এটিই সবচেয়ে বাজে বিশ্বকাপ, মানলেন সাকিবও
কত আশা নিয়েই না এবার ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিল, দল অন্তত সেমিফাইনালে খেলবে। এই প্রত্যাশায় ছিল ১৭ কোটি মানুষ। আফগানিস্তানকে দাপটের সঙ্গে হারিয়ে উড়ন্ত সূচনা করে ভালো কিছুর আভাসও দিয়েছিলেন সাকিবের দল। কিন্তু প্রথম ম্যাচের পর একের পর এক হারের মুখ দেখতে থাকে সাকিবরা। পরপর পাঁচ ম্যাচ পরাজয়ের শিকার হয়ে সেমির স্বপ্ন এখন আর নেই।
গতকাল (শনিবার) কলকাতায় নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষের ম্যাচটি জেতা বাধ্যতামূলক ছিল। পরপর চার ম্যাচ বড় দলগুলোর সাথে হারার পরও সবাই অনেকটাই নির্ভার ছিল যে ডাচদের বিপক্ষে জয় আসবে। খুব স্বাভাবিকভাবেই দলীয় শক্তি সামর্থ্য ও অভিজ্ঞতার আলোকে ডাচদের চেয়ে ঢের এগিয়ে বাংলাদেশ, তাই এই জয়ের আশা করেছিল সকলেই। কিন্তু এই ম্যাচেও তিক্ত হারের স্বাদ পেতে হলো দল এবং পুরো দেশবাসীকে।
সবশেষ চার বিশ্বকাপের প্রতিটিতেই ৩টি করে ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। এবারের আসরে ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে সাকিবদের ৬ ম্যাচ। জয় এসেছে কেবল একটি। এই প্রেক্ষিতে এটি সবচেয়ে বাজে বিশ্বকাপ কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, “হ্যাঁ। আপনি নির্দ্বিধায় এটা বলতে পারেন এবং আমি দ্বিমত করব না এটায়।”
নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে শোচনীয় হার। সাকিবদের পরের ম্যাচ কলকাতাতেই। পাকিস্তানের বিপক্ষে। এই মুহূর্তে দলের ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাইলে সাকিব বলেন, “এই মুহূর্তে আমাদের প্রতিপক্ষ নিয়ে আর ভাবার সুযোগ নেই। আমাদের শুধু নিজেদের খেলাটা খেলতে হবে, মনোবল ধরে রাখতে হবে। আর কোনো সুযোগ নেই।”
পয়েন্ট টেবিলের নবম স্থানে আছে বাংলাদেশ, যেখান থেকে আর কোন আশা বাকি নেই বলেছেন সাকিব। তবে বাকি ম্যাচগুলো জিতে আর একটু যদি ভাল করা যায় আপাতত সেটিই চান তিনি। ২০২৫ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার সুযোগ পেতে হলে বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সও প্রভাব রাখে তার উপর। এই বিষয়ে সাকিব বলেন, “র্যাঙ্কিংয়ে আটের ভেতর থাকতে হবে যদি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে হয়। এখনো তিনটা ম্যাচ আছে। যদিও আমি আগেই বলেছি, এই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানো খুবই কঠিন আমাদের জন্য। আসলে খেলা শেষ হওয়ার আগে তো কিছু বলা যায় না। আমাদের চেষ্টা করতে হবে এবং এই ১৫ জনকেই চেষ্টা করতে হবে যেন আমরা এই পরিস্থিতি কিছুটা বদলাতে পারি। আমি আবারও বলছি এটা খুবই কঠিন। কিন্তু চেষ্টা করা ছাড়া আর উপায় নেই।”