১২:১১
২৫ রানে জিতল বাংলাদেশ
শেষ ওভারে নিদেনপক্ষে ৫টা ছক্কা প্রয়োজন ছিল নেদারল্যান্ডসের। তবে ডাচদের ৭ রানের বেশি দেননি তাসকিন আহমেদ। শেষ বলে উইকেটও তুলে নিলেন তিনি। তাতে নেদারল্যান্ডসের ইনিংস শেষ হলো ১৩৪ রানে। বাংলাদেশ ম্যাচটা জিতল ২৫ রানে।
বাংলাদেশ ১৫৯/৫, ২০ ওভার
নেদারল্যান্ডস ১৩৪/৮, ২০ ওভার
ফলাফল- বাংলাদেশ ২৫ রানে জয়ী
১২:০৭
শেষ ওভারে ডাচদের চাই ৩৩
মুস্তাফিজ ১৯তম ওভারে দিয়ে গেলেন মোটে ৪ রান। তাতে শেষ ওভারে ডাচদের প্রয়োজন পড়ল ৩৩ রান। বাংলাদেশ দুটো পয়েন্ট পেয়ে গেছে, এখন বোধ করি বলে ফেলাই যায়!
নেদারল্যান্ডস ১২৭/৭, ১৯ ওভার
১২:০২
রিশাদ ৪-০-৩৩-৩
শুরুর দুই ওভারে খরুচে ছিলেন। তবে শেষ দুই ওভারে রিশাদ হোসেন পুষিয়ে দিয়েছেন ভালোভাবেই। তিন উইকেট নিয়েছেন। ম্যাচটার সমতা ভেঙে বাংলাদেশের হাতে নিয়ে এসেছেন। তিনি তার কোটা শেষ করলেন ৩৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে।
নেদারল্যান্ডস ১২৩/৪, ১৮ ওভার
১১:৫৯
রিশাদের ঝুলিতে আরও এক শিকার
রিশাদ হোসেন তার আগের ওভারে ম্যাচটা বাংলাদেশের পক্ষে নিয়ে এসেছিলেন। তুলে নিয়েছিলেন জোড়া উইকেট। দুই ওভার পর এবার ফিরে এসে আরও এক উইকেট তুলে নিলেন তিনি।
তার বলে মারতে গিয়ে বল আকাশে তুলে দিলেন লোগান ফন বিক। বলটা গেল তারই হাতে। রিশাদ পেয়ে গেলেন তার তৃতীয় উইকেটের দেখা।
নেদারল্যান্ডস ১১৭/৭, ১৭.১ ওভার
১১:৫৬
মুস্তাফিজের ‘না হওয়া’ উইকেট মেইডেন
প্রথম বলটায় ওয়াইডটা দিয়েই ‘ভজকট’টা পাকিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। পরের বলে উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। এরপরের পাঁচ বলে তিনি আর একটা রানও দেননি টিম প্রিঙ্গলকে।
ধারাভাষ্যকার তো বলেই ফেললেন, ‘এই ওভারে মুস্তাফিজ আর লিটনই খেললেন!’ জাকেরের ওই ক্যাচের কথা ভুলে গেলে চলবে?
নেদারল্যান্ডস ১১৭/৬, ১৭ ওভার
১১:৫৩
এডওয়ার্ডসকে ফেরালেন মুস্তাফিজ
এঙ্গেলব্রেখট ফিরলেও স্কট অ্যাডওয়ার্ডস অস্বস্তিতে রেখেছিলেন খানিকটা। তাকেও এসে ফিরিয়ে দিলেন মুস্তাফিজ।
গতির হেরফেরেই কাজটা হলো। তার বলটা পড়তেই পারেননি ডাচ অধিনায়ক। তার ব্যাটে লিডিং এজ হয়ে বলটা সোজা যায় শর্ট থার্ড ম্যানে থাকা জাকের আলীর হাতে।
নেদারল্যান্ডস ১১৭/৬, ১৬.১ ওভার
১১:৫১
সাকিব ৪-০-২৯-০
আজও উইকেটের দেখা পেলেন না সাকিব। তবে তৃতীয় ওভারের মতো শেষ ওভারেও সাকিব দিয়ে গেছেন ৫ রান। ফলে তিনি ২৯ রান দিয়ে কোটা শেষ করেছেন তিনি। ডাচদের চাই ২৪ বলে ৪৪ রান।
নেদারল্যান্ডস ১১৬/৫, ১৬ ওভার
১১:৪৭
রিশাদের আরও এক!
নতুন ব্যাটার বাস ডি লিডা সামনে এগিয়ে ডিফেন্ড করতে চেয়েছিলেন রিশাদকে। পারলেন না, বলটা মিস করে গেল তার ব্যাট, পা তখন তার ক্রিজের বাইরে। বলটা গ্লাভসে জমিয়েই লিটন দ্রুত ভাঙলেন স্টাম্প। থার্ড আম্পায়ারের স্ক্রিনে দেখা গেল ডি লিডা আউটই। কোনো রান যোগ না করে নেদারল্যান্ডস হারিয়ে বসল দুটো উইকেট। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেটা, এই ওভার থেকে এসেছে ৭ রান।
নেদারল্যান্ডস ১১১/৫, ১৫ ওভার
১১:৪৫
অবশেষে রিশাদের সফলতা
জুটি গড়ে উঠছিল, পানির মতো রান আসছিল নেদারল্যান্ডসের। সেখান থেকে একটা উইকেট খুবই প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। সে উইকেটটা এনে দিলেন রিশাদ।
তার বাঁক নিয়ে বেরিয়ে যেতে থাকা বলটা ঠিকঠাক পড়তে পারেননি এঙ্গেলব্রেখট। ব্যাট চালালেন, বলটা ব্যাটের কাণায় লেগে উঠে গেল সোজা ওপরে। তানজিম সাকিব দারুণ এক ক্যাচ নিলেন রোদের বিপরীতে দাঁড়িয়ে।
নেদারল্যান্ডস ১১১/৪, ১৪.৪ ওভার
১১:৪০
সাকিবের ৫ রানের ওভার
ওভারপ্রতি রান তরতরিয়ে বাড়ছিলই নেদারল্যান্ডসের। এমন পরিস্থিতিতে এসে ইনিংসের ১৪তম ওভারে ৫ রান দিলেন। এমন ওভার আরও প্রয়োজন বাংলাদেশের। তার চেয়েও বেশি চাই একটা ব্রেক থ্রু।
নেদারল্যান্ডস ১০৪/৩, ১৪ ওভার
১১:২৫
দশ শেষে দুই দল সমানে সমান
ইনিংসের দশ ওভার শেষ। ডাচরা শুরুটা ভালো করে সেটা ধরেও রেখেছে। দশ ওভার শেষে ৭৪ রান তুলে ফেলেছে দলটা। ঠিক এই সময় বাংলাদেশের রান ছিল ৭৬। উইকেটের দিক থেকে দুই দলই সমান, তিন উইকেট করে খুইয়েছে।
তবে একটা দিক থেকে বিষয়টা বাংলাদেশের জন্য চিন্তার। ৭ থেকে ১০ পর্যন্ত বাংলাদেশ তুলতে পেরেছিল মোটে ২২ রান। ওখানে ডাচরা তুলেছে ৩৮ রান। মানে রান তোলার গতি বাড়াচ্ছে দলটা। এই গতিতে কীভাবে লাগাম পরাবে বাংলাদেশ?
১১:২২
‘পয়া’ মাঠে মাহমুদউল্লাহর ব্রেক থ্রু
ক্যারিয়ারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের যা কীর্তি, সব ব্যাট হাতে। তবে বল হাতেও তার দলকে জেতানোর কীর্তি আছে, তাও আবার অভিষেকেই। ২০০৯ সালে উইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকে ৫ উইকেট নিয়ে দলকে জিতিয়েছিলেন তিনি। মাঠটাকে তাই ভালোভাবেই মনে রাখবেন তিনি।
সেই মাঠে ১৫ বছর পর আক্রমণে এসেই সফলতা পেলেন তিনি। তাতে অবশ্য ব্যাটার বিক্রমজিত সিংয়ের দায় আছে বেশ। সাকিব-রিশাদকে ছক্কা হাঁকিয়ে একটু বেশিই আত্মবিশ্বাসী হয়ে গিয়েছিলেন যেন। মাহমুদউল্লাহকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়েছিলেন উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এসে। সেটা লক্ষ্য করে তিনি বলটা করলেন বিক্রমের নাগালের বাইরে। তাকে স্টাম্পিং করতে কোনো সমস্যাই হয়নি লিটন দাসের। বাংলাদেশ পেয়ে গেল তৃতীয় উইকেটের দেখা।
নেদারল্যান্ডস ৬৯/৩, ৯.৩ ওভার
১১:১৮
ট্যাকটিকাল ভুল?
আগের ওভারে সাকিবকে দুটো ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন বিক্রমজিত সিং। বাতাস যেদিক থেকে বইছে, সেদিকেই গেছে বিক্রমের স্লগ সুইপ দুটো। সাকিবকে সরিয়ে এক ওভার পর ওই প্রান্ত থেকেই রিশাদ হোসেনকে শান্ত আনলেন আক্রমণে। এবারও রিশাদকে ওই স্লগ সুইপেই ছক্কা হাঁকালেন বিক্রম।
স্পিনের বিপক্ষে তার স্ট্রাইক রেটটা ১৫০ ছাড়ানো, যেখানে পেসের বিপক্ষে তা ৯০। যার মানে এমনিতেই স্পিনের বিপক্ষে বেশ ভালো খেলেন তিনি। তার ওপর বাতাস যেদিকে বইছে, সেখান থেকে আক্রমণে আনা হলো সাকিব-রিশাদকে।
ট্যাকটিকাল ভুলই কি করে ফেললেন শান্ত?
নেদারল্যান্ডস ৬৮/২, ৯ ওভার
১১:০৯
খরুচে সাকিব!
বোলিংটা তার সহজাত। সাকিব আল হাসান সেখানেও ধার হারিয়েছেন শেষ কিছু দিনে। আজ ব্যাটে ধার ফেরার দিনে মনে হচ্ছিল বোলিংটাতেও বুঝি স্বরূপে ফিরবেন।
কিন্তু তা আর হলো কই! পাওয়ারপ্লেতে বাংলাদেশ চেপে ধরেছিল ডাচদের। সেখানে পাওয়ারপ্লে শেষের ঠিক পর আক্রমণে এসে সাকিব হজম করলেন দুটো ছক্কা। সব মিলিয়ে দিলেন ১৪ রান। বল হাতে ধারটা ফিরে পেতে বুঝি আরও কাঠখড় পোড়াতে হবে সাকিবকে!
নেদারল্যান্ডস ৫০/২, ৭ ওভার
১১:০৬
পাওয়ারপ্লে শেষে...
নেদারল্যান্ডস শুরুটা করেছিল বেশ ভালো। তবে তারপর পাওয়ারপ্লের শেষ দুই ওভারে যেভাবে বাংলাদেশ ‘কামব্যাকটা’ করেছে, তাতে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বেশ খুশিই হবেন। দুই ওভারে দুই উইকেট শিকার করেছে দল। তাতে পাওয়ারপ্লে শেষে খানিকটা স্বস্তিই মিলেছে বৈকি।
নেদারল্যান্ডস ৩৬/২, ৬ ওভার
১১:০৩
এবার তানজিমের আঘাত, ফিরলেন ও’ডাউড
পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে এসে আগ্রাসী হতে চেয়েছিলেন ম্যাক্স ও’ডাউড। একটা চার মেরেছিলেন দ্বিতীয় বলে। এরপর চতুর্থ বলে খেলতে চেয়েছিলেন বোলার্স ব্যাক ড্রাইভ। তবে ব্যাটে বলে হলো না। বলটা গিয়ে জমা পড়ল তানজিম সাকিবের হাতে। বাংলাদেশ পেয়ে গেল দ্বিতীয় উইকেটের দেখা।
নেদারল্যান্ডস ৩২/২, ৫.৪ ওভার
১০:৫৭
তাসকিনের হাতেই এল পরমারাধ্য ব্রেক থ্রুটা
চারটা ওভার গেলেও উইকেট আসছিল না। খানিকটা দুশ্চিন্তারই ছিল বিষয়টা। তবে অবশেষে উইকেটের দেখা পেল বাংলাদেশ। আর সেটা এল তাসকিন আহমেদের হাত ধরে। তার অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে তাওহীদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন মাইকেল লেভিট।
নেদারল্যান্ডস ২২/১, ৪.২ ওভার
১০:৫০
শান্তর দুর্দান্ত থ্রো, তবু ব্রেক থ্রু এল না!
আগের বলে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন লেভিট। এরপর মিড অফে বল ঠেলে একটা রান চুরি করে নিতে চেয়েছিলেন তিনি। সেখানে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত বলটা পেয়েই ডিরেক্ট হিট করলেন নন স্ট্রাইকিং প্রান্তের স্টাম্পে। তবে আম্পায়ারের রিভিউতে দেখা গেল স্টাম্প ভেঙেছে লেভিট ক্রিজে ঢোকার পর। খুবই ক্লোজ এক কল ছিল!
নেদারল্যান্ডস ১৭/০, ২.৩ ওভার
১০:৪৫
পয়েন্টে দুর্দান্ত জাকের!
ম্যাক্স ও'ডাউডের শটটা পয়েন্ট দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল। দারুণ এক চেষ্টায় বলটা থামিয়ে দিলেন জাকের আলী। চারটা নিশ্চিত রান হজম করা থেকে রক্ষা পেল বাংলাদেশ।
তবে দলের এখন উইকেট চাই। নাহয় আর্নস ভেলে এই রান তাড়া করাটা অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে না আদৌ!
নেদারল্যান্ডস ৬/০, ১.৩ ওভার
১০:৩১
এ রান যথেষ্ট হবে তো?
শুরুর ছয় ওভারে বাংলাদেশ রান পেয়েছে ৫৪। শেষ পাঁচ ওভারেও ওই ৫৪ই। এই ১১ ওভারে বাংলাদেশ রান তুলেছে ১০৮। উইকেটের গতিপ্রকৃতি দেখে ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ ভালো বলেই মনে হয়েছে। এই উইকেটে ১৫৯ রানের পুঁজি বাঁচাতে পারবে তো বাংলাদেশ?
১০:২৯
বাংলাদেশের পুঁজি ১৫৯
মাঝের দিকে রানটা পড়ে গিয়েছিল। তবে শেষটা বাংলাদেশের ভালোই হয়েছে। শেষ পাঁচ ওভারে এল ৫৪ রান। শেষ ওভারে সাকিব আল হাসান তুলেছেন ১২ রান। বাংলাদেশ ইনিংস শেষ করল ৫ উইকেটে ১৫৯ রান তুলে।
১০:২২
১৯ থেকে এল ১৪
এমন জাকেরকেই তো চায় বাংলাদেশ! ১৯তম ওভারে জাকের হাঁকালেন তিনটি চার। আর তাতেই লোগান ফন বিকের এই ওভার থেকে এল ১৪ রান।
বাংলাদেশ ১৪৭/৫, ১৯ ওভার
১০:১৯
কতদূর যাবে বাংলাদেশ?
উইকেটে আছেন সেট ব্যাটার সাকিব আর নতুন ব্যাটার জাকের আলী অনিক। স্কোরবোর্ডে রান আছে ১৩৩ রান। ওভার বাকি আছে দুটো। এখান থেকে ১৬০ পেরোতে পারবে বাংলাদেশ?
১০:১৮
মাহমুদউল্লাহ ফিরলেন
বাতাসের বিপরীতে খেলা আবারও কাল হলো বাংলাদেশি ব্যাটারের। এবার শিকার বনলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুই ছক্কা আর এক চারে বাংলাদেশের ইনিংসকে ‘গ্র্যান্ডস্ট্যান্ড ফিনিশ’ দিতে নিচ্ছিলেন যেই না, ঠিক তখনই আরও তাকে হারাল বাংলাদেশ। ২১ বলে ২৫ রান করে ফিরছেন তিনি।
বাংলাদেশ ১৩০/৫, ১৭.৩ ওভার
১০:১৬
মাইলফলক ছুঁয়ে সাকিবের ৫০
তাকে নিয়ে সমালোচনাটা কম হয়নি শেষ কিছু দিনে। ব্যাটে-বলে সব দিক থেকেই তিনি ছিলেন ব্যর্থ। আজ সে সমালোচনাটা তিনি নিয়ে আছড়ে ফেললেন সীমানার ওপারে। ছুঁলেন ক্যারিয়ারের ১৩তম ফিফটিটা।
এর একটু আগে অবশ্য একটা মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেছেন। টি-টোয়েন্টিতে এখন তার রান ২৫০০ ছাড়াল।
বাংলাদেশ ১৩০/৪, ১৭.২ ওভার
১০:১৩
অবশেষে ১৬ রানের একটা ওভার
সপ্তম ওভারের পর থেকে রান আসছিল না মোটেও। তবে অবশেষে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আড়মোড়া ভাঙলেন। আগের ওভারে এক ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। টিম প্রিঙ্গলের করা ১৭তম ওভারে এক ছক্কা এক চার আর এক বাই চারে এই ওভার থেকে রান এল ১৬। খানিকটা স্বস্তি বৈকি!
বাংলাদেশ ১২৮/৪, ১৭ ওভার
১০:০৯
চাপ বাড়াচ্ছে ডাচরা
ছয় ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ছিল ৫৪। রান রেট ৯। ১৬ ওভার শেষে রানটা দাঁড়িয়েছে ১১২। রান রেট ৭। শেষ দশ ওভারে বাংলাদেশ রান তুলতে পেরেছে ওভারপ্রতি মোটে ৫.৮ করে। ডাচরা পাওয়ারপ্লের পর ফিরে এসেছে দারুণভাবে। তানজিদ তামিম আর তাওহীদ হৃদয়ের উইকেট দুটোই বাংলাদেশকে চেপে ধরেছে!
০৯:৫৫
‘ল অফ অ্যাভারেজে’ কাটা পড়লেন হৃদয়
আগের দুই ম্যাচে দারুণ খেলেছিলেন তাওহীদ হৃদয়। বাংলাদেশকে প্রথম ম্যাচে জিতিয়েছিলেন, দ্বিতীয় ম্যাচে নিয়ে গিয়েছিলেন খুব কাছে। তবে ‘ল অফ অ্যাভারেজ’এর কাটায় এবার পড়লেন তিনি। টিম প্রিঙ্গলের বলে বোল্ড হয়ে তিনি ফিরলেন সাজঘরে।
বাংলাদেশ ৮৯/৪, ১২.৩ ওভার
০৯:৪৪
দশ শেষে...
তামিমের বিদায়ের ফলে আবারও ‘রিবিল্ড’ প্রক্রিয়ায় ঢুকে যেতে হচ্ছে। দশ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৭৬, ৩ উইকেটে। পরের অর্ধে নিশ্চয়ই রানটা দ্বিগুণের বেশিই চাইবেন সাকিবরা!
০৯:৩৮
‘ফিফটি’র আগে ফিরলেন তামিম
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে তার জুটি দাঁড়িয়ে ছিল ফিফটির দুয়ারে, দুই রান প্রয়োজন ছিল। তিনি নিজেও যেভাবে খেলছিলেন, তাতে ইনিংসটায় ফিফটি তো প্রাপ্যই ছিল। কিন্তু শেষমেশ তা হলো আর কই! পল ফন মিকারেনের বলে তিনি ক্যাচ দিলেন ডি লিডার হাতে।
জোর বাতাস বইছে। লিটন ফিরেছিলেন এই বাতাসের বিপরীতে খেলতে গিয়ে। তামিমেরও বিদায় হলো ওই একই দশায়। বাতাসের বিপরীতে খেললেন, কিন্তু বলটা গেল ফিল্ডারের হাতে। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আরও একটা উইকেট নেই হয়ে গেল বাংলাদেশের।
বাংলাদেশ ৭১/৩, ৮.৩ ওভার
০৯:৩২
লাগাম টানলেন দত্ত
তামিম-সাকিব মিলে লাগামছাড়া হয়ে যাচ্ছিলেন। ছয় আর সাত ওভার থেকে এসেছিল ৩১ রান। ঠিক তখন দুই বাঁহাতিকে রুখতে ডাচ অধিনায়ক আক্রমণে আনলেন আরইয়ানকে, যিনি দুই উইকেট নিয়েছেন ইতোমধ্যেই। তাকে দেখে শুনেই তৃতীয় ওভারে খেলল বাংলাদেশ। দুজন মিলে তুললেন ৪ রান।
বাংলাদেশ ৭০/২, ৮ ওভার
০৯:২৯
সপ্তম ওভারে এল ১২
পাওয়ারপ্লে শেষেও তানজিদ তামিম থামেননি। বাস ডি লিডার প্রথম ওভার থেকে তিনি আদায় করে নিলেন ১২ রান। এ ওভার থেকে দুটো চার, দুটো সিঙ্গেল আর এক ডাবলে এসেছে এই রান। শেষ দুই ওভারে বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে যোগ করল ৩১।
বাংলাদেশ ৬৬/২, ৭ ওভার
০৯:২৪
তামিমে ‘শুরু’, সাকিবে শেষ বাংলাদেশের পাওয়ারপ্লে
বাংলাদেশ তখন খোলসেই ছিল। দলকে তা ছেড়ে বেরিয়ে আসার পথ দেখিয়েছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। ভিভিয়ান কিংমার করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারে তিনি নিয়েছিলেন ১৮ রান।
তবে পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে তামিমকে ছাড়িয়ে গেলেন সাকিব। লোগান ফন বিকের ওভারে হাঁকালেন ৪টি চার। এই আভার থেকে এল ১৯ রান। বাংলাদেশ তাদের পাওয়ারপ্লে শেষ করল দারুণভাবে। স্কোরবোর্ডে উঠে গেল ৫৪ রান।
০৯:১২
লিটনের সর্বনাশও ওই ক্রসব্যাটেই!
নাজমুল হোসেন শান্ত ফিরেছিলেন রিভার্স সুইপ খেলে। এবার লিটন দাস ধরলেন অধিনায়কের দেখানো পথ, আড়াআড়ি ব্যাটে খেলতে গেলেন। আরইয়ান দত্তকে সুইপ করতে গিয়েছিলেন। এরপর ডিপে দারুণ এক ক্যাচ নিয়েছেন সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট। লিটনও ফিরলেন এক অঙ্কে।
বাংলাদেশ ২৩/২, ৩.১ ওভার
০৯:১০
ঘটনাবহুল ওভারে তামিমের ১৮
ভিভিয়ান কিংমার দ্বিতীয় ওভারটা ভালোভাবেই কাজে লাগালেন তামিম। দুটো চার আর একটা ছক্কায় এল ১৮ রান। যে বল থেকে কোনো রান এল না, ওই বলেও হলো একটা ঘটনা। কিংমার বাউন্সার আটকে গিয়েছিল তার হেলমেটে। তাতে অবশ্য তেমন কোনো সমস্যা হয়নি তামিমের।
বাংলাদেশ ২৩/১, ৩ ওভার
০৮:৫৭
কেন শান্ত? কেন?
টসের সময়ই নাজমুল হোসেন শান্ত বলছিলেন, শুরুটা বেশ সতর্কভাবে করতে হবে। কিন্তু আজ তিনি নিজেই প্রথম ভাঙলেন তার প্রতিজ্ঞাটা। নাহয় বলুন, ইনিংসের মাত্র অষ্টম বলে কেন তিনি রিভার্স সুইপ করতে যাবেন অফস্পিনার আরইয়ান দত্তকে? এই করতে গিয়ে তিনি ক্যাচ দিয়েছেন একমাত্র স্লিপে। বাংলাদেশ তাদের প্রথম উইকেটটা হারাল দ্বিতীয় ওভারেই।
বাংলাদেশ ৩/১, ১.২ ওভার
০৮:৫২
ওপেনিংয়ে তামিম-শান্ততেই ভরসা
আগের ম্যাচে ওপেনিংয়ে তানজিদ হাসান তামিম আর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ওপর ভরসা রেখেছিল বাংলাদেশ। সেদিন অবশ্য দলকে ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি তারা। তবে আজও তাদের ওপরই ভরসা রেখেছে বাংলাদেশ। তার মানে লিটন দাস আসবেন তিনে।
০৮:৩৭
নেদারল্যান্ডস দলে এক পরিবর্তন
ডাচদের একাদশে একটা পরিবর্তন আছে। তেজা নিদামানুরুর জায়গায় একাদশে এসেছেন আরইয়ান দত্ত।
নেদারল্যান্ডসের একাদশ–
মাইকেল লেভিট, ম্যাক্স ও’ডাউড, বিক্রমজিত সিং, সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট, বাস ডি লিডা, স্কট অ্যাডওয়ার্ডস, আরইয়ান দত্ত, লোগান ফন বিক, টিম প্রিঙ্গল, পল ফন মিকারেন, ভিভিয়ান কিংমা।
০৮:৩৬
বাংলাদেশ অপরিবর্তিত
বাংলাদেশ তাদের দলে কোনো পরিবর্তন আনেনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যে একাদশ নিয়ে নেমেছিল, আজও তাদের ওপরই ভরসা রাখছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
বাংলাদেশের একাদশ–
তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান।
০৮:৩২
টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠাল নেদারল্যান্ডস
টস ভাগ্যটা আজও সঙ্গ দিল না বাংলাদেশকে। নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক স্কট অ্যাডওয়ার্ডস জিতলেন টসে। নিলেন ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত।
০৮:২৪
টস হবে ৮:৩০ এ
বৃষ্টির কারণে আধঘণ্টা দেরি হয়ে গেল। টস হবে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ৩০ মিনিট পর বাংলাদেশ সময় ৮টা ৩০ মিনিটে। ওভার কাটা যায়নি একটাও।
০৮:১৭
কেমন হবে উইকেট?
আর্নস ভেল স্টেডিয়ামে সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচটা হয়েছে ২০১৪ সালে। শেষ দশ বছর ধরে এখানে খেলা হয়নি আন্তর্জাতিক কোনো ম্যাচ। আর তাই ওখানের উইকেটটা কেমন হবে, তা নিয়ে পরিষ্কার ধারণা মিলছে না।
বাংলাদেশও তাই সন্দিহান, উইকেটের আচরণ কেমন হবে তা নিয়ে। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত সেটা জানালেন সংবাদ সম্মেলনে। বললেন, ‘এটা আসলে বলা মুশকিল। কারণ যদিও আমরা সেন্টার উইকেটে অনুশীলন করেছি, দুই উইকেট দুই ধরনের আচরণ করেছে। ব্যাটারদের কাছ থেকে ফিডব্যাক পেলাম বা আমি ব্যাট করে যা বুঝলাম। তো এটা বলা মুশকিল যে কাল কত রানের উইকেট হবে।’
এমন উইকেটে করণীয় কী হবে বাংলাদেশের, সেটাও জানালেন শান্ত। তিনি বললেন, ‘তো ব্যাটার বা বোলার হিসেবে কত তাড়াতাড়ি উইকেটটা রিড করতে পারছি, আর সে অনুপাতে পারফর্ম করতে পারছি সেটা গুরুত্বপূর্ণ।’
০৮:১৪
বাংলাদেশের অনুপ্রেরণা ইতিহাস, নেদারল্যান্ডসেরও
ডাচদের বিপক্ষে ৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে তিনটিতেই জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। সবশেষ ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ডাচদের হারিয়েছে বাংলাদেশ।
যদিও ইতিহাস থেকে অনুপ্রেরণাটা শুধু বাংলাদেশের একারই নয়, নেদারল্যান্ডসও নিতে পারে। সবশেষ ভারত বিশ্বকাপেই যে বাংলাদেশকে হারিয়ে দিয়েছিল তারা।
০৮:১২
চকচক করছে লঙ্কার দৃষ্টি!
‘ডি’ গ্রুপ থেকে শ্রীলঙ্কার সম্ভাবনাটা একেবারেই শেষ হয়ে যায়নি। আজ বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডসের ম্যাচটা বৃষ্টির কারণে বাতিল হলে ‘সুবিধা’টা হবে তাদেরই।
শেষ আটে যেতে হলে শ্রীলঙ্কার একটা ‘মিরাকল’ দরকার। সেটা কী?
১। নিজেদের ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে বিশাল ব্যবধানে হারাতে হবে।
২। আজ নেদারল্যান্ডস-বাংলাদেশ ম্যাচটা ভেস্তে যেতে হবে বৃষ্টিতে।
৩। নেপালের কাছে হারতে হবে বাংলাদেশকে।
৪। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারতে হবে নেপালকে।
এত সব সমীকরণ মিলে গেলে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস আর নেপালের সবার পয়েন্ট দাঁড়াবে ৩ এ। তখন আমলে নিতে হবে নেট রান রেট। ডাচদের বড় ব্যবধানে হারালে সেখানে সুযোগ থাকবে শ্রীলঙ্কার।
আজকের বৃষ্টিতে শ্রীলঙ্কার চেয়ে বেশি খুশি আর কেউ হবে না বোধ করি!
০৮:০৬
বৃষ্টি এবং টসে দেরি!
এইতো বিকেলে ঢাকা-কুমিল্লা, বাংলাদেশের অনেক জায়গায় বৃষ্টি হলো ঝমঝমিয়ে। সে বৃষ্টি সেন্ট ভিনসেন্টে হাজির হলো কী করে?
এতক্ষণে টসটা হয়ে যাওয়ার কথা। বৃষ্টির কারণে টসও হচ্ছে একটু দেরি করে!
০৮:০২
আবার বছর দশেক পরে...
‘জীবন গিয়েছে চলে আমাদের দশ দশ বছরের পার/তখন আবার যদি দেখা হয় তোমার আমার’
না, কবি জীবনানন্দ দাশ তার কবিতাটা ক্রিকেট নিয়ে লেখেননি এটা নিশ্চিত। তবে তার লেখা লাইনগুলো চাইলে একটু উলটে পালটে আর্নস ভেল স্টেডিয়ামের ক্ষেত্রে ব্যবহার করাই যায়।
দীর্ঘ দশ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরেছে এই মাঠে। গ্যালারি শেষ হলেই সৈকতের শুরু। তার ওপাশে প্রশান্ত মহাসাগর ঠায় দাঁড়িয়ে। খানিকটা অদূরে মাথা তুলে দাঁড়াবার চেষ্টা করছে একেবারেই ছোট্ট কোনো একটা আর্কিপেলাগো।এই হলো আর্নস ভেল স্টেডিয়াম, আর তার আশপাশ।
মাঠটা বাংলাদেশের জন্য স্মৃতিময় একটা জায়গাও। এখানেই বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজে প্রথম টেস্টটা জিতেছিল, অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের শুরুটা হয়েছিল। বাংলাদেশ ক্রিকেট নতুন যুগে পা রেখেছিল।
স্মৃতিময় আর্নস ভেলে আরও একটা নতুন যুগের সূচনা হোক, আজ নিশ্চয়ই তাই চাইবে বাংলাদেশ!
০৭:৫৬
স্বাগত!
এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মুখোমুখি বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস। এই মঞ্চে দুই দলের সবশেষ দেখায় সাকিব আল হাসানের বাংলাদেশ তাদের হারিয়েছিল বেশ হেসেখেলেই। এবার কী হবে?
এই ম্যাচের আদ্যন্ত ধারা বিবরণী নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছে স্পোর্টস বাংলা। আজকের এই লাইভে আপনাদের স্বাগত।
ধারাভাষ্যে আছি আছি আমি নেয়ামত উল্লাহ।