৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ভলিবল খেলোয়াড়দের

৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ভলিবল খেলোয়াড়দের

২০১৬ সালে প্রথমবার আন্তর্জাতিক ভলিবল চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা জিতে ইতিহাস রচনা করেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। জাতীয় পুরুষ দলের পাশাপাশি ২০২২ সালে বয়সভিত্তিক অনূর্ধ্ব-২৩ দলও একই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কীর্তি গড়ে। এই দুই শিরোপা জয়ের নায়করা ভলিবল কোর্ট ছেড়ে আজ সোমবার (১৯ আগস্ট) রাস্তায় নেমে এসেছেন। ঘুণে ধরা ভলিবল ফেডারেশনকে বাঁচাতে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার কাছে জানিয়েছেন আকুল আবেদন।

ফেডারেশন সংস্কারের লক্ষ্যে ১৯ দফা দাবি নিয়ে আজ পল্টনস্থ শহীদ নূর হোসেন জাতীয় ভলিবল স্টেডিয়ামের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেন খেলোয়াড়রা। এই মানববন্ধনে জাতীয় দলের বর্তমান খেলোয়াড় হরষিত বিশ্বাস, তানভীররা যেমন ছিলেন, তেমনি সাবেক খেলোয়াড় সোহেল, সাদ্দাম, কাঞ্চন, আমিরুল ইসলাম আপনসহ সকল স্তরের খেলোয়াড়রা অংশ নেন

দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত খেলোয়াড়রা ফেডারেশন সংস্কারের দাবিতে আজ জড়ো হন ভলিবল ফেডারেশন প্রাঙ্গনে। বর্তমান কমিটির নানান দুর্নীতি, অনিয়মের বিরুদ্ধে স্লোগানে স্লোগানে মুখর করে তোলেন ফেডারেশন পাড়া বলে পরিচিত গুলিস্তান-পল্টনের রাজপথ।

মানববন্ধন কর্মসূচিতেই থেমে থাকেননি ভলিবল খেলোয়াড়রা। বর্তমান কমিটির পদত্যাগ চেয়ে এবং অতিসত্বর অ্যাডহক কমিটি গঠন করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছে চিঠিও দিয়েছেন। বেঁধে দিয়েছেন ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম। ১৯ দফা দাবি পূরণ না হলে আরো বৃহত্তর কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন এই আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক সোহেল-সাদ্দামরা।

এ ব্যাপারে ভলিবল ফেডারেশন সংস্কার আন্দোলন কর্মসূচির প্রধান সমন্বয়ক জাতীয় দলের সাবেক তারকা মিডল ব্লকার সোহেল রানা বলেন, ‘আমরা ১৯ দফা দাবি নিয়ে আজ এখানে উপস্থিত হয়েছি। যেখানে আমাদের প্রথম এবং প্রধানতম দাবিই হচ্ছে বর্তমান কমিটির অর্থব সদস্যদের পদত্যাগ। আমরা চাই অতিসত্বর অ্যাডহক কমিটি গঠিত হোক। সাবেক খেলোয়াড়দের ৩০ ভাগ সেই কমিটিতে রেখে। আশা করি মাননীয় যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আমাদের যৌক্তিক ১৯ দফা দাবিগুলো দেখবেন এবং অতিসত্বর ব্যবস্থা নেবেন। কারণ দীর্ঘ যুগ-কাল ধরে আমরা খেলোয়াড়রা নানান সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত, নিপীড়িত, নিষ্পেশিত, বঞ্চিত।’

সোহেল রানার সুরে সুর মিলিয়ে জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় এবং সহ-সমন্বয়ক আব্দুল মুমিন সাদ্দাম জানান, ‘আজ সারা দেশ থেকে আমাদের এই আন্দোলনে খেলোয়াড়রা সামিল হয়েছেন। বিভিন্ন বাহিনীতে থাকা খেলোয়াড়রা সশরীরে উপস্থিত হতে না পারলেও, স্যোসাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ফেসবুকে তারা বিভিন্ন ভিডিও বার্তা দিয়ে আামাদের দাবির পক্ষে তাদের সমর্থন জানিয়েছেন।’

সম্পর্কিত খবর