১২:০২
ভারতই চ্যাম্পিয়ন
অক্ষর পাটেলের করা ১৫তম ওভার শেষে ৩০ বলে ৩০ রান প্রয়োজন ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। সেখানে যশপ্রীত বুমরাহর একটা ওভারই খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিল। শেষ পাঁচ ওভারে দলটা তুলতে পারল মোটে ২৪ রান, যেখানে ১৫তম ওভারের ছয় বলেই এসেছিল ওই সংখ্যক রান! দক্ষিণ আফ্রিকা শেষের অঙ্কটা আর মেলাতে পারল না। হারল ৭ রানে।
১৭ বছর পর আবারও টি-টোয়েন্টির বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলো ভারত।
দক্ষিণ আফ্রিকা ১৬৯/৮, ২০ ওভার
১১:৫৬
প্রথম বলে ফিরলেন মিলার
হার্দিক পান্ডিয়ার করা ফুলটসটা সোজাসুজি মেরেছিলেন মিলার, অনেকটা দৌড়ে এসে সূর্যকুমার যাদব তা হাতে নিলেন, সীমানার বাইরে চলে যাচ্ছিলেন, বলটা ভেতরে পাঠিয়ে বাইরে থেকে এসে ক্যাচটা আবারও নিলেন। চাপের মুহূর্তে অবিশ্বাস্য এক ক্যাচ সূর্যর, অবিশ্বাস নিয়ে তার দিকে তাকিয়ে রইলেন মিলার। ৫ বলে চাই এখন ১৬ রান।
১১:৫২
শেষ ওভারে চাই ১৬
১৯তম ওভার থেকে আরশদীপ সিং দিয়ে গেলেন ৪ রান। প্রথম দুই বল ব্যাটেই লাগাতে পারেননি কেশভ মহারাজ। তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইক দিলেন মিলারকে। চতুর্থ বলে ডাবল নিয়ে পঞ্চম বলে তিনি নিলেন আরও একটা সিঙ্গেল। শেষ বলে আরশদীপের নিখুঁত এক ইয়র্কারে কেশভ রান নিতে পারেননি। যার ফলে শেষ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজনটা গিয়ে ঠেকল ১৬ রানে।
১১:৪৬
বুমরাহর শেষ ওভার থেকে এল ২
যশপ্রীত বুমরাহর শেষ ওভার থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা তুলতে পারল মোটে ২ রান। তার ওপর মার্কো ইয়ানসেনের উইকেটও খুইয়ে বসেছে দলটা। ১২ বলে এখন তাদের চাই ২০ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকা ১৫৭/৬, ১৮ ওভার
১১:৪৫
ইয়ানসেনকে ফেরালেন বুমরাহ
ভারত ম্যাচে ফিরে এসেছে ভালোভাবেই। আরও এক ‘বিউটি’তে মার্কো ইয়ানসেনকে ফেরালেন যশপ্রীত বুমরাহ। তার বলে বোল্ড হয়ে ফিরলেন ইয়ানসেন। দক্ষিণ আফ্রিকার এখন চাই ১৪ বলে ২১ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকা ১৫৬/৬, ১৭.৪ ওভার
১১:৪১
১৮ বলে চাই ২২
ক্লাসেনের বিদায়ের পর পান্ডিয়ার ওভারেও কোনো ঝুঁকি নেয়নি দক্ষিণ আফ্রিকা।৪ রান তুলেছেন ইয়ানসেনকে নিয়ে। ২২ রান চাই এখন, ১৮ বল আছে হাতে। ১৮তম ওভারে স্পেলে শেষ বারের মতো আক্রমণে আসছেন বুমরাহ।
১১:৩৬
ক্লাসেনকে ফেরালেন পান্ডিয়া
‘টুইস্ট ইন দ্য টেইল’?
অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল ছিল, তাই তাড়া করতে গিয়েছিলেন দারুণ ছন্দে থাকা হাইনরিখ ক্লাসেন। ক্যাচ দিলেন উইকেটের পেছনে থাকা ঋষভ পান্তকে। ২৭ বলে ৫২ করে ফিরলেন ক্লাসেন। দক্ষিণ আফ্রিকার এখন চাই ২৩ বলে ২৬ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকা ১৫১/৫, ১৬.১ ওভার
১১:৩৪
বুমরাহ দিয়ে গেলেন ৪ রান
আগের ওভারে অক্ষর পাটেলকে দুটো করে চার আর ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন হাইনরিখ ক্লাসেন। তবে যশপ্রীত বুমরাহ আসতেই গিয়ার বদলে খোলসে ঢুকে গেলেন ক্লাসেন আর মিলার। এই ওভার থেকে ৩ ডটসহ বুমরাহ দিয়ে গেলেন মোটে ৪ রান। তবে ভারতের এখন উইকেটও চাই! সেটা যে কারোই হোক না কেন!
দক্ষিণ আফ্রিকা ১৫১/৪, ১৬ ওভার
১১:৩১
‘হালাকু খানের’ ফিফটি
ব্যাট হাতে নির্মম রূপের জন্য তাকে রমিজ রাজা ডাকেন ‘হালাকু খান’। কেন ডাকেন, তার প্রমাণটা আইপিএলে দেখিয়েছেন, এবার টি-টোয়েন্টির সবচেয়ে বড় আসরেও দেখালেন। হাইনরিখ ক্লাসেন এবার ফিফটি ছুঁয়ে ফেললেন। ২৩ বলে ফিফটিটা ছুঁলেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকা ১৫০/৪, ১৫.২ ওভার
১১:২৯
‘খেলা শেষ’?
ইনিংসের ১৫তম ওভারের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজনটা ছিল ওভারপ্রতি ৯ করে। অক্ষর পাটেলের করা ওভারটায় হাইনরিখ ক্লাসেন রীতিমতো ডাকাতিই করলেন যেন। দুটো চার আর দুটো ছক্কা। ওভার থেকে এল ২৪ রান। এখন দক্ষিণ আফ্রিকার চাই ৩০ বলে ৩০ রান, ওভারপ্রতি প্রয়োজনীয় রানটা এখন ৬! এক ওভারেই ৩ কমে গেল!
তবে কি ভারতের ‘খেলা শেষ’?
১১:২৫
চার ছক্কায় আড়মোড়া ভাঙছেন মিলার
কুলদীপ যাদব শুরুর চার বলে দিয়েছিলেন ৪ রান। তবে তার ওভারটার শেষ দুই বলে আড়মোড়া ভাঙলেন ডেভিড মিলার। পঞ্চম বলটায় চার মারলেন মিড উইকেট দিয়ে। ওভারটা শেষ করলেন ছক্কা হাঁকিয়ে। ওভার থেকে এল ১৪, ৪ ওভারে উইকেটশূন্য থেকে কুলদীপ দিয়ে গেলেন ৪৫ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকা ১২৩/৪, ১৪ ওভার
১১:২২
ওদিকে ইউরোয়...
বিশ্বকাপ ফাইনাল চলছে, ওদিকে ইউরো ২০২৪ এর নকআউট পর্ব। দ্বিতীয় রাউন্ডের শুরুতেই অঘটনের সমূহ সম্ভাবনা জেগেছে। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইতালির জালে ইতোমধ্যেই দুবার বল জড়িয়ে দিয়েছে সুইজারল্যান্ড। গোল দুটো করেছেন রেমো ফ্রলার আর রুবেন ভারগাস। ৬১ মিনিট হয়ে গেলেও ইতালি জবাব দিতে পারেনি এখনও!
১১:১৯
পাতা ফাঁদে পা দিলেন ডি কক
বাঁহাতি আরশদীপ সিং ওভার দ্য উইকেট থেকে আসছিলেন কুইন্টন ডি ককের। তার লেগ সাইডে রাখা হয়েছিল ৪ জন ফিল্ডার। শর্ট বল দিয়ে স্পষ্ট চ্যালেঞ্জটা ছিল, ‘পারলে মেরে দেখাও!’ প্রথম বলে ফাইন লেগে চার মেরে তার জবাবটাও দিয়েছিলেন।
তবে পরের বলেও একই কাজ করতে গেলেন, এবং সর্বনাশ ডেকে আনলেন। ক্যাচ দিলেন স্কয়ার লেগে থাকা কুলদীপ যাদবের হাতে। ৩১ বলে ৩৯ রান করে ফিরলেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকা ১০৬/৪, ১২.৩ ওভার
১১:১৫
ছক্কা মেরে তিন অঙ্কে দক্ষিণ আফ্রিকাও
অক্ষর পাটেলের ছক্কায় ভারত তিন অঙ্কে পৌঁছেছিল। একই পথ অনুসরণ করল দক্ষিণ আফ্রিকাও। হাইনরিখ ক্লাসেনের ছক্কায় দলটা গিয়ে পৌঁছাল ১০০ রানে।
কুলদীপ যাদবের গুগলিটা তার নাগাল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিল। ব্যাটের মাথা দিয়ে কোনোরকম ছুঁতেই বলটা গিয়ে গুলির বেগে সীমানাছাড়া হলো। ১০০ রান হয়ে গেল দলের।
তবে ভারতের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার পার্থক্যটা হচ্ছে, ভারত তিন অঙ্কে গিয়েছিল ১৪তম ওভারে। প্রোটিয়ারা তিন অঙ্কে পৌঁছে গেছে তার দশ বল আগেই।
দক্ষিণ আফ্রিকা ১০০/৩, ১১.৩ ওভার
১১:১২
১১ থেকে প্রোটিয়াদের ১২
বিরতির ঠিক পর, ১১তম ওভারে রবীন্দ্র জাদেজাকে আক্রমণে এনেছিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তবে তার আস্থার প্রতিদান দিতে পারলেন না জাদেজা। পুরো টুর্নামেন্টে ১ উইকেট পাওয়া জাদেজা আজ প্রথম ওভারে দিলেন ১২ রান। হজম করলেন মাথার ওপর দিয়ে একটা ছক্কাও। হাইনরিখ ক্লাসেনের ওই ছক্কার সঙ্গে একটা ডাবল আর চারটা সিঙ্গেল মিলিয়ে এই রান তুলে ফেলেছে প্রোটিয়ারা।
দক্ষিণ আফ্রিকা ৯৩/৩, ১১ ওভার
১১:০৬
মাঝপথে দক্ষিণ আফ্রিকা ৮১/৩
দশ ওভার শেষ। দশম ওভার থেকে হাইনরিখ ক্লাসেনের এক ছক্কাতে দক্ষিণ আফ্রিকা তুলল ১০ রান। তাতে শেষ দশ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজনটা গিয়ে দাঁড়াল ৯৬ রানে।
১০:৫৯
থিতু স্টাবস উইকেট দিয়ে ফিরলেন অক্ষরকে
অক্ষর উইকেটটা পেলেন, নাকি স্টাবস উইকেটটা বিলিয়ে দিয়ে এলেন তাকে?
বাতাসের অনুকূলে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন প্রথম বলে। সেই বাতাসের অনুকূলে খেলতে শাফল করে স্টাম্প ছেড়ে অনেক এগিয়ে গিয়েছিলেন স্টাবস। অক্ষরের করা উইকেট টু উইকেট বলটা ব্যাটেই ছোঁয়াতে পারলেন না তিনি।বলটা গিয়ে আঘাত হানল স্টাম্পে। থিতু জুটিটা ভেঙে গেল প্রোটিয়াদের। তাতে আবারও পুননির্মান পর্যায়ে চলে যেতে হচ্ছে দলটাকে।
দক্ষিণ আফ্রিকা ৭০/৩, ৮.৫ ওভার
১০:৫৬
চার ছক্কায় ১৩ রানের ওভার
কুলদীপ যাদবের প্রথম বলে চার মেরেছিলেন ত্রিস্তান স্টাবস। শেষ বলে লং অনের ওপর দিয়ে কুইন্টন ডি কক বাতাসের অনুকূলে ব্যাট চালিয়ে হাঁকালেন বিশাল এক ছক্কা। দক্ষিণ আফ্রিকা পেয়ে গেল এখন পর্যন্ত তাদের সবচেয়ে বড় ওভারটা। ১৩ রান এল ওভার থেকে।
দক্ষিণ আফ্রিকা ৬২/২, ৮ ওভার
১০:৫১
পাওয়ারপ্লে শেষে ৩ রানে পিছিয়ে প্রোটিয়ারা
শেষ বলে কুইন্টন ডি কক চার মারলেন। তাতে দক্ষিণ আফ্রিকা পৌঁছে গেল চল্লিশের ঘরে। পাওয়ারপ্লে শেষে দলটা তুলে ফেলল ৪২ রান। এই সময়ে ভারতের রান ছিল ৪৫। প্রোটিয়ারা পিছিয়ে তিন রানে।
উইকেটের দিক থেকে অবশ্য এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাই। প্রোটিয়ারা ২ উইকেট খুইয়েছে এই সময়, আর ভারত খুইয়েছিল ৩ উইকেট।
দক্ষিণ আফ্রিকা ৪২/২, ৬ ওভার
১০:৩৭
রিভিউ হারাল ভারত
আরশদীপের করা লেগ স্টাম্পের বাইরে শর্ট বলটা তাড়া করতে গিয়ে ব্যাটে বলে হলো না কুইন্টন ডি ককের। ঋষভ পান্ত জোরালো আবেদনই করেছিলেন। তা দেখে রিভিউ নিলেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তবে রিভিউতে দেখা গেল ব্যাট আর গ্লাভস দুটোই মিস করে গেছে বলটা। রিভিউ হারাল ভারত।
দক্ষিণ আফ্রিকা ১৩/২, ২.৫ ওভার
১০:৩৪
এবার আরশদীপ! ফেরালেন মার্করামকে
অধিনায়ক হিসেবে টুর্নামেন্টটা দারুণ কেটেছে এইডেন মার্করামের। তবে ব্যাটার হিসেবে তার ‘শেষ’ যে ভালো হলো না, তা আর বলতে। আরশদীপ সিংয়ের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন উইকেটের পেছনে থাকা ঋষভ পান্তের হাতে।
দক্ষিণ আফ্রিকা ১২/২, ২.৩ ওভার
১০:৩০
পান্ডিয়ার ‘বল অফ দ্য ফাইনাল’, সাজঘরে হেনড্রিকস
ফাইনালের ইতিহাসে এমন বল আর দেখেছে কখনও কেউ? যশপ্রীত বুমরাহ দুর্দান্ত এক আউটসুইঙ্গারে বোকা বানালেন রিজা হেনড্রিকসকে। তার বাইরের কোণা এড়িয়ে বলটা গিয়ে ভাঙল অফ স্টাম্প। শুরুতেই বুমরাহ জাদু, ভারতের স্বপ্নের মতো শুরু বৈকি!
দক্ষিণ আফ্রিকা ৭/১, ১.৩ ওভার
১০:২৫
প্রথম ওভার থেকে ৬ রান প্রোটিয়াদের
প্রথম ওভারে আক্রমণে এসেছেন আরশদীপ সিং। তাকে দেখেশুনে খেলে ইনিংস শুরু করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ বলে চার এসেছে রিজা হেনড্রিকসের ব্যাট থেকে। তাতে প্রথম ওভারে রান এল ৬।
১০:০৯
ভারতের পুঁজি ১৭৬
শেষ ওভার থেকে ভারত তুলল ৯ রান। খোয়াল দুই উইকেট। শিবম দুবে আর রবীন্দ্র জাদেজা বিদায় নিয়েছেন সাজঘরে। ভারতের রানটা ১৮০ ছুঁল না তাই। আটকে গেল ১৭৬ তে।
ভারত ১৭৬/৭, ২০ ওভার
১০:০৭
ফাইনালে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ভারতের
আনরিখ নরকিয়ার তৃতীয় বলটাকে সীমানাছাড়া করলেন শিবম দুবে। ভারতের রান পৌঁছে গেল ১৭৪ এ। তাতে একটা রেকর্ড গড়ে ফেলল ভারত। বিশ্বকাপের ফাইনালে সর্বোচ্চ রান এখন তাদের। এর আগে রেকর্ডটা ছিল অস্ট্রেলিয়ার, ২০২১ সালের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৭৩ রান করেছিল দলটা।
১০:০৪
১৭ রানের ওভার
আগের ওভারে ভারত পেয়েছিল ১৬, এবার বিরাট কোহলির উইকেট খোয়ালেও এল ১৭ রান। তাতে ১৮০ রানের আরও কাছাকাছি পৌঁছে গেল ভারত। আর চাই ১৩ রান।
ভারত ১৬৭/৫, ১৯ ওভার
১০:০৩
কোহলিকে ফেরালেন ইয়ানসেন
৪৮ বলে ফিফটি ছুঁয়েছিলেন। তবে বিরাট কোহলি পরের ৯ বলে চড়াও হয়েছেন প্রোটিয়া বোলারদের ওপর। ইনিংসের প্রথম ছক্কার পর আরও এক ছক্কা হাঁকিয়েছেন, সঙ্গে দুটো চারও, ৯ বলে করেছেন ২৬। তবে তার ইনিংসটা থামিয়েছেন মার্কো ইয়ানসেন, তাকে মারতে গিয়ে কোহলি ক্যাচ দিয়েছেন বাউন্ডারি লাইনে থাকা কাগিসো রাবাদার হাতে।
ভারত ১৬৩/৫, ১৮.৫ ওভার
০৯:৫৬
১৮তে ভারতের ১৬
১৮তম ওভারটায় একটা করে ছক্কা আর চার মেরেছেন কোহলি। তার সঙ্গে ওয়াইড আর বেশ কিছু সিঙ্গেল মিলিয়ে ওভার থেকে ১৬ রান পেল ভারত। ক্রিকইনফো জানাচ্ছে দলটার প্রত্যাশিত রান তাতে বেড়ে গেছে ৮! ১৫০ রান ছুঁয়ে ফেলেছে দলটা। দুই ওভারে আরও ৩০ রান তুলতে চাইবে নিশ্চয়ই দলটা!
ভারত ১৫০/৪, ১৮ ওভার
০৯:৫১
১৮তম ওভারে কোহলির প্রথম ছক্কা
আগের ওভারে রাবাদাকে ছক্কা মেরে স্বাগত জানিয়েছিলেন অক্ষর পাটেল। এবার তাকে জানালেন কোহলি। স্লটে বলটা পেয়েই কোহলি বলটা নিয়ে আছড়ে ফেললেন লং অনের ওপর দিয়ে। পেয়ে গেলেন ইনিংসে নিজের প্রথম ছক্কাটা। গিয়ার তবে বদলেই ফেলেছেন কোহলি!
ভারত ১৪০/৪, ১৭.১ ওভার
০৯:৫০
৪৮ বলে কোহলির ফিফটি
ওপাশে উইকেট গেলেও এক পাশ আগলে রাখার দায়িত্বটা ছিল তার কাঁধে। বিরাট কোহলি সেটা ভালোভাবেই পালন করেছেন। শুরুটা অবশ্য করেছিলেন এক ওভারে ৩ চার মেরে, এরপর পুরো ইনিংসে আর চার মেরেছেন একটি, তাও এসেছে চতুর্থ ওভারে। কোহলি ফিফটি করেছেন ৪৮তম বলে।
এবার তো হাত খুলতে হয় কোহলি!
ভারত ১৩৩/৪, ১৬.৫ ওভার
০৯:৪৪
ডেথ ওভারের আগে চাপে ভারত
ভারতের হয়ে রানের চাকাটা সচল রাখার দায়িত্ব ছিল অক্ষর পাটেলের। তার বিদায়ের পরে দায়িত্বটা এসে পড়েছে শিবম দুবের কাঁধে। ওপাশে কোহলি উইকেট ধরে রাখার কাজটা করছেন কোহলি। তবে ডেথ ওভারের ঠিক আগে এসে তাবরেইজ শামসি এসে দিয়ে গেলেন ৮ রান। একটু চাপেই যেন আছে ভারত।
ভারত ১২৬/৪, ১৬ ওভার
০৯:৩৭
ডি ককের ডিরেক্ট হিটে বিদায় অক্ষরের
অক্ষর পাটেলকে পাঁচে পাঠানোর জুয়াটা ভালোভাবেই কাজে দিয়েছিল ভারতের। ৩১ বলে ৪৭ রান করেছিলেন, ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন আরও বড় কিছুর। তবে তার যাত্রা শেষ হলো তার অনেক আগেই।
উইকেটের পেছনে ৪০ গজ দূর থেকে নন স্ট্রাইকার প্রান্তে সরাসরি থ্রোতে স্টাম্প ভাঙলেন কুইন্টন ডি কক। থার্ড আম্পায়ারের রিপ্লেতে দেখা গেল তিনি ক্রিজে ঢোকার আগেই ভেঙেছে স্টাম্প। অক্ষরের ইনিংসের ইতি ঘটল তাতে।
ভারতকেও আবার ‘রিবিল্ড’ প্রক্রিয়ায় ঢুকে যেতে হচ্ছে এখন।
ভারত ১০৭/৪, ১৩.৩ ওভার
০৯:৩২
১৪তম ওভারে তিন অঙ্কে ভারত
আগের দুই ওভারে রাবাদা রান দিয়েছিলেন মোটে ১০। নতুন স্পেলে ফিরতেই তাকে ছক্কা দিয়ে স্বাগত জানালেন অক্ষর পাটেল। সঙ্গে সঙ্গে তিন অঙ্কে পৌঁছে গেল ভারত।
ভারত ১০৪/৩, ১৩.১ ওভার
০৯:১৫
মাঝপথে ভারতের ৭৫
পাওয়ারপ্লেতে তিন উইকেট খোয়ানোর পর থেকে অক্ষর পাটেলকে সঙ্গে নিয়ে বিরাট কোহলি খেলছেন সতর্ক, নিরাপদ ক্রিকেট। তাতে অর্ধেক ইনিংস শেষে ভারতের রান দাঁড়াল ৭৫, উইকেট ওই তিনটিই।
০৮:৫৯
পাওয়ারপ্লে শেষে...
আগুন আর বরফ, ভারতের দুটো রূপই দেখা গেল পাওয়ারপ্লেতে। শুরুর ৮ বলে ২৩ রান। পরের ২৮ বলে এল মোটে ২২ রান। কারণ? ভারতের তিনটা উইকেট যে চলে গেছে! ফলে কোহলিকে চলে যেতে হচ্ছে খোলসে। ৫ বলে ১০ রান করা তিনি এখন অপরাজিত আছেন ১৯ বলে ২৫ রান করে।
ভারত ৪৫/৩, ৬ ওভার
০৮:৫৬
সূর্য হারাল ভারতের আকাশ
বাতাস ওই দিকেই বইছিল। সূর্যকুমার যাদব কাগিসো রাবাদার বলটা ফ্লিক করে পাঠিয়েছিলেন ওই ডিপ স্কয়ার লেগেই, শটটা ঠিকঠাক হয়নি, সোজা গিয়ে পড়ল হাইনরিখ ক্লাসেনের হাতে। রোহিত, পান্তের পর সূর্যকুমার যাদবকেও হারিয়ে বসল ভারত।
আজকের আগ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সূর্যর গড় ছিল আকাশছোঁয়া, ৬৮.৬। ৩৪৩ করেছিলেন দলটার বিপক্ষে। ৪ ফিফটির পাশাপাশি এক সেঞ্চুরিও ছিল, যা এসেছিল আবার সবশেষ ইনিংসে। তবে আজ তিনি ব্যর্থ হলেন পুরোপুরি। ভারত তাতে পড়ল বড় বিপাকে।
ভারত ৩৪/৩, ৪.৩ ওভার
০৮:৪৬
রোহিতের এক বল পর পান্তও নেই!
সুইপ খেলে সর্বনাশ ডেকে এনেছিলেন রোহিত শর্মা। এবার ঋষভ পান্তও হাঁটলেন সে পথে। সুইপ করেছিলেন, লিডিং এজ হয়ে বলটা উঠে গেল ওপরে। গিয়ে জমা পড়ল কুইন্টন ডি ককের হাতে। টিভি আম্পায়ার দেখে জানালেন ব্যাটের গোড়ায় লেগে বলটা উঠেছে ওপরে, আউট! পান্ত ফিরলেন রানের খাতা খোলার আগেই, ৩ বলে ২ উইকেট খুইয়ে ব্যাকফুটে ভারত।
ভারত ২১/২, ১.৬ ওভার
০৮:৪৩
মহারাজের শিকার রোহিত
দারুণ শুরুর পর ভারত প্রথম হোঁচটটা খেল। প্রথম ওভারে ১৫ রানের পর দ্বিতীয় ওভারের শুরুর দুই বলে দুটো চার পেয়ে গিয়েছিল দলটা। এবার রোহিত শর্মা মেরেছিলেন চার দুটো, ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন দারুণ কিছুর।
তবে তাকে ফিরিয়ে সে ইঙ্গিত হাওয়ায় মিলিয়ে দিলেন মহারাজ। তাকে সুইপ করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিলেন রোহিত।
ভারত ২৩/১, ১.৪ ওভার
০৮:৪০
কোহলির আগুনে শুরু, গড়া হলো রেকর্ডও
প্রথম ওভারে মার্কো ইয়ানসেন ওভারপিচড ডেলিভারি করলেন চারটা। প্রথমটা কভার অঞ্চল দিয়ে বেরিয়ে গেল, দ্বিতীয়টা স্কয়ার লেগ দিয়ে বেরিয়ে গেল, তৃতীয়টা থেকে একটা ডাবল বের করলেন কোহলি, এরপর শেষ বলে বলটা ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে সোজা বেরিয়ে তীরের মতো। প্রথম ওভারে ভারত পেল ১৫ রান, কোহলি দুই অঙ্কে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালের শুরুর ওভারে এটাই সর্বোচ্চ রান। আগেরটা কবে ছিল জানেন? ২০০৭ বিশ্বকাপে। ভারত ওই বিশ্বকাপের পুনরাবৃত্তিই চাইবে, তা নিশ্চিত!
০৮:২৬
ভারতের ফাইনালের চাপ সরানোর চেষ্টা?
দুই দল অপরাজিত থেকে এসেছে এবারের ফাইনালে। তাতে ইতিহাসও গড়া হয়ে যাচ্ছে বৈকি! এই ফাইনালের আগে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা জানালেন, লড়াইটা হচ্ছে সেয়ানে সেয়ানেরই।
তবে ভারতের পেছনে আছে দশ বছরের বঞ্চনার ইতিহাস। ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালের পর থেকে এই পর্যন্ত পাঁচটা আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনালে হেরেছে দলটা। আরও একটা ফাইনালের আগে তাই দলকে ফাইনালের চাপ সরানোর টনিক দিলেন রোহিত।
তিনি বললেন, ‘আমাদের কাজ হচ্ছে নিজেদের ভূমিকাটা বুঝা, শান্ত থাকা, সেরা একটা দলের বিপক্ষে একটা আন্তর্জাতিক ম্যাচ, এটা ভেবে খেলা। দক্ষিণ আফ্রিকা বেশ ভালো ক্রিকেট খেলেছে, আমরাও খেলেছি। দুটো দারুণ দলের লড়াই এটা।’
০৮:২০
দক্ষিণ আফ্রিকার কণ্ঠে আফগানিস্তানের সুর!
প্রথম সেমিফাইনালের আগে আফগানিস্তান কোচ জনাথন ট্রট বলেছিলেন, ‘কখনো সেমিফাইনালে খেলিনি, তাই আমাদের ইতিহাস নেই, আর তাতে কোনো দাগও নেই’। এই বলে চাপটা দক্ষিণ আফ্রিকার কাঁধে চাপিয়ে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। তার ফলটা কী হয়েছে, তা আপনি জানেন।
ফাইনালের আগে দক্ষিণ আফ্রিকাও হাঁটছে আফগানিস্তানেরই পথে। জানালেন, কখনো ফাইনাল না খেলায় চাপ নেই তাদের ওপর। বললেন, ‘সময়ে সময়ে আমরা নিজেদের সেরা ছন্দে ছিলাম না। কিন্তু এরপরও আমরা জয়ের রাস্তা খুঁজে বের করেছি। আজকে আমরা একটা নিখুঁত ম্যাচ খেলতে মুখিয়ে আছি। এটা দুর্দান্ত সুযোগ। আমাদের ওপর কোনো চাপই নেই। আমরা ফাইনালেই কখনো খেলিনি। ফাইনালে না খেললে আপনি শিরোপা জিততে পারবেন না।’
০৮:১১
দক্ষিণ আফ্রিকাও অপরিবর্তিত
ভারত তাদের একাদশে কোনো পরিবর্তন আনেনি। এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকাও হেঁটেছে একই পথে। স্কোয়াডে কোনো পরিবর্তন আনেনি দলটা।
দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ: কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক), রিজা হেনড্রিকস, এইডেন মার্করাম (অধিনায়ক), ত্রিস্তান স্টাবস, হাইনরিখ ক্লাসেন, ডেভিড মিলার, মার্কো ইয়ানসেন, কেশব মহারাজ, কাগিসো রাবাদা, আনরিখ নরকিয়া, তাবরেজ শামসি।
০৮:০৯
একাদশে পরিবর্তন নেই ভারতের
সেমিফাইনালের একাদশের ওপরই ভরসা রেখেছে ভারত। কোনো পরিবর্তন আসেনি দলটার ফাইনালের একাদশে।
ভারত একাদশ:
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, ঋষভ পান্ত (উইকেটরক্ষক), সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, শিবম দুবে, অক্ষর প্যাটেল, আরশদীপ সিং, কুলদীপ যাদব, যশপ্রীত বুমরাহ।
০৮:০৬
টস জিতে ব্যাটিংয়ে ভারত
বিশ্বকাপের ফাইনালে টস ভাগ্যটাকে সঙ্গে পেয়েছেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। টস জিতে কোনো দ্বিতীয় ভাবনা ছাড়াই নিয়েছেন ব্যাট করার সিদ্ধান্ত।
০৭:৫৯
স্বাগত
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে মুখোমুখি ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ইতিহাসটা এই দুই দলের জন্যই তিক্ততার। ভারত ২০১৩ সালের পর কোনো ট্রফি জেতেনি। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা এবারই প্রথম এল কোনো বিশ্বকাপের ফাইনালে। ইতিহাস নতুন করে লেখার হাতছানি তাই দুই দলের সামনে।
ইতিহাস আরও একভাবে লেখা হয়ে যাচ্ছে বটে। দুই দলই ফাইনালে এসেছে অপরাজিত থেকে। ফলে যেই জিতবে, অপরাজিত থেকেই শিরোপা তুলবে ঘরে।
এই ফাইনালের ধারাবিবরণী নিয়ে হাজির হয়েছি আমি নেয়ামত উল্লাহ। আপনাদের সবাইকে বিশ্বকাপ ফাইনালের স্পোর্টস বাংলা লাইভে স্বাগতম।