‘ওর্তেগা আমাদের বাঁচিয়েছে, নয়তো লিগ জিতে যেত আর্সেনাল’

‘ওর্তেগা আমাদের বাঁচিয়েছে, নয়তো লিগ জিতে যেত আর্সেনাল’

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে কয়েক সপ্তাহ থেকে নিয়মিত ঘটনা ছিল ঠিক এমন, ম্যানচেস্টার সিটিকে ছাড়িয়ে শীর্ষে ওঠে আর্সেনাল, ফের আর্সেনালকে ছাড়িয়ে শীর্ষে ওঠে ম্যানচেস্টার। মৌসুমের শেষ দিকে এসে আর্সেনালের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা ছিল গত রোববারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের ম্যাচ। সেই ম্যাচে অবশ্য ১-০ ব্যবধানে জিতে যায় গানাররা। পৌঁছে যায় শীর্ষে। তবে সিটিজেনদের পরীক্ষাটা যেন ছিল আরও বেশি কঠিন। ম্যাচ টটেনহাম হটস্পার স্টেডিয়ামে। যেই মাঠে এর আগে কখনোই জেতেনি সিটি। 

সব শঙ্কা উড়িয়ে শেষ পর্যন্ত টটেনহামকে তাদের মাঠে হারিয়ে দেয় সিটি। ২-০ ব্যবধানের এই জয়ের ফের তালিকার শীর্ষে উঠে তারা এবং সম্ভাব্য শিরোপার জয়ের দুয়ারেও পৌঁছেছে। তবে ম্যাচটির শেষ ১০ মিনিটে ঘটে যেতে পারতো নাটকীয় ঘটনা। পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে সিটি গোলপোস্টের উদ্দেশ্যে দারুণ দুটি শট নেয় টটেনহাম ফরোয়ার্ডরা। তবে তা ঠেকিয়ে দেন বদলি নামা গোলরক্ষক স্তেফান ওর্তেগা। 

ম্যাচের ৬২তম মিনিটে বল নিয়ন্ত্রণের একই সময়ে টটেনহাম ডিফেন্ডার ক্রিস্টিয়ান রোমেরো শট নিতে গেলে আঘাত পান সিটির ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক এদারসন। আঘাত বিবেচনায় মাঠে চলে এসেছিল স্ট্রেচারও। তবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন তিনি। তবে এদারসনকে নিয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে চাননি পেপ গার্দিওলা। এতেই কিছুক্ষণ পরই তাকে তুলে নেন। বদলি হিসেবে নামেন ওর্তেগা। শেষে এই জার্মান গোলরক্ষকের নৈপুণ্যেই ক্লিনশিট নিয়ে মাঠ ছাড়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। আর তাতেই ওর্তেগা বন্দনায় মাতেন গার্দিওলা। 

ম্যাচটি সিটি হারলে বা ড্র হলেই কপাল খুলত আর্সেনালের। সেখানে সিটির পয়েন্ট থাকতো ৮৫ বা ৮৬। এতে আর্সেনালের সুযোগ থাকতে পরের ম্যাচে জয় তুলে লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাওয়ার। এমন কিছু হওয়া থেকে সিটিকে দূরে সরান ওর্তেগা। এবং ম্যাচ শেষে গার্দিওলার সুর ঠিক এমন, ওর্তেগাতেই লিগ শিরোপা হারানো থেকে বেঁচেছে সিটি। 

টটেনহামের মাঠে ঐতিহাসিক সেই জয়ের পর গার্দিওলা বলেন, ‘স্তেফান ওর্তেগা আমাদের বাঁচিয়েছে, নয়তো আর্সেনাল লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে যেত।’ 

এদারসনকে যখন বদলি করা হয় তখন মোটেও খুশি ছিলেন না তিনি। মাঠ ছেড়ে ডাগ-আউটে যেয়ে গার্দিওলা ছাড়া কোচিং ম্যানেজমেন্টের ওপরেও ঝেড়েছেন ক্ষোভ। তবে শেষ পর্যন্ত ওর্তেগায় বেঁচেছে সিটির মান। 

ম্যাচের ৮০তম মিনিটে বদলি নামা কুলুসেভস্কির এক শট রুখে দেন ওর্তেগা। মিনিট ছয়েক পর সমতায় ফেরার সবচেয়ে বড় সুযোগটাই পেয়েছিল টটেনহাম। সিটি ডিফেন্ডারের ভুলে বল পেয়ে যান সন হিউং-মিন। ছিলেন গোলরক্ষকের সামনে ওয়ান-ট-ওয়ান পজিশনে। তবে সেখানে সনের শট দারুণভাবে ঠেকিয়ে দেন ওর্তেগা। গার্দিওলা সেই সেভকে মনে করেও প্রশংসা করলেন গার্দিওলা। তিনি বলেন, ‘ওয়ান টু ওয়ানে, আমার দেখা সেরা গোলরক্ষকদের একজন ওর্তেগা।’

সম্পর্কিত খবর