মিরাজের নৈপুণ্যেই টিকে থাকল বাংলাদেশের সিরিজ জয়ের স্বপ্ন

মিরাজের নৈপুণ্যেই টিকে থাকল বাংলাদেশের সিরিজ জয়ের স্বপ্ন

বোলিংয়ের ফাইফারের পর ব্যাটিং ধস সামলে লিটন দাসকে নিয়ে ১৬৫ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন মেহেদী হাসান মিরাজ। সেঞ্চুরির পথে এগোলেও ফেরেন ৭৮ রান করে। বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়েও মিরাজের দারুণ এই পারফর্মে কার্যত টিকে রইলো বাংলাদেশের ইতিহাস গড়ার স্বপ্ন, পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জয়ের।

পিন্ডি টেস্টের ইতিমধ্যেই শেষ তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশন। প্রথম সেশনটা দুঃস্বপ্নের মতো গেলেও লিটন-মিরাজের ব্যাটে চড়ে দ্বিতীয় সেশনটা বাংলাদেশের। সেখানেই চা বিরতিতে যাওয়ার আগে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫৩ ওভার ৩ বলে ৮ উইকেটে ১৯৩ রান। একসময় যখন ফলো অনের শঙ্কায় ছিল দল তখন সেই শঙ্কা কাটিয়ে এখন স্বাগতিকদের চেয়ে ৮১ রানে পিছিয়ে আছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

মিরাজের নৈপুণ্যে দু'বারই বড় বাঁধা থেকে উতরে গেল বাংলাদেশ। ইনিংসের শুরু ওভারে উইকেট হারালেও সাইম আইয়ুব ও শান মাসুদের জুটি শঙ্কা বাড়াচ্ছিল বড় ব্যবধানের। স্বাগতিকদের দলীয় রান ১০৭-এও উইকেট পড়েছে কেবল একটি। সেখানেই শুরু মিরাজের ভেল্কী, ১৫ রানের মধ্যে সাজঘরে ফেরালেন দুই সেট ব্যাটারকে। কার্যত সেখানেই থেমে যায় পাকিস্তানের রানের গতি। পরে শেষদিকে আরও তিনটি উইকেট তুলে নেন মিরাজ। এতে স্বাগতিকদের প্রথম ইনিংস থামে ২৭৪ রানে। 

এটি ছিল টেস্ট ক্রিকেটে মিরাজের দশম ফাইফার, বিদেশের মাটিতে তৃতীয়বার এবং পাকিস্তানের মাটিতে এই প্রথম। এমনকি মোহাম্মদ রফিকের পর এই প্রথম পাকিস্তানের মাটিতে কোনো বাংলাদেশি বোলার পেলেন ইনিংসে ইনিংসে ৫ উইকেটের দেখা। 

মিরাজের নৈপুণ্যের শেষ তো এখানেই না। দেশের সময়ের অন্যতম এই অলরাউন্ডারের ব্যাটিং ঝলক দেখানো তখনও বাকি। সেটিও আবার দলের যখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তখনই। যেন ‘নিড ইনিথিং, দেয়ার উইল বি মিরাজ’। যখনই দলের প্রয়োজন এই টেস্টে তখনই হাল ধরেছেন মিরাজ। ব্যাটিংয়ে নেমে ২৬ রানের ৬ উইকেট হারিয়ে বিশাল ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সফরকারীরা। সেখানে লিটনকে নিয়ে দলকে খাদের কিনার থেকে টেনে তোলেন মিরাজ। গড়েন ১৬৫ রানের দারুণ এক জুটি। দলীয় ১৯১ রানের মাথায় খুররমের বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ডানহাতি ব্যাটার। এবং মজার ব্যাপার হলো মিরাজের এই উইকেটটি এই টেস্টের খুররমেরও পঞ্চম উইকেট। আগের ম্যাচে যে ফাইফার পেয়েছেন তার উইকেট তুলেই ফাইফারে কাতারে ভিড়লেন খুররম নিজেও। 

১২৪ বলে মিরাজের ৭৮ রানের এই ইনিংস সাজানো ১২ চার ও ১ ছক্কায়। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো একই টেস্টে ফাইফার ও ফিফটির কীর্তি গড়লেন মিরাজ। 

সম্পর্কিত খবর