পায়ে হেঁটেও সৌদি যেতে রাজি আনচেলত্তি

পায়ে হেঁটেও সৌদি যেতে রাজি আনচেলত্তি

একটা সময় ছিল ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা পায়ে হেঁটে সৌদি আরব যেতেন পবিত্র হজ্জ পালন করতে। সেই সময় বুঝি আবারও ফিরতে শুরু করেছে সৌদির। তবে এবার হজ্জ পালন করতে নয়। দেশটির ফুটবল ক্লাবগুলো এমন লোভনীয় প্রস্তাব দিচ্ছেন ফুটবারদের যে, বিমানের জন্য অপেক্ষা না করে বরং পায়ে হেঁটেই সৌদিতে চলে আসতে ইচ্ছে করবে যে কারো; সম্প্রতি এমনটাই বলেছেন রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি।

সবশেষ দল বদলে রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছিল সৌদি আরবের ক্লাবগুলো। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর একে এক দেশটির ক্লাবগুলো দলে ভিড়িয়েছে করিম বেনজেমা, সাদিও মানে, নেইমারের মতো তারকা ফুটবলারদের। হাত বাড়িয়েছিল ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পের দিকেও। পিএসজি সুপারস্টারকে পেতে ১০০ কোটি ইউরো ঢালতেও রাজি হয়েছিল সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল!

তাদের সেই অফারগুলো এতোটাই লোভনীয় যে সিটি বস পেপ গার্দিওলাকেও দেখা গেছে অসহায় আত্মসমর্পণ করতে। বলতে বাধ্য হয়েছেন, ‘তাদের এমন প্রস্তাবের পর ফুটবলারদের ধরে রাখা কঠিন হয়ে গেছে তাদের।’

এমবাপ্পের সৌদি যেতে রাজি না হওয়ায় ইস্যুতে তো গ্রিক বাস্কেটবল তারকা আন্তেতোকুন্মপো ঘোষণাই দিয়ে বসেন, ‘আল হিলাল, তোমরা আমাকে নিতে পারো। আমি দেখতে কিলিয়ান এমবাপের মতোই।’

দল বদলের মৌসুম শেষ হয়েছে। তবে, সৌদির দৌড়াত্ব কমেনি এতটুকুও। এই যেমন কদিন আগেই, স্প্যানিশ গলফার জন রাহামকে চার বছর নিজেদের গলফ প্রতিযোগিতায় খেলার জন্য ৪৫০ মিলিয়ন পাউন্ড দিচ্ছে দেশটির সরকারি বিনিয়োগ তহবিল বা পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (পিআইএফ)।

রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তিকে পেয়ে সেই প্রশ্নই করেছিল স্প্যানিশ সাংবাদিকরা। তাকেও যদি এমন লোভনীয় প্রস্তাব দিয়ে বসে সৌদির ক্লাব; তবে কি করবেন তিনি। উত্তরে রিয়াল কোচ বলেন, ‘আমি হেঁটে যাব। পায়ে হাঁটতে হাঁটতে সৌদিতে চলে যাব, আমার ফ্লাইটেরও প্রয়োজন হবে না।’ উত্তরটি আনচেলত্তি মজার ছলে দিলেও বিষয়টি যে সত্যিই কঠিন বাস্তবতা; সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।

সম্পর্কিত খবর