শেষ ওভারের নাটকীয়তায় অজিদের হারিয়ে ভারতের প্রতিশোধ
অস্ট্রেলিয়ার ২০৮ রানের জবাবেও পথ হারায়নি ভারত। ১৯ তম ওভারে লক্ষ্যটা ৬ বলে ৭ রানে নামিয়ে এনে স্বস্তিতেই ছিল ভারত। প্রথম ২ বলে ৫ রান নিয়ে টার্গেটটাকে আরও নাগালে নিয়ে আসে স্বাগতিকরা। তবে নাটক যে তখনও ঢের বাকি।
পরের ৪ বলে ম্যাচ জিততে যেখানে চায় মাত্র ২ রান সেখানে টানা তিন বলে ৩ উইকেট নেই ভারতের। ম্যাচ জিততে শেষ বলে ভারতের প্রয়োজন ১ রান। স্ট্রাইকিং পজিশনে থাকা রিংকু সিংয়ের কাছে তখন আকাশসম প্রত্যাশা। অবশ্য হতাশ করেননি এই তারকা। ছক্কা মেরে দলকে জিতিয়েছেন। যদিও পরে দেখা যায় নো বল ছিল এটি। শ্বাসরুদ্ধকর ২ উইকেটের জয়ে মাঠে আসা সমর্থকদের উল্লাসে মাতিয়েছেন। এতে হয়তো কদিন আগেই এই দলটির বিপক্ষে বিশ্বকাপ ট্রফি হারানোর ক্ষত কিছুটা হলেও সারবে ভারতের।
এদিন অবশ্য বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে ফুরফুরে মেজাজেই ব্যাট করেছে অজিরা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৩১ রানে প্রথম উইকেট হারালেও এরপর অনেকটা পথ এগিয়েছে অজিরা। স্টিভেন স্মিথ ও জস ইঙ্গলিসের ব্যাটে বড় সংগ্রহের ভিত পায় অজিরা। স্মিথ ৪১ বলে ৫২ করে ফিরলেও অপরপ্রান্তে ব্যাট হাতে ঝর তুলেন ইঙ্গলিস। সাজঘরে ফেরার আগে করেন ৫০ বলে ১১০ রান। যেখানে ছিল ৮টি ছক্কা ও ১১ টি চারের মার। তার ওই ইনিংসে ভর করেই ৩ উইকেটে ২০৮ রান জমা করে অজিরা।
জবাবে দ্রুত শুরু করতে গিয়ে ২২ রানেই দুই ওপেনারকে হারায় ভারত। এরপর অবশ্য দলকে টেনে তুলেন ঈশান কিষান ও অধিনায়ক সুর্যকুমার যাদব। ওয়ানডেতে রান না পেলেও টি টোয়েন্টিতে ফর্মটা ধরে রেখেছেন সূর্য। ৪২ বলে ৮০ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয়ের পথে রেখে আসেন সূর্য। কিষান থামেন ৩৯ বলে ৫৮ রানে।
এরপর শেষ দিকে অবশ্য তেমন কেউই পারফর্ম করতে পারেননি সে অর্থে। তবে ঠিকই ১৪ বলে ২২ রানের এক হার না মানা ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন রিংকু।
এ জয়ে ৩ ম্যাচের টি টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল ভারত। ম্যাচ সেরা হয়েছেন সূর্য।