শেষ মুহূর্তের দুই গোলে অক্ষত বসুন্ধরার হোম রেকর্ড
কখনো সহজ সুযোগ হাতছাড়া করা তো কখনো প্রতিপক্ষের বাধা; কোনো ক্রমেই মাজিয়ার জাল খুঁজে পাচ্ছিল না বসুন্ধরা কিংস ফুটবলাররা। একটা সময় তো শঙ্কায় ঝেঁকে বসেছিল। শেষ পর্যন্ত না পচা শামুকে পা কাটতে হয়। না সেটি অবশ্য হতে দেয়নি বসুন্ধরার ফুটবলাররা। শেষ তিন বছরে এ মাঠে কোনো ম্যাচ না হারের হোম রেকর্ডটা অক্ষত রেখেছে বসুন্ধরা।
শেষ ১০ মিনিটে বাজিমাত করেছে দলটি। সমর্থকদের প্রত্যাশা মিটিয়েছে। শুরুর ১০ মিনিটে পিছিয়ে পড়ার পর ৮০ মিনিটে ববুরবেক ইউলদাশেভের গোলে সমতায় ফেরে দলটি। এরপর মিগুয়েল ফিগুইরা দামাসেনোর গোলে প্রত্যাশিত ২-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে বসুন্ধরা কিংস।
চলতি এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপে বসুন্ধরার এটি তৃতীয় জয়। এ জয়ে ডি গ্রুপ থেকে সবার উপরে অবস্থান দলটির। ৫ ম্যাচে শেষে দলটির পয়েন্ট এখন ১০।
কিংস অ্যারেনায় এদিন শুরুতেই ভুল করে বসে বসুন্ধরা। গোলরক্ষকের বাড়ানো বল পেয়ে যায় মালদ্বীপের ক্লাব মাজিয়ার ফুটবলার ওবেং রেগান। বল জালে জড়াতে ভুল করেননি তিনি। গোলরক্ষকে বোকা বানিয়ে মাজিয়াকে এগিয়ে নেন তিনি।
এরপর অবশ্য আক্রমণে যাওয়ার খুব একটা সুযোগ হয়নি মাজিয়ার। একের পর এক আক্রমণে মাজিয়ার রক্ষণকে কোণঠাসা করে রাখে বসুন্ধরার ফুটবলাররা। গোল হজম করার পর মিরিয়া হয়ে উঠে সমতায় ফিরতে। তবে কিছুতেই যেন জালের দেখা পাচ্ছিল না দলটি। প্রথমার্ধ শেষ করতে হয় পিছিয়ে থাকার আক্ষেপ নিয়ে।
দ্বিতীয়ার্ধে গোলের ক্ষুধা যেন আরও বাড়ে বসুন্ধরার। একের পর এক আক্রমণে কাঁপছে তখন প্রতিপক্ষের রক্ষণ। সমর্থকদের উল্লাস থামানোর সুযোগ কই। এই বুঝি হচ্ছে গোল। কখনো রাকিব তো কখনো মোরসালিন কখনো বা ইউলদাশেভ কিংবা দামাসেনো। প্রতিপক্ষকে আক্রমণে রীতিমতো কোণঠাসা করে ফেলেন তারা। তবে কিছুতেই যেন ফিনিশিংটা ঠিকঠাক হচ্ছিল না। ক্রমেই বাড়ছিল হতাশা।
অবশেষে ম্যাচের ৮০ মিনিটে ভাঙে ডেডলক। মোরসালিনের বাড়ানো বল এবার আর মিস করেননি ইউলদাশেভ। ম্যাচে ফেরে বসুন্ধরা। ফুটবলাররাও যেন প্রাণ ফিরে পায়। আক্রমণের ধার বাড়ে তাতে। সুযোগ বুঝে ম্যাচের ৮৮ মিনিটে মাজিয়ার জালে বল পাঠিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মিগুয়েল।