ইতিহাদে সিটিজেনদের রুখে দিল লিভারপুল
স্ট্যাম্পফোর্ড ব্রিজে চেলসিকে হারানো যায়নি। ৪-৪ গোলের ওই ড্র’য়ের পর ঘরের মাঠে সিটিজেনদের প্রতিপক্ষ লিভারপুল। প্রতিপক্ষ যতই শক্তিশালী হোক; নিজেদের চেনা আঙিনা বলে কথা। দর্শক সমর্থন সব নিজেদের পক্ষে। গোল উৎসব করতেই তাই ইতিহাদে পা রেখেছিল সিটিজেনরা। কিন্তু কোথায় সেই উৎসব। অলরেডরা রীতিমতো সিটিজেনদের জয় উৎসবে পানি ঢেলে দিয়েছে। টেবিল টপারদের তাদের মাঠেই ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে। লিভারপুলের জন্য যা জয়ের সমান।
এদিন বল দখল কিংবা আক্রমণ সব বিভাগেই শুরু থেকে দাপট দেখিয়েছে সিটি। তবে রক্ষণটা বেশ দক্ষতার সঙ্গেই সামাল দিচ্ছিল লিভারপুল। যদিও সেই ফাঁক গলিয়ে দলকে ঠিকই সাফল্য এনে দিয়েছেন গোল মেশিন আর্লিং হ্যালান্ড। ম্যাচের ২৭ মিনিটে তার গোলে উদযাপনের উপলক্ষ পায় সিটিজেনরা। প্রথমার্ধে সেই গোল শোধ দিতে একাধিকবার চেষ্টা চালালেও তা কাজে দেয়নি লিভারপুলের।
দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা করে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। বেশ কবার আক্রমণ গিয়েছে দলটি। তবে তাদের সেই আক্রমণ বেশ দক্ষতার সঙ্গেই প্রতিহত করে ইর্য়ূগেন ক্লপের শিষ্যরা। ম্যাচে ফিরতে বেশ কবার আক্রমণেও যায় দলটি। তবে সিটিজেনদের রক্ষণে কিছুতেই চিড় ধরাতে পারছিল না অলরেডরা। তবে হাল ছাড়েনি দলটি।
অবশেষে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ম্যাচের ৮০ মিনিটে গোলের উদ্দেশ্যে ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের কাছে বল বাড়িয়ে দেন মোহাম্মদ সালাহ। হতাশ করেননি তিনি। সুযোগ বুঝে বল জালে জড়িয়ে সিটিজেনদের স্তব্ধ করে দেন তিনি। উদযাপনে মাতে অলরেড সমর্থকরা। এরপর ম্যাচের বাকিটা সময় বেশ কবার আক্রমণে গিয়েও জালের দেখা পায়নি সিটি। ফলে নিজেদের মাঠে পয়েন্ট ভাগ করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদের।
এ ড্র’য়ে সিটির ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে লিভারপুল। টেবিলের দুই নম্বরে অবস্থান তাদের। সিটির সমান ১৩ ম্যাচ শেষে দলটির পয়েন্ট ২৮। অন্যদিকে টেবিলের সবার উপরে থাকা সিটি তাদের থেকে মাত্র ১ পয়েন্ট এগিয়ে।