‘বাফুফের নির্বাচন কতটুকু গ্রহণযোগ্য হয় আমি সন্দিহান’
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা হওয়ার আড়াই মাসের মাথায় আজ সোমবার প্রথম বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) যান আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। যদিও তার পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন না বাফুফের বিদায়ী নির্বাহী কমিটির কোনো সদস্য। বাফুফের সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।
এরপর বাফুফের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ জানান, তার প্রথম সফর ছিল মূলত সৌজন্যমূলক। ফেডারেশনে আসার আগেই তিনি বলে দেন আসন্ন নির্বাচনের কোনো প্রার্থী, এমনকি বিদায়ী নির্বাহী কমিটির কোনো সদস্য যেন এ সময় না থাকেন।
ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ বাফুফে ভবনে সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আলাপ করে সংবাদ সম্মেলন কক্ষে আসেন। এরপর তিনি বলেন,
‘বিসিবিতে গিয়েছিলাম। বাফুফে নির্বাচন চলছে। এ নিয়ে অনেক কিছুই শুনছি, অভিযোগও আছে। এজন্য আজ বাফুফেতে আসা। এ নিয়ে কথা বললাম।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া ক্ষেত্রে বাফুফে নির্বাচন। এই নির্বাচন নিয়ে গোটা ক্রীড়াঙ্গনেই তাকিয়ে। যদিও এই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে সন্দিহান উপদেষ্টা আসিফ। বলেন, ‘বাফুফের নির্বাচন কতটুকু গ্রহণযোগ্য ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয় এ নিয়ে আমি সন্দিহান। আগের অনেক কাউন্সিলরই এখানে রয়েছেন। যাদের অনেকে পলাতক ও আসামী এ রকমটা শুনেছি। ফিফার বাধ্যবাধকতা, বাফুফের নিয়মের দিকে সম্মান রাখতে হচ্ছে।’
আসিফ মাহমুদ ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর সকল জেলা-বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার কমিটি ভেঙেছেন। ২০০৮ সালে বাফুফে জেলা-বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা থেকে বেরিয়ে জেলা-বিভাগীয় ফুটবল এসোসিয়েশন করেছে। আগামী ২৬ অক্টোবর বাফুফে নির্বাচন।
চার দিন পরেই বাফুফে নির্বাচন। নির্বাচন শেষে নতুন কমিটির সঙ্গে কিছু কাজ করতে চান ক্রীড়া উপদেষ্টা। বলেন, ‘ফিফার সঙ্গে কিছু বিষয় আলোচনা প্রয়োজন। বাফুফের মাধ্যমে আমরা সেটি করব’।
একইসঙ্গে ক্রীড়া উপদেষ্টা জানান, ফুটবলের জনপ্রিয়তা ফেরানোই তার লক্ষ্য। বলেন, ‘প্রান্তিক পর্যায়ে এখনো ফুটবল অত্যন্ত জনপ্রিয়। ২০১০ সালের পর থেকে জাতীয় পর্যায়ে সেই জনপ্রিয়তা নেই। এজন্য বাফুফে অনেকাংশে দায়ী যারা দায়িত্বে ছিলেন। এমনও শুনেছি, এখানে পৃষ্ঠপোষকতা আসলে ৭০ ভাগ ব্যয় হয় বাকি ৩০ শতাংশ পকেটে যেত।’
আসিফ মাহমুদ যোগ করেন, ‘বাংলাদেশের ফুটবলে যে উন্মাদনা একটা সময় ছিল, এখনো আছে। গ্রামের মাঠগুলোতে ফুটবলও হয়, ক্রিকেটও হয়, ক্রিকেট হলে ২০ জন দর্শকও থাকে না, ফুটবলে থাকে হাজার হাজার দর্শক। গাছে উঠে খেলা দেখে, এসব আমরা মূলধারায় নিয়ে আসতে পারিনি। এটার জন্য দায়ী ফেডারেশনের দায়িত্বে যারা ছিলেন, তারাই।’
আগামী দুই-এক সপ্তাহের মধ্যেই ক্রীড়াঙ্গনে সংস্কারের জন্য গঠিত সার্চ কমিটি বিভিন্ন ফেডারেশনে এডহক কমিটি দিয়ে দেবে বলেও জানান ক্রীড়া উপদেষ্টা।