চা বিরতি যখন নিউজিল্যান্ডের আশীর্বাদ
মিরপুর টেস্টে নিউজিল্যান্ডকে ১৩৭ রানের টার্গেট ছুড়েও ম্যাচটা জমিয়ে তুলেছিল বাংলাদেশ। একটা সময় তো মনেই হচ্ছিল ম্যাচটা বুঝি জিতেই যাচ্ছে বাংলাদেশ। চতুর্থ দিনের দিনের চা বিরতির আগেও দারুণভাবে ম্যাচে ছিল বাংলাদেশ। তবে এরপর পরই বদলে যায় দৃশ্য পট। উইকেটে জমে গিয়ে বাংলাদেশি বোলারদের ওপর পাল্টা আক্রমণ করেন গ্লেন ফিলিপস ও মিচেল স্যান্টনার। মিরপুরের স্পিনস্বর্গে সপ্তাম উইকেটে ৭০ রানের অবিছিন্ন জুটি গড়ে ম্যাচটা বাংলাদেশের থেকে ছিনিয়ে নেন ফিলিপস-স্যান্টার জুটি।
চা বিরতির পর হঠাৎ কীভাবে এতোটা বদলে গেল নিউজিল্যান্ড। কিসের মন্ত্রে হারতে বসা ম্যাচটা জিতে সিরিজ সমতা টানল কিউইরা। সেই মন্ত্র নিয়েই কথা বলেছেন মিরপুর টেস্টের নায়ক ফিলিপস। জানিয়েছেন চা বিরতি কীভাবে আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়িয়েছিল তাদের জন্য।
ফিলিপস বলেন, ‘ওরা তখন সত্যিই ভালো বোলিং করছিল। চা পান করা আমাদের জন্য সত্যিকারের আশীর্বাদ ছিল। ওই সময়টাতে আমরা কথা বলে কৌশল সম্পর্কে কিছুটা পরিষ্কার হয়ে নিয়েছিলাম। স্যান্টনার অবিশ্বাস্যভাবে দ্রুত সারা দিয়েছে। আমি তাকে গেম প্ল্যানে দিয়েছিলাম, লেগ-সাইডে খেলা এবং আমার মতো শক্ত হাতে ব্যাট ব্যবহার করা। তার কাছেও এটা ভাল বিকল্প মনে হয়েছে। চা পান করার পর যেভাবে তিনি ব্যাট চালিয়েছেন তা অবিশ্বাস্যভাবে চিত্তাকর্ষক ছিল। এটা আমার নিজের উপর চাপ সরিয়ে নিয়েছে।’
ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসেও দারুণ ব্যাট করেছেন ফিলিপস। ৪৬ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর দলকে টেনে নিয়ে গেছেন ১৮০ অবধি। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৪ ছয় ও ৯ চারে ৭২ বলে ৮৭ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করার সময় ওই ইনিংসটিও যে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে ফিলিপস জানিয়েছেন সেটিও।
ফিলিপস বলেন, ‘প্রথম ইনিংসের সময় দিনের শেষে, আমি আমার পরিকল্পনায় অটল ছিলাম। এটি প্রথম ইনিংসে কাজ করেছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করার সময়ও আমরা প্রথম খেলা থেকে সামঞ্জস্য করেছিলাম। তাই এটি কাজে লেগে ছিল। আমার লক্ষ্য ছিল যতটা সম্ভব গভীরে নিয়ে যাওয়া যায়। তবে বাংলাদেশের বোলাররা নতুন বলে সত্যিই ভালো করছিল। কিছু বল স্কিড করছিল। এটা আমাদের ব্যাটারদের জন্য কঠিন ছিল।’