উইজডেনের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের তালিকায় দুই ভারতীয়
চোট কাটিয়ে সদ্য মাঠে ফিরেছেন ভারতীয় পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ। আর এসেই সুখবর পেলেন তিনি। ক্রিকেটের বাইবেল খ্যাত উইজডেন লিডিং ক্রিকেটার ইন দ্যা ওয়ার্ল্ড ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। বুমরাহর পাশাপাশি সেখানে জায়গা পেয়েছেন দেশটির নারী তারকা ক্রিকেটার স্মতি মান্ধনাও। পারফরম্যান্সের দিক থেকে উইজডেনে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন এই দুই ভারতীয় ক্রিকেটার। অবশ্য সেখানে নেই কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটারের নাম।
আজ মঙ্গলবার প্রকাশিত উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমানাকের সর্বশেষ সংস্করণে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে গেল বছর ১৩ টেস্টে ৭১ উইকেট নেন বুমরা। পাশাপাশি গত জুনে ভারতকে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতাতেও বড় অবদান ছিল ৩১ বছর বয়সী এ পেসারের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফাইনালে ১৮ রানে ২ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি এ টুর্নামেন্টে ৮ ম্যাচে ১৫ উইকেট নেন বুমরা। সর্বশেষ চলতি বছরের জানুয়ারিতে শেষ হওয়া অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের ৫ ম্যাচে ৩১ উইকেট শিকার করেন তিনি। বুমরাহকে নিয়ে উইজডেন সম্পাদক লরেন্স বুথ জানান,‘ সে খুবই ভয়ংকর, চ্যালেঞ্জ হিসেবে অনন্য, তার বিপক্ষে করা রানগুলোকে দ্বিগুণ করে বিবেচনা করা উচিত...সর্বকালের সেরা হওয়ার সম্মানটা সে প্রাপ্য।’
অন্যদিকে গেল বছর ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে মেয়েদের ক্রিকেটে ১৬৫৯ রান করেন স্মৃতি মান্ধানা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক বর্ষপঞ্জিতে কোনো নারী ক্রিকেটারের এটাই সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। এর মধ্যে চারটি সেঞ্চুরি, যা আরেকটি রেকর্ড। গেল বছরের জুনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে ভারতের ১০ উইকেটের জয়ে ১৪৯ রানের সেই ইনিংসটি খেলেন মান্ধানা। আর তাতেই উইজডেন লিডিং ক্রিকেটার ইন দ্যা ওয়ার্ল্ড খেতাবটা তার ঝুলিতে যায়।
উল্লেখ্য উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমানাক নামের হলুদ রঙের ছোট বইটাকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে তথ্য–পরিসংখ্যান–রেকর্ডে নির্ভুলতার অতুলনীয় এক মানদণ্ড স্থাপন করার কারণে ‘ক্রিকেটের বাইবেল’ স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এই অ্যালমানাক ১৬১ বছর ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রতিবছর বেরিয়ে যাচ্ছে। যেখানে দুটি বিশ্বযুদ্ধেও যাতে বিরতি পড়েনি। সেখানে ২০১০ সালে একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে নিজের জায়গা করে নেওয়ার কৃতিত্ব আছে তামিম ইকবালের।