বার্সেলোনার সঙ্গে মেসির প্রথম চুক্তির স্মৃতিবিজড়িত ন্যাপকিন নিলামে
মেসির প্রথম ক্লাব বার্সেলোনা, ছোট থেকে এই ক্লাবেই বড় হয়েছেন এবং খেলেছেন এই ফুটবল জাদুকর। বার্সার সঙ্গে মেসির প্রথম লিখিত চুক্তিটি কীভাবে হয়েছিল সেটি অনেকেই হয়ত জানেন। ১৩ বছর বয়সী মেসির সঙ্গে একটি ন্যাপকিনে কলম দিয়ে লিখে প্রথম চুক্তিটি করা হয়েছিল। সেই ন্যাপকিনটি এবার নিলামে তোলা হবে।
ন্যাপকিনটির ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছে ৩ লাখ পাউন্ড (প্রায় ৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা)। ২০০০ সালের ডিসেম্বরে স্বাক্ষরিত এই ন্যাপকিনে মেসিকে সই করিয়েছিলেন বার্সার তৎকালীন পরিচালক কার্লেস রেক্সাচ। স্প্যানিশ ক্লাবটির ট্রান্সফার পরামর্শক জোসেপ মিনগুয়েলা এবং আর্জেন্টাইনের এজেন্ট হোরাসিও গাগিওলিও চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন। তার এক মাস পর আনুষ্ঠানিকভাবে মেসি বার্সায় যোগ দেন।
মেসিকে দলে আনার প্রাথমিক চিন্তাভাবনার পর তার বাবা হোর্হে মেসিকে একদিন মধ্যাহ্নভোজে আমন্ত্রণ জানান বার্সা পরিচালক রেক্সাচ। তারপর তার সঙ্গেই তার ছেলেকে দলে আনার চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন।
নীল কালিতে লেখা ওই ন্যাপকিনে লেখা ছিল, ‘২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর বার্সেলোনায় মিঙ্গুয়েলা ও হোরাসিওর উপস্থিতিতে এফসি বার্সেলোনার স্পোর্টিং ডিরেক্টর কার্লেস রেক্সাচ তার দায়িত্বে লিওনেল আন্দ্রেস মেসিকে চুক্তিবদ্ধ করতে সম্মত হচ্ছেন।‘
মার্চে ব্রিটিশ নিলাম সংস্থা বনহ্যামসের মাধ্যমে সেই ঐতিহাসিক ন্যাপকিনটি নিলামে তোলা হচ্ছে। বনহ্যামসের প্রধান ইয়ান এহলিং বলেন, 'এটি আমার দেখা সবচেয়ে রোমাঞ্চকর বিষয়গুলোর একটি। হ্যাঁ, এটি শুধুমাত্র একটি কাগজের ন্যাপকিন। তবে এটি বিখ্যাত ন্যাপকিন যার মাধ্যমে লিওনেল মেসির ক্যারিয়ারের শুরু হয়েছিল।‘
বার্সেলোনার হয়ে মেসি মোট ১০টি লা লিগা ও চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জিতেছেন। যেগুলো প্রত্যেকটাতেই তার অবদান ছিল অনন্য। প্রায় প্রতি ম্যাচেই গোল করাতেন এবং নিজেও করতেন। কাতালান ক্লাবটির হয়ে ১৬ বছর বয়সে মেসি প্রথমবার মাঠে নেমেছিলেন। ৭৭৮ টি ম্যাচে তিনি মোট ৬৭২ টি গোল করে বার্সার ইতিহাসে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার খেতাবটি নিজের নামে করে নিয়েছেন মেসি।
সেই একটি ন্যাপকিনই মেসির জীবন বদলে দিয়েছে, বার্সেলোনার ভবিষ্যৎ বদলে দিয়েছে। বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি ভক্তকে ফুটবলের সবচেয়ে গৌরবময় মুহূর্তগুলো উপহার দিয়েছে কাতালান এই ক্লাবটি। যার মূল কারিগরই ছিলেন লিওনেল মেসি। তাই বার্সেলোনা ক্লাবটি যতদিন থাকবে, ততদিন মেসিও থেকে যাবেন বিশ্বজুড়ে বার্সেলোনার এবং ফুটবল সমর্থকদের মনে।