হাসান তোপে দ্বিতীয় ইনিংসে লঙ্কানদের ব্যাটিং ধস
বাংলাদেশকে ১৭৮ রানে অলআউট করে ৩৫৩ রানের লিড পায় শ্রীলঙ্কা। চাইলেই ফলোঅন করানো যেত বাংলাদেশ। সেটি না করে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে সফরকারীরা। হাসান মাহমুদের বোলিং তোপে ৭৮ রানেই হারিয়েছে পাঁচ উইকেট। যেখানে অভিষিক্ত হাসান একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট।
এদিন লঙ্কানদের ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দেন হাসান মাহমুদ। ৪ রানে ফেরান দিমুথ করুণারত্নেকে। এরপর কুশাল মেন্ডিসকে ফিরিয়ে জোড়া আঘাত করেন খালেদ আহমেদ। মাঝে নিশান মাদুশকা ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস জুটি গড়ে দলকে টানেন। তবে সেই জুটি বেশি দূর এগোতে দেননি হাসান। ৩৪ রানে ফেরান মাদুশকাকে।
এরপর দিনেশ চান্দিমাল ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকেও দ্রুতই সাজঘরের পথ ধরান হাসান। টেস্ট সিরিজে এই প্রথম ফিফটির কমে আউট হলেন লঙ্কান অধিনায়ক। এর আগে সিলেটে দুই ইনিংসে জোড়া সেঞ্চুরির পর চট্টগ্রামেও ছিলেন সেঞ্চুরির পথে। তবে সেঞ্চুরি না পেলেও ৭০ রান করেছিলেন তিনি। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে তাকে বেশি দূর যেতে দেয়নি হাসান।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত লঙ্কানদের সংগ্রহ ৫ উইকেট খরচায় ৮৯ রান। উইকেটে ম্যাথুসের সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দারুণ ছন্দে থাকা কামিন্দু মেন্ডিস।
এর আগে, তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনেই তিন উইকেট খোয়ায় বাংলাদেশ। অধিনায়ক নাজমুল ইসলাম শান্ত ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারেননি এই টেস্টেও। ফিরেছেন মাত্র ১ রান করে। এরপর তাইজুলও ফিরে যান ২২ রান করে। মুমিনুল ও সাকিব লাঞ্চের আগে বিপদ বাড়তে দেননি আর। অবশ্য লাঞ্চের পর আবারও সব এলোমেলো। সাকিব ১৫ রানে ফিরলে দ্রুতই ফিরেন লিটন দাস।
শাহাদাত দীপু ও মেহেদী মিরাজরাও সঙ্গ দিতে পারেননি মুমিনুলকে। আগের টেস্টে ব্যাটারদের অভাবে সেঞ্চুরি না পাওয়া মুমিনুল এদিনও উইকেটে সেট হয়ে গিয়েছিলেন। তবে তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি কেউ। একটা পর্যায়ে এসে ভুল করেছেন তিনিও। তবে সেই ভুলের পেছনে দায় আছে আম্পায়ারেরও। কেননা, আম্পায়ারস কল পক্ষে না থাকাতেই যে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাকে।
মুমিনুলের পর হাল ধারার ছিল না কেউই। খালেদ-হাসানের কাছে বেশি প্রত্যাশা করেই বা কি লাভ। খালেদ ১ রানে থামলে ১৭৮ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।এরপর বাংলাদেশকে ফলোঅনে না পাঠিয়ে পুনরায় ব্যাটিং করতে নামে শ্রীলঙ্কা।