বাঁচামরার ম্যাচে মুখোমুখি ব্রাজিল-প্যারাগুয়ে
কোস্টারিকার বিপক্ষে কোপা আমেরিকার প্রথম ম্যাচে জয় পায়নি ব্রাজিল। গোল শূন্য ড্র’য়ে পয়েন্ট ভাগ করতে হয়েছে ব্রাজিলকে। তাতে করে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচটিতে জিততেই হবে ব্রাজিলকে। নাহলে কোয়ার্টার ফাইনাল নিয়ে তৈরি হবে অনিশ্চয়তা। সেই শঙ্কা দূর করতে শনিবার সকাল ৭টায় প্যারাগুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামছে সেলেসাওয়রা। এদিকে গ্রুপপর্বের প্রথম ম্যাচে কলম্বিয়ার বিপক্ষে হেরে যাওয়ায় টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই প্যারাগুয়ের সামনেও। এ ম্যাচে তাই ব্রাজিলকে মরণকামড়টাই বসাতে চায় প্যারাগুয়ে।
ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যাচের আগে প্যারাগুয়েকে অবশ্য স্বপ্নবাজ করছে কোপায় ব্রাজিলের বিপক্ষে তাদের পারফরম্যান্স। ২০১১ কোপা আমেরিকায় দু’বার ব্রাজিলকে রুখে দিয়েছিল প্যারাগুয়ে। এরপর ২০১৫ কোপা আমেরিকাতেও একই হাল। পরে সেই ম্যাচে টাইব্রেকারে ব্রাজিলকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে দিয়েছিল প্যারাগুয়ে। সবশেষ ২০১৯ কোপা আমেরিকাতেও ব্রাজিলকে আটকে দিয়েছিল প্যারাগুয়ে। পরে টাইব্রেকারে জয় পেতে হয়েছিল ব্রাজিলকে।
যদিও এরপর দু’বার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে প্যারাগুয়েকে বড় ব্যবধানে হারানোর সুখস্মৃতি রয়েছে ব্রাজিলের। তবে কোপায় ব্রাজিলকে আটকে দেওয়ার ইতিহাসটা থাকায় প্যারাগুয়েকে নিয়ে দুশ্চিন্তা করতেই হচ্ছে ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়রকে। তাছাড়া ব্রাজিলের আক্রমণ ভাগও বাড়াচ্ছে দুশ্চিন্তা। সবশেষ ম্যাচে একের পর এক আক্রমণ করেও শেষ পর্যন্ত গোলের দেখা পায়নি ব্রাজিল। যা দিনশেষে তাদের পয়েন্ট ভাগ করার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এ ম্যাচে গোল আদায় না করতে পারলে বড় বিপদেই পড়তে হবে ব্রাজিলকে।
দরিভাল অবশ্য ভরসা রাখছেন দলের ফুটবলারদের উন্নতিতে। ম্যাচের আগে তিনি বলেন, ‘আমাদের বুঝতে হবে, এটা পরিবর্তনের সময়, পালাবদলের সময়। একটা দল রাতারাতি তৈরি করা যায় না… এটা সহজাত প্রক্রিয়া। স্রেফ সবশেষ ম্যাচ নয়, প্রতিটা ম্যাচে দল নেতিবাচকতার চেয়ে ইতিবাচকতা বেশি দেখাচ্ছে। এটা স্বাভাবিক যে আমরা সবাই গত ম্যাচের (কোস্টারিকার বিপক্ষে) ভিন্ন ফল প্রত্যাশা করেছিলাম। তবে আমরা যেভাবে পারফর্ম করেছি, এর প্রশংসা না করে পারা যায় না।’