বিয়ে করলেন বাংলাদেশ জাতীয় হকি দলের তারকা ডিফেন্ডার রেজাউল করিম বাবু। বিকেএসপির সাবেক শিক্ষার্থী ও গত বছর এশিয়ান গেমস বাছাইপর্বে জাতীয় হকি দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা গাজীপুর জেলার কাশিমপুর থানাধানী পানিশাইলের এই তরুণ শুক্রবার (১০ নভেম্বর) জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছেন।

কনে আশুলিয়া (বিকেএসপি, জিরানী) সাভারের মেয়ে আতিয়া ইবনাহা আঞ্জুমান। বর-কনে দু'পক্ষের আত্মীয়, বন্ধু-স্বজন, জাতীয় দলের খেলোয়াড়, শুভাকাঙ্ক্ষীদের উপস্থিতিতে বিকেএসপির কনভেনশন হলে এ বিয়ের অনুষ্ঠান।

৫ বছরের প্রণয়কে (ভালোবাসা) পরিণয়ে রূপ দিলেন বাবু-আঞ্জুমান। এক পারিবারিক অনুষ্ঠানে দুজনের প্রথম দেখা। তারপরই ভালোলাগা-ভালোবাসার শুরু। প্রথম দেখাতেই আঞ্জুমানের প্রেমে পড়ে যান বাবু। ভালোলাগার কথা গোপন রাখেননি। নিজেদের পছন্দের কথা দুই পরিবারকে জানানোর পর দুজনের মিলিয়ে দিলেন তাদের পরিবার।

রেজাউল করিম বাবুর নববধূ আঞ্জুমান সাভার ইউনির্ভাসিটি কলেজে ইংরেজিতে সম্মান প্রথম বর্ষের পরীক্ষা শেষ করেছেন। অন্যদিকে হকি খেলার পাশাপাশি বাবুও একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়ণরত। তবে খেলার চাপে নিজে পড়াশুনা ঠিকঠাক না করলেও স্ত্রীর পড়াশোনাতে কোনো আপত্তি নেই। বিয়ের পরও আঞ্জুমান পড়াশুনা চালিয়ে যাবেন বলে জানান রেজাউল বাবু।

হকি খেলা সম্পর্কে মোটেও ধারণা ছিল না আঞ্জুমানের। বাবুর সঙ্গে জানা-পরিচয়ের পর থেকে হকির খোঁজ রাখা শুরু করেন। এখন নাকি খেলাটা ভালোই বোঝেন। খেলোয়াড়কে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেয়া-বিয়ে করা প্রসঙ্গে আঞ্জুমান জানান, 'বাবু জাতীয় হকি দলের সেরা খেলোয়াড়দের একজন। আর এটা আমি প্রথমে পত্র-পত্রিকা পড়ে জেনেছি। এরপর তো দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। তাছাড়া গত বছর ফ্রাঞ্চাইজি হকি লিগে বাবুদের টিম একমি চট্টগ্রাম চ্যাম্পিয়ন হয়। সেই দলের অধিনায়ক এবং আইকন খেলোয়াড় ছিলেন বাবু। টিভিতে আমি সেসব খেলা দেখেছি। আমি হকি খেলাটা মোটেও বুঝতাম না। এখন অনেকটাই বুঝি। বলব আমি শুধু দেশের একজন সেরা হকি খেলোয়াড়কেই বিয়ে করিনি, সেরা একজন মানুষকে, ভালো একজন মানুষকে বিয়ে করেছি।'