গার্দিওলার কাছে ফিরতে চেয়েও পারেননি মেসি
গার্দিওলার সঙ্গে মেসির সম্পর্কটা দীর্ঘদিনের। ২০০৮ সাল থেকে ২০১১ সালে গার্দিওলার কোচিংয়েই মেসির সেরা হয়ে উঠার শুরু। এরপর সময়ের পালা বদলে বার্সা ছেড়ে দু’জনে ছুটেছেন দু’দিকে। তবে যোগাযোগটা ঠিকই রেখেছিলেন একে অন্যের সঙ্গে।
কারণে অকারণে নিজের সমস্যার কথা গার্দিওলাকে মন খুলে বলতে পারেন মেসি। সিটি বস নিজেও মেসিকে দেখেন ভিন্ন চোখে। মানেন তার কোচিং ক্যারিয়ারের সেরা ছাত্র হিসেবে। সেই ছাত্র মেসিই বার্সা ছাড়ার সময় গার্দিওলার সিটিতে যেতে চেয়েছিলেন। তবে সায় মেলেনি সিটি বসের থেকে। দীর্ঘদিন পর সেই বার্তা প্রকাশ পেয়েছে সাংবাদিক মার্টি পেরারনাউ-এর বই ‘গড সেভ পেপ’ এ।
ঘটনা ২০২০ সালের, বার্সায় তখন টালমাটাল পরিস্থিতি। মেসিকে বিক্রি করে দিতে চাইছে তখনকার ক্লাব প্রধান জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউর। বাধ্য হয়ে নতুন ক্লাবের খোঁজে তখন মেসি। দ্বারস্থ হলেন পুরনো গুরু গার্দিওলার। বার্তা পাঠালেন ম্যানচেস্টার সিটি কোচ গার্দিওলার কাছে। যোগ দিতে চাইলেন ক্লাবটিতে। তবে মেসির সেই বার্তার উত্তরে অন্য ক্লাব খোঁজার ইঙ্গিত দেন গার্দিওলা।
সেই বার্তায় গার্দিওলা মেসিকে বলেন, ‘ম্যানচেস্টারে আমরা খুব কঠোর অনুশীলন করেছি...’ জবাবে মেসি জানান, ‘আমিও কঠোর প্রশিক্ষণ নেব, আর আমি এটা নিয়ে চিন্তিত নই। তুমি যাই কর না কেন আমি মানিয়ে নেব।’ মেসির এমন বার্তার পরও মেসিকে দলে নিতে আগ্রহ দেখায়নি সিটি বস। তাই বাধ্য হয়ে পড়ে ২০২১ সালে বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে নাম লেখান মেসি।