শেষবেলায় জোড়া আঘাতে কাজ এগিয়ে রাখলেন হাসান
রাওয়ালপিন্ডিতে ঠিক আগের দিনের মতো তৃতীয় দিনের একদম শেষদিকে এসে এবার অলআউট হলো বাংলাদেশ। সেখানে নাজমুল হোসেন শান্তদের সংগ্রহ ২৬২ রান। এতেই ১২ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে পাকিস্তান। তবে স্বস্তি নিয়ে স্বাগতিকদের দিন শেষ করতে দিলেন না হাসান মাহমুদ। ২ রানের ব্যবধানে নিয়েছেন জোড়া উইকেট।
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে ৩ ওভার ৪ বলে ২ উইকেটে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৯ রান। এতে ২১ রানে এগিয়ে থাকলেও প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসটাও বড় ধাক্কা দিয়েই শুরু করলো শান মাসুদের দল।
চতুর্থ দিনের কাজটা বেশ ভালোভাবেই সেরে রাখলেন হাসান। প্রথম ইনিংসে মূল বোলারদের মধ্যে তিনিই ছিলেন উইকেট শূন্য। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুটা রাঙাল এই ডানহাতি পেসারই।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ফেরান ওপেনার আবদুল্লাহ শফিককে। আরও একবার ওপেনিংয়ে নেমে ব্যর্থ এই ডানহাতি ব্যাটার। আগের ইনিংসে ফিরেছিলেন শূন্য রানে। এদিকে নিজের পরের ওভারে নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে নামা খুররম শেহজাদকে বোল্ড করে ফেরান হাসান।
এর আগে লিটন-মিরাজের অসাধারণ ব্যাটিং নৈপুণ্যে ২৬২ রানে থামে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। দিনের শুরুতেই খুররম ও মীর হামজার পেস তোপে ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। সেখানে শুরুর ব্যাটিং বিপর্যয় সামলে মিরাজে নিয়ে ১৬৫ রানের রেকর্ড জুটি গড়েন লিটন। ৫০ রানের নিচে ইনিংসের ৬ উইকেটের পড়ে যাওয়ার পর টেস্টের ইতিহাসে ৭ম উইকেটে এটিই এখন সর্বোচ্চ জুটি। সেখানে মিরাজ ৭৮ রানে ফিরলেও একপ্রান্ত সামলে এগোতে থাকেন লিটন।
পরে ১৭১ বলে লিটন তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি এবং শেষ পর্যন্ত ১৩৮ রান করে আউট হন পার্ট-টাইম স্পিনার সালমান আলী আঘার বলে। ২২৮ বলে লিটনের এই নান্দনিক ইনিংস সেজেছে ১৩ চার ও ৪টি ছক্কার মারে। এদিকে হাসান মাহমুদের ইনিংসটাও বড় প্রশংসার দাবী। অপরাজিত থাকা এই টেল এন্ডার ব্যাটার করেছেন ৫১ বলে ১৩ রান। পাকিস্তানের হয়ে এই ইনিংসে দারুণ ছন্দে ছিলেন খুররম। টেস্টে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ফাইফার পাওয়া এই ডানহাতি পেসার নিয়েছেন ৬ উইকেট। এছাড়া দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মীর ও সালমান।
এদিকে নিজেদের প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ২৭৪ রান। সেখানে ফিফটি পেরোনো ইনিংস খেলেন সাইম, মাসুদ ও সালমান। মিরাজ সেখানে তোলেন নিজের নিজের দশম ফাইফার এবং পরে ব্যাটিংয়েও খেলেন ৭৮ রানের দারুণ এক ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড (তৃতীয় দিন শেষে):
পাকিস্তান, ১ম ইনিংস: ২৭৪/১০ (৮৫.১ ওভার) (সাইম ৫৮, মাসুদ ৫৭, সালমান ৫৪; মিরাজ ৫/৬১, তাসকিন ৩/৫৭)
বাংলাদেশ, ১ম ইনিংস: ২৬২/১০ (৭৮.৪ ওভার ) (লিটন ১৩৮, মিরাজ ৭৮; খুররম ৬/৯০)
পাকিস্তান, ২য় ইনিংস*: ৯/২ (৩.৪ ওভার) (সাইম ৬*; হাসান ২/৩)