আইএফএফএইচএসের বর্ষসেরা দলে মেসি, নেই রোনালদো
ইউরোপ দাপিয়ে বেড়ানোর সময় যেই তালিকায় লিওনেল মেসি, সেখানে বেশিরভাগ সময়েই ছিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোরও নাম। একজন তালিকায় থেকে জিতেছেন খেতাব, সেখানে অন্যজন ছিলেন খেতাবটি জেতার অনেকটাই কাছাকাছি। খুব বেশি না, পাঁচ-ছয় বছর আগেও ইউরোপ ক্লাব ফুটবলে এমন কিছুর চিত্র ছিল হরহামেশাই।
ইউরোপের পাট চুকিয়ে ফুটবলের অন্যতম দুই তারকা এখন ভিন্ন দুই মহাদেশে। আমেরিকান সকার, মেজর লিগ সকারে পাড়ি জমিয়ে সেখানে ফুটবলের নতুন এক অধ্যায় খুলেছেন মেসি। এদিকে, সৌদিতে বয়সটা নিছক সংখ্যা বানিয়ে গোলের সংখ্যায় সবাইকে ছাড়িয়ে গেলেন রোনালদো। ৫৪টি গোলে করে হয়েছেন ২০২৩ সালের সর্বোচ্চ গোলদাতা।
পুরনো সেই প্রতিযোগিতা ফিরিয়ে আরও একবার এক মঞ্চে এই দুই তারকা। গত ৩ জানুয়ারি প্রকাশিত হওয়া ফিফা ২০২৩ বর্ষসেরা দলের মনোনয়নে জায়গা পেয়েছেন এলএমটেন ও সিআরসেভেন। তবে ভিন্ন আরেক আঙ্গিকের বর্ষসেরা দলে একসঙ্গে নেই তারা।
ফুটবলের ইতিহাস ও রেকর্ড সংরক্ষণ করা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফুটবল হিস্ট্রি অ্যান্ড স্ট্যাটিসটিকসের (আইএফএফএইচএস) ২০২৩ বর্ষসেরা দলে জায়গা পেয়েছেন মেসি। তবে সেখানে জায়গা মেলেনি রোনালদোর।
আইএফএফএইচএসের প্রকাশিত দলের দেশ হিসেবে সর্বোচ্চ ২ জন আছেন ইংল্যান্ডের, বাকি ৯ জনের সবাই ভিন্ন দেশের। তবে ক্লাব হিসেবে সবচেয়ে বেশি পাঁচজন আছেন ম্যানচেস্টার সিটির। গোলরক্ষক হিসেবে আছেন সিটির ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক এডারসন। রক্ষণভাগের পর্তুগালের রুবেন দিয়াস, কানাডার আলফনসো ডেভিস ও দক্ষিণ কোরিয়ার কিম মিন-জে। মেসির সঙ্গে মধ্য মাঠে আছেন বেলজিয়ামের কেভিন ডি ব্রুইনা, স্পেনের রদ্রি ও তরুণ ইংলিশ তারকা জুড বেলিংহাম। আক্রমণভাগে আছেন ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপে, ইংল্যান্ডের হ্যারি কেইন এবং নরওয়ের আর্লিং হালান্ড।
এক নজরে ২০২৩ সালের আইএফএফএইচএসের বর্ষসেরা দল:
এডারসন (ব্রাজিল), রুবেন দিয়াস (পর্তুগাল), কিম মিন–জে (দক্ষিণ কোরিয়া), আলফনসো ডেভিস (কানাডা), রদ্রি (স্পেন), জুড বেলিংহাম (ইংল্যান্ড), কেভিন ডি ব্রুইনা (বেলজিয়াম), লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা), আর্লিং হালান্ড (নরওয়ে), কিলিয়ান এমবাপে (ফ্রান্স), হ্যারি কেইন (ইংল্যান্ড)।
