গুরুকে শুভেচ্ছা জানাতে এর চেয়ে ভালো মঞ্চ হয় না
ফুটবলের গ্রেটেস্ট অব অলটাইম কে? এই আপেক্ষিক যুক্তি-তর্ক অনেক আগে থেকেই চলে এসেছে, চলছে এবং চলবেও। তবে যেকটা নাম সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হয় সেগুলোর শর্ট লিস্ট করলে পেলে-ম্যারাডোনা-মেসি-রোনালদো এই নামগুলোই আসবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে। দুই আর্জেন্টাইন মেসি এবং ম্যারাডোনাকে নিয়েও আছে আলাদা তর্ক। এই প্রশ্নে আর্জেন্টাইন ফ্যানরাই ভাগ হয়ে যান দুই ভাগে। কারো কাছে ম্যারাডোনা সেরা তো কারো কাছে মেসি।
সাবেক গুরু শিষ্যের একজন পরপারে পাড়ি দিয়েছেন বছর তিনেক আগে। আরেকজন বিশ্বজয় করেছেন বছরখানেক হলো। গুরুকে শিরোপা দেখাতে না পারার আক্ষেপ নিশ্চয়ই মেসিরও আছে। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের পর ৩০ অক্টোবরই ছিলো ম্যারাডোনার প্রথম জন্মদিন। আর সেদিনই মেসি জিতলেন ব্যালন ডি’অর।
মেসিও পেলেন আইডলকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর সবচেয়ে উপযুক্ত মঞ্চ। এমন দিনে শৈশবের মহানায়ককে নিজের এমন অর্জন উৎসর্গ করার সুযোগ কে-ই বা হাতছাড়া করতে চাইবেন? মেসিও সেটাই করলেন, ‘‘এখানে যাঁরা আছেন, সবাই ফুটবলকে ভালোবাসেন, দিয়েগোর মতো। তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য এর চেয়ে ভালো জায়গা নেই। যেখানেই থাকুন না কেন, শুভ জন্মদিন। এটা আপনার জন্যও। আমি এই পুরষ্কার আপনি ও সব আর্জেন্টাইনদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে চাই।’’
খুব সম্ভবত এবারই শেষ বার। সেই সাথে বিশ্বকাপ জয়ের আরো একটা পুরষ্কার। কেনো বলছি বিশ্বকাপ জয়ের পুরষ্কার সেটাতে খটকা লাগতেই পারে। লিওনেল মেসির ৮ম ব্যালন ডি’অর জিততে এবার আর মৌসুমে পঞ্চাশের মতো গোল করতে হয়নি, সমসংখ্যক অ্যাসিস্টেরও দরকার পড়েনি। অবশ্য এবার ব্যালন ডি’অর জিততে যেটা করেছেন সেটাই বা করতে পারে কজন? বিশ্বকাপ জিতেছেন, জিতিয়েছেন।