে বিস্মিত হয়েছেন সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তার মতে, এই ম্যাচে জয় পেলেও বিবেকের কাছে হেরে যেত বাংলাদেশ।
বাংলাদেশি ব্যাটারদের ইনটেন্ট নিয়ে মাশরাফি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হতাশা নিয়ে বলেন, লিটনের ইনটেন্ট আর নন স্ট্রাইকারের নীরবতা দেখে বোঝা যায় ক্লিয়ার কোন ম্যাসেজ ব্যাটিং ইউনিটের কাছে ছিলোনা। আর যদি থেকেই থাকে তাহলে প্রতি এক বা দুই ওভার পরপর চেঞ্জ হয়েছে। যেটা শেষমেশ এমন যায়গায় দাঁড়িয়েছে যে স্রেফ ম্যাচটা জেতা।
অথচ আজকের হিসাবটা ছিল শুধুই ১২.১। এর বাইরে কিছুই ভাবার সুযোগ ছিলোনা। তাতে যদি ৫০ রানেও দল অল আউট হতো অন্তত সবাই সেটা সহজ ভাবে নিতো।
আর যদি এই ম্যাচ জিততাম, তাও বিবেকের কাছে হেরে যেতাম। এ ম্যাচ আর দশটা ম্যাচের মতো ছিলোনা আমাদের জন্য, এটা ছিল ইতিহাস গড়ার সমান। এরপরও অবশ্যই আশা দেখি বা দেখবো ইনশাল্লাহ। হয়তো কোন একদিন ……
অভিনন্দন আফগানদের। কি দারুণ তাদের শারীরিক ভাষা, শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাওয়া এবং শেষে তাদের সেলিব্রেশন। নিশ্চয় কাবুল এখন কাঁপছে।
বাংলাদেশ দলের ইনটেন্ট যে জয়ের ছিলো না সেটা পরিষ্কার হয়েছে নাজমুল শান্তর কথাতেও। যেটা নিয়ে ম্যাচ শেষে শান্ত বলেন, ‘পরিকল্পনাটা এমন ছিল যে আমরা প্রথম ৬ ওভার চেষ্টা করব। পরিকল্পনা ছিল, যদি আমরা ভালো শুরু করি, দ্রুত উইকেট যদি না পড়ে, তাহলে আমরা সুযোগটা নেব। কিন্তু যখন আমাদের দ্রুত ৩ উইকেট পড়ে গেল, তখন আমাদের পরিকল্পনা ভিন্ন ছিল—যেন আমরা ম্যাচটা জিততে পারি।’