ফিলিস্তিনকে সমর্থন দেয়ায় চাকরি হারালেন মুসলিম ফুটবলার
আনোয়ার এল গাজি কোনো আইনভঙ্গ করেননি, মানবতার বিরুদ্ধে কোনো অপরাধ করেননি, গণহত্যা চালাননি, মিথ্যে বা ঠুনকো কোনো বিষয় নিয়ে উচ্চবাচ্য করেননি। তিনি শুধু নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছিলেন। দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে গাজায় কোনঠাসা জনগোষ্ঠীর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন।
কিন্তু সত্যের পক্ষে নেয়া তার সে অবস্থান কাল হলো। জার্মান ক্লাব মেইনজে খেলতেন এল গাজি। ফিলিস্তিনের পক্ষ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করায় তার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে ক্লাবটি। ৩ নভেম্বর ক্লাবটি এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, চলমান ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করায় তার চুক্তি বাতিল কড়া হচ্ছে।
৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলা থেকে সূত্রপাত হয় ফিলিস্তিনে চলমান ইসরায়েলি বর্বরতার। এরপর নিজের এক্স-আইডি থেকে গত ১২ অক্টোবর এই প্রসঙ্গে বেশ কয়েকটি টুইট করেন এল গাজি। ২৭ অক্টোবর ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনে নিহত বেসামরিক নাগরিকদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে আরেকটি টুইট করেন তিনি। এই টুইটে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি দেখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই ডাচ ফুটবলার।
এরপরই তাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করে মেইনজ। যদিও গত সপ্তাহের শুরুর দিকে তাকে আবার ক্লাবের অনুশীলনে ফেরানো হয়েছিল। ক্লাব তখন জানায়, এল গাজি তার ফিলিস্তিন ইস্যুতে করা পোস্টগুলো নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। তবে এল গাজি জানান, তাকে না জানিয়েই তার বিষয়ে সে বিবৃতিতে দিয়েছে ক্লাব।
এরপরই চূড়ান্তভাবে ক্লাব এল গাজির সঙ্গে চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দেয়। গত সেপ্টেম্বরে দুই বছরের চুক্তিতে জার্মান ক্লাব মেইনজে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।
অবশ্য এল গাজি একাই নন, ফিলিস্তিনের পক্ষে আওয়াজ তোলায় শীর্ষ ইউরোপিয়ান লিগগুলোতে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছেন বেশ কয়েকজন ফুটবলার, যাদের মধ্যে রয়েছেন ফরাসি ক্লাব নিসে খেলা আলজেরিয়ান ফুটবলার ইউসেফ আতাল এবং জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখে খেলা মরক্কান ফুলব্যাক নুসেইর মাজরাবিও।