জ্বর-গলাব্যথার সঙ্গে মেসি পেলেন চোটও
শেষ অনেক দিন ধরেই ছোটোখাটো চোট পথ আগলে দাঁড়াচ্ছে লিওনেল মেসির। ইন্টার মায়ামিতে দু’দিন পরপরই চোটের কারণে মাঠের বাইরে চলে যাচ্ছেন। এবার আর্জেন্টিনার হয়ে কোপা আমেরিকার মিশনে নেমেছেন তিনি। এখানেও চোট পিছু ছাড়ছে না তার।
আর্জেন্টিনার সংবাদ মাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস অবশ্য জানাচ্ছে, মেসি এই ম্যাচে পুরোপুরি ফিট ছিলেনই না। এরপরও খেলেছেন ম্যাচে। এরপর ম্যাচেও পেয়েছেন চোট। সব মিলিয়ে তাকে ঘিরে শঙ্কাই তৈরি হয়েছে আর্জেন্টিনায়।
কোপা আমেরিকায় এখন পর্যন্ত দুই ম্যাচ খেললেও মেসি গোলের দেখা পাননি। প্রথম ম্যাচে একটা অ্যাসিস্ট করেছিলেন বটে। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে এই অ্যাসিস্টের দেখাও পেলেন না তিনি। সুযোগ এসেছিল, দুর্ভাগ্যও অবশ্য তার পথ আগলে দাঁড়িয়েছিল। তার দূরপাল্লার শট গোলপোস্টে লেগে ফিরে এসেছে। আরও একবার সুযোগ পেলেও কাজে লাগানো হয়নি তার।
ম্যাচের ২৪ মিনিটে তিনি চিলির খেলোয়াড়দের কড়া ট্যাকলের মুখে পড়েন। এরপর থেকে ডান পায়ের উরুতে অস্বস্তি সৃষ্টি হয় তার। চিকিৎসকদের ডেকে মাঠেই চিকিৎসা নেন তিনি। তবে ম্যাচ খেলেছেন পুরোটাই।
টিওয়াইসি স্পোর্টস জানাচ্ছে, আপাতত দুশ্চিন্তার কিছু নেই। আজ স্থানীয় সময় বুধবার তার চোট কতোটা গভীর, তা জানতে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা হবে।
ম্যাচের পর মেসি আশা নিয়ে বলেছেন, চোট যেন বড় না হয়। তার ভাষ্য, ‘খেলাটা শেষ করতে পেরেছি, তবে একটু ভাবনা হচ্ছে। আশা করছি, এটা তেমন বড় কিছু না। জায়গাটা শক্ত হয়ে আসায় অস্বস্তির কারণে ঠিকমতো দৌড়াতেও পারছিলাম না। দেখি কী হয়!’
তবে এই ম্যাচের আগে শারীরিকভাবেও সুস্থ ছিলেন না মেসি। তিনি বলেন, ‘জ্বর গলাব্যথা আছে অনেক দিন ধরে। সম্ভবত এই কারণেও এই ম্যাচে একটু ভুগতে হয়েছে আমাকে।’
মেসির পরিস্থিতিটা কেমন? তা জানতে চাওয়া হয়েছিল আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনির কাছে। জবাবে তিনি বলেছেন, ‘লিওর সঙ্গে কথা হয়নি এখনও। আমি বলতে পারছি না সে কেমন আছে।’