এক বিশ্বজয়ীর শেষ, আরেক বিশ্বজয়ীর শুরু
মেসির অষ্টম ব্যালন ডি’অরের সংবাদ এই মুহূর্তে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা, যেটা নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকার কথা না। মেসির ২০২২-২৩ মৌসুমের ব্যালন ডি’অর জেতায় যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে সেটা ‘বিশ্বকাপ’। ঠিক একই কারণে প্যারিসে এদিন আরো একজনের হাতে উঠেছে ব্যালন ডি’অর। নামটা আইতানা বোনমাতি। যিনি গেলো রাতেই জিতেছেন ব্যালন ডি’অর ফেমিনি।
২৫ বছর বয়সী স্প্যানিশ এই মিডফিল্ডার জিতেছেন ক্যারিয়ারের প্রথম ব্যালন ডি’অর। মাঠ এবং মাঠের বাইরে পার করছেন স্বপ্নের মতো বছর। দেশের হয়ে চলতি বছরের আগস্টেই দেশকে জিতিয়েছিলেন প্রমিলা বিশ্বকাপ। তার ক্লাব বার্সেলোনাকে জিতিয়েছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ এবং স্প্যানিশ সুপার কাপ। পুরো মৌসুমে জাতীয় দল এবং ক্লাবের হয়ে ৩৭ ম্যাচে গোল করেছেন ১৯টি। সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ২১টি।
শুধু ব্যালন ডি’অর-ই নয়। গোল্ডেন বল জিতেছেন সবশেষ নারী বিশ্বকাপেও। করেছিলেন তিন গোল, করিয়েছিলেন দুটি। ক্লাব ফুটবলে বার্সাকে জিতিয়েছেন ক্লাব ইতিহাসের দ্বিতীয় চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা। যেটাতে হয়েছিলেন টুর্নামেন্ট সেরা। করেছিলেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঁচ গোল; সঙ্গে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ আট অ্যাসিস্ট। হয়েছিলেন উয়েফার বর্ষসেরা নারী ফুটবলারও।
নিসন্দেহে মেসি তার শেষ ব্যালন ডি’অর জিতেছেন। একই মঞ্চে আইতানা জীবনের প্রথমবার। মেসি থেকে অনুপ্রেরণা নিশ্চয়ই নিতেই চাইবেন। অবশ্য সেটা কে না চাইবে? তার ওপর আইতানার সাথে মেসির যে অনেক মিল! দুজনেরই তারকা হয়ে ওঠা এবং মনে প্রাণে ধারণ করা ক্লাবটার নাম যে এফসি বার্সেলোনা। তার ওপর দুজনই যে বিশ্বজয়ী।