জয়ের বিকল্প কিছু ভাবছেন না জামাল-কাবরেরা
ফুটবল হোক কিংবা ক্রিকেট ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ মানেই বাড়তি উত্তেজনা। ভৌগোলিক অবস্থান এ উত্তেজনায় যোগ করে বাড়তি রসদ। তবে ফুটবলে যখন দুই দল মুখোমুখি হয় তখন কয়েকগুণ বেড়ে যায় দর্শকদের অপেক্ষা ও আগ্রহ। অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে। আগামীকাল মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ।
ভারতের তুলনায় ফুটবলে বাংলাদেশ অনেকটাই পিছিয়ে। মুখোমুখি দেখা কিংবা র্যাঙ্কিংয়ে অনেকটাই এগিয়ে ভারত। তবে এবার পরিসংখ্যান ও র্যাঙ্কিংয়ের হিসাব পালটে যেতে পারে। কারণ বাংলাদেশ দলে যোগ দিয়েছেন হামজা চৌধুরী। হামজার আগমনে দল যে অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী জয়ের ব্যাপারে তা প্রকাশ পেল ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের কোচ ও অধিনায়কের বক্তব্যে।
ভারত ম্যাচকে সামনে রেখে বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরের বলেন আমরা জানি, ‘ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ভালো নয়। ২০০৩ সালের পর বাংলাদেশ তাদেরকে হারাতে পারেনি। কিন্তু আবারও বলছি, আমরা খুবই আত্মবিশ্বাসী এবং অতীতের চেয়ে এবার বেশি শক্তিশালী। তা কেবল পারফরম্যান্সের দিক থেকে নয়, মানসিকভাবেও। আমরা মানসিকভাবেও ভীষণ শক্তিশালী অনুভব করছি। আশা করি, ভারতের জন্য সবকিছু কঠিন করে তুলতে পারব আমরা।’
বাংলাদেশ দলে যেমন যোগ দিয়েছেন হামজা তেমনি ভারতীয় দলেও অবসর ভেঙ্গে যোগ দিয়েছেন সুনীল ছেত্রী। দুই জনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে কাবরেরা বলেন, ‘আমি মনে করি, হামজার আসা এবং সুনীলের ফেরা আরও রোমাঞ্চকর বিষয়। হামজা নিশ্চিতভাবে আমাদেরকে আরও ভালো দলে রূপ দিয়েছে, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই, আমি মনে করি, সুনিলের ফেরাও ভারতকে আরও ভালো দল করেছে। কিন্তু আগামীকাল যারা জিতবে, একটা দল জিতবে।’
ম্যাচকে সামনে রেখে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার কণ্ঠেও আত্মবিশ্বাসী সুর। জামাল বলেন, ‘আপনি যখন আপনার বড় ভাইয়ের বিপক্ষে খেলেন, তখন সবসময় জিততে চান। তাই না? আমরা কিন্তু সেটাই করতে চাই। র্যাঙ্কিং নিয়ে আমি চিন্তা করি না। আমার মনোযোগ শুধু ম্যাচ জিততে হবে।’
এদিকে বাংলাদেশ দলে হামজা আসায় এশিয়ান ফুটবলের জন্য ভালো বলে মনে করেন ভারতের কোচ মানোলো মার্কেস। তিনি বলেন,‘আমি মনে করি, অবশ্যই সে খুবই ভালো একজন ফুটবলার। সে প্রিমিয়ার লিগে খেলেছে, এখন চ্যাম্পিয়নশিপে খেলছে, কিন্তু তার দল লিগে উঠবে। অবশ্যই সে ভালো খেলোয়াড়। আমি মনে করি, কেবল বাংলাদেশের জন্য নয়, এশিয়ান ফুটবলের জন্য এটা ভালো বিষয় যে, এই মানের একজন খেলোয়াড় (এই অঞ্চলের) জাতীয় দলে খেলতে পারে।’
