আমি বাড়ি যেতে প্রস্তুত নইঃ মার্টিনেজ
কোপা আমেরিকায় সেমির সূত্র মেলাতে ইকুয়েডরের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে আর্জেন্টিনা ১ গোলে এগিয়ে থাকলেও যোগ করা সময়ে সমতায় ফেরে ইকুয়েডর। তাতেই ম্যাচ এর ভাগ্য গড়ায় টাইব্রেকারে। প্রথমেই পেনাল্টি নিতে আসেন আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ী তারকা লিওনেল মেসি, তবে পেনাল্টি মিস করলেন মেসি।
স্টেডিয়ামে তখন পিন পতন নিরবতা! তবে কি এখানেই শেষ হবে মেসিদের কোপা যাত্রা? এমন সময় আর্জেন্টিনার জন্য ত্রাণকর্তা হয়ে আসেন তাদের গোলরক্ষক এমি মার্টিনেজ। প্রতিপক্ষের দুইটি পেনাল্টি ফিরিয়ে দিয়ে রীতিমত ম্যচের নায়ক হয়ে যান আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমি মার্টিনেজ। আর তাতেই নিশ্চিত হয় আর্জেন্টিনার সেমিফাইনালের টিকিট।
টাইব্রেকারে ইকুয়েডরের অধিনায়ক এনার ভ্যালেন্সিয়া পেনাল্টি মিস করলে খেলার ফলাফল নির্ধারণী কঠিন হয়ে পড়ে। এমন সময় ৩১ বছর বয়সী আর্জেন্টিনাইন গোলরক্ষক তার সতীর্থদের কাছে স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে তাদের কাছে জয়ের বিকল্প নেই। ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হওয়ার পর মার্টিনেজ বলেন “আমি ছেলেদের বলেছিলাম আমি বাড়ি যেতে প্রস্তুত নই, তারাও নয়।” মার্টিনেজ আরো বলেন, 'আমরা বিশ্ব এবং (দক্ষিণ) আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন, আমরা এগিয়ে যাওয়ার যোগ্য।'
আর্জেন্টিনাইন গোল রক্ষক আরো বলেন, সমর্থকরা যে খেলা দেখতে চেয়েছিল আমরা তা দিতে পারিনি কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরা জিতেছি। টাইব্রেকারের পুরোটা সময় মার্টিনেজ ছিলেন আত্মবিশ্বাসী। মার্টিনেজ এখন পর্যন্ত চারবার আর্জেন্টিনাকে পেনাল্টিতে জয় এনে দিয়েছেন। এর মধ্যে আছে ২০২২ বিশ্বকাপ শিরোপাও।
এই আর্জেন্টাইন তারকা বলেন, পেনাল্টি কিংবা টাইব্রেকারে আমন গোল আটকাতে তিনি নিজেকে দিনে ৫০০ বার এর মুখোমুখি করেন। মার্টিনেজ মনে করিয়ে দেন যে, তারা যখন মাঠে খেলে তারা তাদের সেরাটা দেবার চেষ্টা করেন করণ দেশবাসীর অর্থ দিয়েই তাদের খেলা পরিচালিত হয় এবং তারা জয়ের আনন্দ উপভোগ করার দাবি রাখে।
এদিকে রদ্রিগো ডি পল, মার্টিনেজের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পরে তাকে প্রশংসায় ভাসান, তার মতে মার্টিনেজ যা করে দেখিয়েছে তা রীতিমত পাগলামি এবং সে এটির যোগ্য। ডি পল আরো বলেন, মার্টিনেজ দলের সাথে থাকলেই তারা মানসিক ভাবে শান্তি পান।