এমন ‘সার্কাস’ জীবনেও দেখেননি মাসচেরানো

এমন ‘সার্কাস’ জীবনেও দেখেননি মাসচেরানো

ভিএআরের জন্য এমন দীর্ঘ অপেক্ষা আর কোনো ম্যাচ কি দেখেছে? উত্তরটা নেতিবাচক হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। গতকাল অলিম্পিক ফুটবলে আর্জেন্টিনা-মরক্কোর ম্যাচ তাই দেখেছে। গোলের প্রায় ২ ঘণ্টা পর বাতিল হয়েছে সেটা, যার ফলে ম্যাচটা ২-১ গোলে হারেছে আকাশী সাদারা। ম্যাচ শেষে তো কোচ হাভিয়ের মাসচেরানো বলেই ফেললেন, এমন সার্কাস জীবনেও দেখেননি তিনি। 

কোচ মাসচেরানো এই অলিম্পিককে লক্ষ্য করেই তার অনূর্ধ্ব ২৩ দলটাকে গোছাচ্ছেন বহু দিন ধরে। এতটাই যে, লিওনেল স্কালোনিকেও খেলোয়াড় দিচ্ছিলেন না, পাছে সুরটা কেটে যায়!

তবে ম্যাচে ঠিকই তার দল খাবি খেয়েছে গতকাল। গতকাল রাতে সেঁত এতিয়েঁনে মরক্কোর মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা। দুই অর্ধে মরক্কোর সুফিয়ান রাহিমি জোড়া গোল করলে ২ গোলে পিছিয়ে পড়ে আর্জেন্টিনা। ৬৮ মিনিটে গিউলিয়ানো সিমিওনের গোলে ম্যাচে ফেরে দলটা। এরপর যোগ করা সময়ে মেদিনা মরক্কোর জালে বল জড়ান। 

তার ঠিক পর সমর্থকরা নেমে আসেন মাঠে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে শেষ বাঁশি না বাজিয়ে দুই দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে যাওয়া হয় ড্রেসিং রুমে। তখন বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছিল ম্যাচটা ২-২ গোলে ড্র হয়েছে। 

তবে আদতে তা হয়নি। পরিস্থিতি ঠাণ্ডা হলে ফাঁকা গ্যালারিতে ২ ঘণ্টা পর আবারও মাঠে গড়ায় ম্যাচটা। ভিএআর পরীক্ষার পর দেখা যায় মেদিনা গোলের আগে বাড়ানো বলটা রিসিভ করেছিলেন অফসাইডে থেকে। যার ফলে বাতিল হয় গোলটা। আর্জেন্টিনা ম্যাচ হারে ২-১ গোলে।

ম্যাচ শেষে মাসচেরানো বলেন, ‘আমি বুঝাতে পারব না কী হচ্ছিল। আমরা দেড় ঘণ্টা ড্রেসিং রুমে বসে ছিলাম। তারা আমাদের বলেনি আমাদের কী করতে হবে।’

‘মরক্কান অধিনায়কেরা খেলতে চায়নি, আমরা মাঠে নামতে চাইনি। দর্শকরা আমাদের দিকে জিনিসপত্র ছুঁড়ে মারছিল! এটা আমার দেখা সবচেয়ে বড় সার্কাস। আমি জানি না কেন তারা একটা খেলার রিভিউ করার জন্য ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট বসে ছিল।’

তবে এখন সামনের দিকে তাকাচ্ছেন মাসচেরানো। বললেন, ‘অভিযোগ করে লাভ নেই। এমন কিছু হোক তা চাইনি আমরা। এই পাতাটা উল্টে ফেলতে হবে আমাদের। ভালো বিষয়গুলোতে চোখ দিতে হবে। আমরা দুই জয় নিয়ে পরের রাউন্ডে যেতে চাই।’

সম্পর্কিত খবর