রদ্রির হাতে ব্যালন ডি’অর

রদ্রির হাতে ব্যালন ডি’অর

ম্যানচেস্টার সিটি এবং স্পেনের মিডফিল্ডার রদ্রি এর্নান্দেজ প্রথমবারের মতো পুরুষদের ব্যালন ডি’অর জিতলেন। এ পুরস্কার জেতার পথে তিনি হারিয়েছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে। তিনে আছেন ভিনিরই সতীর্থ জুড বেলিংহ্যাম। 

২৮ বছর বয়সী মিডফিল্ডার রদ্রি গেল মৌসুমে ক্লাব এবং দেশের হয়ে মাত্র একটি ম্যাচ হেরেছিলেন। গেল জুলাইতে স্পেনকে ইউরো ২০২৪ জিততে সাহায্য করেছিলেন। ইউরোর সেরা খেলোয়াড়ও বনেছিলেন তিনি। এরপর এবার প্যারিসে এই পুরস্কারও নিজের করে নিলেন রদ্রি।

ক্লাবের হয়েও তার অর্জনটা নেহায়েত কম নয়। গেল মৌসুমে তিনি ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে প্রিমিয়ার লিগ, উয়েফা সুপার কাপ এবং ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপও জিতেছেন।

ব্যালন ডি’অর জিতে রদ্রি জানান, ‘আমার জন্য, আমার পরিবারের জন্য এবং আমার দেশের জন্য একটি বিশেষ দিন। আজকের এ বিজয় শুধু আমার নয়। এটা স্প্যানিশ ফুটবলের জন্য। সেই সব খেলোয়াড়দের জন্য যারা এটি জিততে পারেননি কিন্তু এটা পাওয়ার যোগ্য ছিলেন, যেমন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, জাভি হার্নান্দেজ, ইকার ক্যাসিয়াস, সার্জিও বুসকেটস এবং আরও অনেকে। এটি স্প্যানিশ ফুটবলের জন্য এবং মিডফিল্ডারের ভূমিকার সব খেলোয়াড়ের জন্যও।’

সেরা দুইয়ে না থেকেও জুড বেলিংহ্যাম তার দেশ ইংল্যান্ডকে বিরল কীর্তির স্বাদ দিয়েছেন। ২০০৫ সালে ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড ব্যালন ডি’অরের দ্বিতীয় সেরা খেলোয়াড় বনেছিলেন। এরপর থেকে কোনো খেলোয়াড়ই সেরা তিনে উঠতে পারেননি। এবার পারলেন বেলিংহ্যাম। জায়গা করে নিলেন সেরা তিনে।

রিয়াল মাদ্রিদ বছরের সেরা ক্লাবের পুরস্কার জিতেছে। তাদের কোচ কার্লো আনচেলত্তি বছরের সেরা পুরুষ কোচের পুরস্কার জিতেছেন। তবে ক্লাবটি থেকে কেউ উপস্থিত ছিলেন না এ পুরস্কার গ্রহণ করার জন্য।

সোমবার আগেই জানা গিয়েছিল যে রিয়াল মাদ্রিদ এই অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছে না, কারণ রিপোর্ট অনুযায়ী বলা হচ্ছিল যে ভিনিসিয়ুস ব্যালন ডি’অর জিতবেন না।

এদিকে মেয়েদের ব্যালন ডি’অরও গেছে স্পেনেই। এবারও এই ট্রফি জিতলেন আইতানা বোনমাতি। গেল বছর বার্সেলোনাকে ট্রেবল জিতিয়ে আবারও এই ট্রফির দাবিদার ছিলেন তিনিই। তার দল বার্সাও জিতেছে বর্ষসেরা ক্লাবের পুরস্কার। বার্সায় আরও একটা পুরস্কার গেছে, বর্ষসেরা তরুণ ফুটবলারের পুরস্কার রেমন্ড কোপা ট্রফি, তা জিতেছেন লামিন ইয়ামাল।

এদিকে আর্জেন্টাইন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ গড়েছেন আরেক ইতিহাস। গেল আসরে লেভ ইয়াশিন ট্রফি জিতেছিলেন তিনি। এবার আবারও তিনি জিতলেন এই পুরস্কার। যার ফলে ইতিহাসে প্রথম বারের মতো এই পুরস্কার টানা দুবার জেতার কীর্তি গড়লেন আর্জেন্টাইন এই গোলরক্ষক। 

এক নজরে সব পুরস্কার
ছেলেদের ব্যালন ডি’অর
রদ্রি (স্পেন, ম্যানচেস্টার সিটি)
মেয়েদের ব্যালন ডি’অর
আইতানা বোনমাতি (স্পেন, বার্সেলোনা)
মেন্স ইয়োহান ক্রুইফ ট্রফি (ছেলেদের বর্ষসেরা কোচ)
কার্লো আনচেলত্তি (রিয়াল মাদ্রিদ)
উইমেন্স ইয়োহান ক্রুইফ ট্রফি (মেয়েদের বর্ষসেরা কোচ)
এমা হেইস (চেলসি, যুক্তরাষ্ট্র)
জার্ড মুলার ট্রফি (সর্বোচ্চ গোলদাতা)
কিলিয়ান এমবাপ্পে (ফ্রান্স, পিএসজি)
হ্যারি কেইন (ইংল্যান্ড, বায়ার্ন)
লেভ ইয়াশিন ট্রফি (বর্ষসেরা গোলকিপার)
এমিলিয়ানো মার্তিনেজ (অ্যাস্টন ভিলা, আর্জেন্টিনা)
রেমন্ড কোপা ট্রফি (বর্ষসেরা তরুণ খেলোয়াড়)
লামিনে ইয়ামাল (স্পেন, বার্সেলোনা)
সক্রেটিস পুরস্কার (দাতব্য কাজ)
জেনি হেরমোসো (স্পেন, তাইগ্রেস)
ছেলেদের বর্ষসেরা ক্লাব
রিয়াল মাদ্রিদ
মেয়েদের বর্ষসেরা ক্লাব
বার্সেলোনা

 

সম্পর্কিত খবর