বর্ণবাদের শিকার হলে মাঠ ছাড়বে রিয়াল মাদ্রিদ
খেলার মাঠে বর্ণবাদী মন্তব্যের ঘটনা দেখা গেছে বহুবার। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এই ধরণের ঘটনা বেশি দেখা যাছে, বিশেষ করে ক্লাব ফুটবলের ম্যাচগুলোতে। বর্ণবাদী মন্তব্যের শিকার হওয়াদের তালিকায় প্রথমেই আসে রিয়াল মাদ্রিদের ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিওরের নাম। একাধিকবার খেলা চলাকালীন বর্ণবাদী মন্তব্যের মুখে পড়তে হয়েছে ব্রাজিলিয়ান এই তারকা ফুটবলারকে।
স্পেনের লা লিগায় একাধিকবার প্রতিপক্ষ দলের সমর্থকদের বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছেন ভিনিসিয়ুস এবং পুরো রিয়াল মাদ্রিদই। গেল বছর ভ্যালেন্সিয়ার মাঠে ভিনির বর্ণবাদী আচরণের শিকার হওয়া নিয়ে বেশ তোলপাড়ও হয়েছিল, সে ঘটনার জন্য তিনজনের কারাদণ্ড হওয়া ছাড়াও কয়েকজন দর্শককে মাঠে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম সিএনএন ভিনিসিয়ুসের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘ক্লাবে আমরা বর্ণবাদ নিয়ে প্রায়ই কথা বলি। শুধু আমি নই, সব খেলোয়াড়ই বলেছে, এরপর এমন কিছু ঘটলে সবাইকে মাঠ ছাড়তে হবে। তাতে আমাদের অপমান করা লোকজনকে আরও বড় খেসারত দিতে হবে।’
বার্সেলোনা, মায়োর্কা, রিয়াল ভায়াদোলিদ ও সেভিয়ার মাঠেও একাধিকবার বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছেন ভিনিসিয়ুস। মাদ্রিদ ডার্বিতে আতলেতিকো মাদ্রিদের সমর্থকেরাও তাকে অনেক আজেবাজে ইঙ্গিত এবং কথা বলেছেন। এতে ম্যাচ চলাকালীন কান্না করে মাঠ ছাড়তেও বাধ্য হয়েছিলেন এই ব্রাজিলিয়ান। এ নিয়ে ক্ষোভ আছে ভিনির।
‘ভ্যালেন্সিয়ায় যা ঘটেছিল, ম্যাচ শেষে সবাই বলেছে, মাঠ ছেড়ে যাওয়াই হবে সঠিক কাজ। কিন্তু আমরা একটি দলের প্রতিনিধিত্ব করছি। স্টেডিয়ামে উপস্থিত সবাই তো আর বর্ণবাদী নন। কেউ কেউ হয়তো শুধু ম্যাচটাই দেখতে এসেছেন। ম্যাচ শেষ করা সব সময়ই খুব কঠিন। কিন্তু যা কিছু ঘটছে এবং দিন দিন পরিস্থিতি যেহেতু আরও খারাপ হচ্ছে, তাই আমাদের মাঠ ছেড়ে যাওয়া প্রয়োজন, যেন যত দ্রুত সম্ভব, পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটে।’
তবে বর্তমানে এই জাতীয় সমস্যা অনেকটাই কমেছে। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হলে আর কোনো খেলোয়াড়কেই বর্ণবাদী আচরণের শিকার হতে হবে না এমনটা আশা করেন ভিনিসিয়ুস, ‘স্পেনে আমরা এরই মধ্যে পার্থক্য দেখছি ও অনুভব করছি। এখন তারা ফুটবল মাঠে এসব করতে ভয় পায়। সেখানে অনেক ক্যামেরা থাকে। এভাবে আমরা বর্ণবাদ কমিয়ে আনতে পারব। আমরা এটা হয়তো সম্পূর্ণরূপে দূর করতে পারব না। কিন্তু এটা ভেবে খুশি লাগছে যে আমি স্পেনের মানসিকতা পাল্টাতে পেরেছি।’