তিন গোল খেয়ে এএফসি কাপ শুরু বসুন্ধরার
মাজিয়া চেনা প্রতিপক্ষ। হরহামেশাই এএফসি কাপের মঞ্চে বাংলাদেশি দলগুলোর দেখা হয়ে যায় মালদ্বীপের ক্লাবটির সঙ্গে। মাজিয়ার শক্তি-দুর্বলতা সবকিছুই ভালো করে জানা ছিল বসুন্ধরার। অতীত রেকর্ডও পক্ষেই ছিল। অথচ মাঠে নামতেই সব এলোমেলো হয়ে গেল। খাপছাড়া ফুটবলে চেনা মাজিয়ার কাছে ৩-১ গোলে হেরে এএফসি কাপ শুরু হলো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নদের।
মাজিয়ার বিপক্ষে বসুন্ধরার হারের রেকর্ড ছিল না, দুই ম্যাচের দুটোতেই জিতেছিল দল; মালদ্বীপের দলগুলোর বিপক্ষেও দলের রেকর্ড ছিল শতভাগ জয়ের। এরপর সঙ্গে যোগ করুন এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রাথমিক পর্বে দলের পারফর্ম্যান্স। সে ম্যাচে মিগেল দামাসেনোরা সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে জিতেই তো যেতে পারত বসুন্ধরা!
গতকাল মালদ্বীপের জাতীয় ফুটবল স্টেডিয়ামে বসুন্ধরা শুরুটাও করেছিল বেশ। শুরুর ১৫ মিনিটে কম করে হলেও তিনটে গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন রবসন রবিনিওরা। ১৪তম মিনিটে প্রতিপক্ষ বিপদসীমায় দরিয়েলতন গোমেজ ফাঁকায় পেয়ে গিয়েছিলেন বল, তবে শটটা তিনি নেন লক্ষ্যের অনেক বাইরে দিয়ে।
এর পরের মিনিটে অনেকটা ধারার বিপরীতে গিয়ে গোল হজম করে বসে বসুন্ধরা। তারিক কাজীর ভুল পাস থেকে পাওয়া বলে বক্সের অনেক বাইরে থেকে শট নিয়ে বসেন বালবানোভিচ। সেটা গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর হাত এড়িয়ে গিয়ে জড়ায় জালে।
বলের দখল শুরু থেকেই নিজেদের কাছে রেখেছে কিংস। তবে সেটা ঠিকঠাক আক্রমণেই তো রূপ দিতে পারছিল না দলটা। তার আগেই মাজিয়া ভেঙে দিয়েছে সব। যাও কিছু সুযোগ এসেছে দলের সামনে, সেগুলোও তো ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারেনি বসুন্ধরা!
বিরতির পর বিভীষিকা আরও বাড়ে দলটির। ৬৮ মিনিটে কর্নার থেকে ভেসে আসা বল ঠিকঠাক ক্লিয়ার করতে পারেনি বসুন্ধরার রক্ষণ। চার মিনিট আগে বদলি হিসেবে নামা হাসান রাইফের পায়ে চলে যায় বল। বক্সের একটু বাইরে থেকে তার করা শট বসুন্ধরা রক্ষণ, গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোকে ফাঁকি দিয়ে চলে যায় জালে।
যোগ করা সময়ের শুরুতে নিজেদের তৃতীয় গোলটা পেয়ে যায় মাজিয়া। বক্সের ভেতর ফাঁকায় পেয়ে যাওয়া বলটা থেকে গোল করতে ভুল করেননি ওই হাসান। এরপর বসুন্ধরাও গোল পেয়েছে ম্যাচের একেবারে শেষের দিকে। তপুর বাড়ানো বল থেকে দরিয়েলতনের মাথা ছুঁয়ে বল চলে আসে মোহাম্মদ ইব্রাহিমের কাছে, তার করা হেডার গিয়ে আছড়ে পড়ে জালে। তবে সেটা স্রেফ ব্যবধানই কমাতে পেরেছে দুই দলের। বসুন্ধরাকে নিদেনপক্ষে একটা পয়েন্টও এনে দিতে পারেনি।