কামব্যাক করা সম্ভব, মানছেন তপু
প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে ৫-০ গোলের বিশাল হার। সেই ফিলিস্তিনের বিপক্ষে আবারও বাংলাদেশ নামছে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ফিরতি লেগের ম্যাচে। এমন এক হারের ধাক্কা সামলানো কঠিন। তবে তার চেয়ে আরও বড় চ্যালেঞ্জ মাত্র ৩ দিন পরই আরেকটা ম্যাচ খেলা। তবে অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার তপু বর্মন জানালেন, ওই হার থেকে কামব্যাক করা অসম্ভব কিছু নয় মোটেও।
আজ সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তপু বললেন, ‘কামব্যাক করা অবশ্যই সম্ভব। কামব্যাক বলতে ওদের সাথে আবার ৫-০ গোলে জিততে হবে বিষয়টা এমন না। আমাদের মাঠে যদি আমরা ১-০ গোলে হারাই দ্যাট ইজ ফাইন। আমাদের ঐ টার্গেটটা আছে। আর কুয়েতে যে রেজাল্টটা হয়েছে এটা আমাদের জন্য হতাশার। প্লেয়ার , কোচিং স্টাফ এবং সমর্থক কেউ এটা প্রত্যাশা করেনি। ২৬ তারিখ আমরা ঘরের মাঠে বাউন্স ব্যাক করতে চাই।’
সে ম্যাচে শুরুর ৪০ মিনিটে বেশ ভালো খেলেছে বাংলাদেশ। তবে এরপর গোল হজম করেই বিপাকে পড়ে জামাল ভূঁইয়ার দল। কোচ কাবরেরা জানালেন, দলের পারফর্ম্যান্সে কোনো সমস্যা দেখছেন না তিনি। তাহলে কিন্তু প্রশ্ন উঠে যায় দলের মনোযোগ নিয়েই!
যদিও তপু জানালেন, দলের মনোযোগে কোনো ঘাটতি ছিল না আদৌ। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি মনযোগে কোনও ঘাটতি ছিল না। স্পেসিফিক কোনও সমস্যা দেখি না। টিম ডিফেন্ডিংটা একটু নড়বড়ে ছিল। ফলে ৪২ মিনিটে আমরা প্রথম গোল হজম করি। আমার মনে হয় এটা আমাদের জন্য মাইনাস পয়েন্ট ছিল। আমরা হেড টু হেড খেলতেছিলাম। আমরাও সুযোগ তৈরি করছিলাম। হঠাত করেই গোল হজম করার পর থেকে আমরা পিছিয়ে পরি।’
দলগতভাবে রক্ষণকাজ সামলানোর কথাটা ম্যাচের আগে বহুবারই শোনা গেছে। যদিও ম্যাচে এর প্রয়োগ সামান্যই দেখা গেছে। তপুও মানছেন, এই কাজটা আরও ভালোভাবে করতে পারতেন তারা।
তিনি বলেন, ‘ডিফেন্ডাররা তো ডিফেন্ডিং করবে এটা স্বাভাবিক। আমাদের যে টিম ডিফেন্ডিংটা ছিল সেখানে সবাই মিলে যদি আমরা আরও ভালো করতে পারতাম তাহলে আরও ভালো হতো। ফিলিস্তিনের মত দলের বিপক্ষে ফোর ভার্সেসে সিক্স খেলা খুবই ডিফিকাল্ট। আপনারা দেখেছেন তারা আমাদের উপর কিভাবে চড়াও হয়ে খেলেছে।’