০৩:১১
ফিলিপসের কাছেই হারল বাংলাদেশ!
দুই ইনিংস মিলিয়ে বাংলাদেশ আর নিউজিল্যান্ডের পার্থক্যটা গড়ে দিলেন গ্লেন ফিলিপসই। প্রথম ইনিংসে খেললেন ৭২ বলে ৮৭ রানের একটা কাউন্টার অ্যাটাকিং ইনিংস, সেটাই বাংলাদেশকে নিশ্চিত লিড থেকে বঞ্চিত করে নিউজিল্যান্ডকে পাইয়ে ৮ রানের লিড।
এবার দ্বিতীয় ইনিংসে সেই ফিলিপসই আবারও দেয়াল তুলে দাঁড়ালেন বাংলাদেশের সামনে। ১৩৭ রান তাড়ায় ৬৯ রান তুলতেই ৬ উইকেট খুইয়ে বসে নিউজিল্যান্ড নিশ্চিত হার দেখছিল, সেখান থেকে মিচেল স্যান্টনারকে সঙ্গে নিয়ে গড়লেন ৭০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। সে জুটিই জয় ছিনিয়ে নিল শেষমেশ। বাংলাদেশ হারল এক ফিলিপসের (সঙ্গে স্যান্টনারও) কাছেই। ৪ উইকেটের জয় নিয়ে নিউজিল্যান্ড ১-১ ড্র করল সিরিজটা।
বাংলাদেশ ১৭২/১০ ও ১৪৪/১০
নিউজিল্যান্ড ১৮০/১০ ও ১৩৯/৬
ফল: নিউজিল্যান্ড ৪ উইকেটে জয়ী।
০৩:০১
হায় রিভিউ!
আম্পায়ার আউট দিয়েই দিয়েছিলেন। কিন্তু বাধ সাধল নিউজিল্যান্ডের রিভিউ।
নাঈম হাসানের বলে উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এসে কাট করতে গিয়ে প্যাডে বল লাগে স্যান্টনারের। আম্পায়ার আঙুল তুলে দেন। তবে শেষমেশ রিভিউতে দেখা যায় উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে আসা স্যান্টনারের প্যাডে বলটা লেগেছে স্টাম্প লাইনের বাইরে। কিউইদের দারুণ রিভিউটা হতাশ করে বাংলাদেশকে।
নিউজিল্যান্ড ১১১/৬
০২:৩৬
বাংলাদেশ কি পারবে?
বাংলাদেশের পুঁজি ১৩৬। শেষ ১০০ বছরে এর চেয়ে কম রান ঠেকিয়ে জেতার নজির আছে ৮টি। সবশেষ ২০০০ সালে ৯৯ রানের পুঁজি নিয়েও জিতেছিল উইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। এর চেয়ে কম রান নিয়ে জেতার কীর্তি নেই আর একটিও।
বাংলাদেশের সমান ১৩৬ রানের পুঁজি নিয়ে জেতার কীর্তি আছে শ্রীলঙ্কার। ২০১৭ সালে আবু ধাবিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতেছিল লঙ্কানরা।
আজ বাংলাদেশ পারবে তো? খেলা শুরু হয়েছে চতুর্থ দিনের তৃতীয় সেশনের। জবাবটা আজই মিলবে, তা শতভাগ নিশ্চিত।
০২:১৭
চার উইকেটের দূরত্বে দাঁড়িয়ে চা খেতে গেল বাংলাদেশ
৬৯ রানে ষষ্ঠ উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। জয়ের আশাও বেশ জেগে উঠেছিল। তবে এরপরই মিচেল স্যান্টনার আর গ্লেন ফিলিপস মিলে করলেন পালটা আক্রমণ। পরের ১৯ বলে উঠল ২১ রান। তাতেই ম্যাচে আবারও ফিরে এসেছে নিউজিল্যান্ড।
এখন ম্যাচ জিততে নিউজিল্যান্ডের চাই ৪৭ রান, আর বাংলাদেশের চাই ৪ উইকেট। এমন পরিস্থিতিতে ডাক পড়েছে চা বিরতির। ম্যাচের বাকি রোমাঞ্চটা তোলা রইল শেষ সেশনের জন্যই।
০১:৫৯
এবার ফিলিপস!
আবারও ওই মিচেল-ফিলিপসই? এমন একটা শঙ্কা জেগে উঠছিল।
প্রথম ইনিংসে পঞ্চাশের ঘরে পাঁচ উইকেট খুইয়ে বসা নিউজিল্যান্ডকে কক্ষপথে ফিরিয়েছিলেন ড্যারিল মিচেল আর গ্লেন ফিলিপস মিলে ৪৯ রানের জুটি গড়ে। দ্বিতীয় ইনিংসেও পঞ্চাশের ঘরেই অর্ধেক ইনিংস হাওয়া নিউজিল্যান্ডের। এবারও কি তবে এমন কিছু? দুজন মিলে মনে করাচ্ছিলেন এমনই।
তবে এবার আর অমন কিছু হতে দিলেন না মেহেদি হাসান মিরাজ। তার লেন্থে পড়া বলটাকে রিভার্স সুইপ করতে চেয়েছিলেন মিচেল। গ্লাভসে লেগে বলটা গেল স্লিপে, নিচু ক্যাচটা দারুণভাবে লুফে নিলেন অধিনায়ক শান্ত। তবে আম্পায়ারের মনে ধরল না, মিচেলও ঠায় দাঁড়িয়ে রইলেন ক্রিজে। শেষমেশ রিভিউ নিয়ে তবেই মিলল সফলতা। স্নিকোমিটারে যখন দেখা গেল বলটা লেগেছে গ্লাভসে, শেরে বাংলার দর্শকদের উল্লাস কে দেখে! হবারই কথা, বড় একটা পাথর যে জেঁকে বসার আগে নেমে গেল রীতিমতো কাঁধ থেকে!
বাংলাদেশ ১৭২/১০ ও ১৪৪/১০
নিউজিল্যান্ড ১৮০/১০ ও ৬৯/৬
টার্গেট : ১৩৭
০১:৫৩
অল হ্যাপেনিং হিয়ার!
অল হ্যাপেনিং হিয়ার! একটু পরপর যাচ্ছে উইকেট, আরেকটু স্পষ্ট করে বললে সাড়ে চার ঘণ্টায় ১৩ উইকেট গেল।
সঙ্গে যোগ করুন কোণায় লেগে ফরোয়ার্ড শর্ট লেগ, সিলি পয়েন্ট আর প্রথম-দ্বিতীয় স্লিপে বল উঠে যাওয়াকেও। একটু ধাতস্থ হয়ে বসার সুযোগ কোথায়?
০১:৪১
স্পিনে অন্ধকার দেখছে কিউই ব্যাটাররা
তাইজুল-মিরাজের স্পিনে দিশেহারা কিউই ব্যাটাররা!!
টম ব্লান্ডেলকে প্রতিরোধ গড়ার সুযোগ দিলেন না তাইজুল ইসলাম। তার স্পিনে উইকেট কিপার নুরুল হাসান সোহানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ব্লান্ডেল। এই স্পিনারের টার্ন করা লেংথ ডেলিভারি খেলতে গিয়ে ভুল করেন ব্লান্ডেল। বাড়তি বাউন্স করা বল তার গ্লাভস ছুঁয়ে যায় উইকেটের পেছনে। ২ রানে ফেরেন তিনি।
ঢাকা টেস্টে জিততে বাংলাদেশের চাই ৫ উইকেট। কিউইদের ৮৩ রান।
বাংলাদেশ ১৭২/১০ ও ১৪৪/১০
নিউজিল্যান্ড ১৮০/১০ ও ৫৩/৫
টার্গেট : ১৩৭
০১:২৯
লাথামকে ফিরিয়ে জয় দেখছে বাংলাদেশ
এক পাশে প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন টম লাথাম। অভিজ্ঞ এই ব্যাটারকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে স্বস্তি সেই মেহেদী হাসান মিরাজ। লাথাম ফিরলেন ২৬ রানে। ৪৮ রানে ৪ উইকেট শেষ কিউইদের।
বাংলাদেশ ১৭২/১০ ও ১৪৪/১০
নিউজিল্যান্ড ১৮০/১০ ও ৪৮/৪
টার্গেট : ১৩৭
০১:০৫
মিরাজ ফেরালেন নিকোলসকে
ব্যাটসম্যানদের জন্য রীতিমতো আতঙ্ক হয়ে থাকল মিরপুরের উইকেট। কিছুতেই দাঁড়াতে পারছেন না ব্যাটাররা। এই সুযোগটাই নিচ্ছেন এখন বাংলাদেশের বোলাররা। হেনরি নিকোলসকে সাজঘরের পথ দেখিয়ে দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৩ রানে ফিরলেন এই কিউই। স্ট্যাম্প বরাবর বল ভুল লাইনে খেলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন নিকোলস। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারলেন না তিনি।
সফরকারীদের চাপেই রাখল বাংলাদেশ। ৩৩ রানে শেষ ৩ উইকেট। তাদের আরও চাই ১০৪। বাংলাদেশের ৭ উইকেট।
বাংলাদেশ ১৭২/১০ ও ১৪৪/১০
নিউজিল্যান্ড ১৮০/১০ ও ৩৩/৩
টার্গেট : ১৩৭
১২:৪৭
উইলিয়ামসনকে বিদায় করলেন তাইজুল
বেশ ভালো টার্ন পাচ্ছেন তাইজুল। সে টার্নকে সামলাতে উইলিয়ামসন খেলছিলেন একটু সামনে এগিয়ে, বেরোচ্ছিলেন উইকেট ছেড়ে। তাইজুল কাজে লাগালেন সেটাকেই। তাকে সামনে এনে একটা বল বের করে দিলেন তীক্ষ্ণ বাঁকে। মিস করলেন, স্টাম্পিংয়ের শিকার হলেন উইলিয়ামসন। ১০৪ ইনিংস আর ৯ বছর পর স্টাম্পিংয়ের শিকার হলেন তিনি।
বাংলাদেশ ১৭২/১০ ও ১৪৪/১০
নিউজিল্যান্ড ১৮০/১০ ও ২৪/২
১২:৪০
ল্যাথাম-উইলিয়ামসনের ব্যাটে শেকল ভাঙার গান
এ উইকেটে ব্যাটিংয়ের সেরা অ্যাপ্রোচটা কী, তা গতকাল গ্লেন ফিলিপস দেখিয়ে দিয়ে গেছেন। এরপর খেলোয়াড়, ধারাভাষ্যকাররা তা বার বার বলে গেছেন। বাংলাদেশ ইনিংসটা প্রমাণও দিয়ে গেছে, ভিন্ন পথে হাঁটলে কী হয়।
তবু নিউজিল্যান্ড ইনিংসের শুরু থেকে টম ল্যাথাম, আর দ্বিতীয় উইকেটে নামা কেন উইলিয়ামসন ছিলেন খোলসে ঢুকে। সে শেকলটা প্রথমে ভাঙলেন ল্যাথাম। ইনিংসের সপ্তম ওভারে শরীফুলকে চার মারলেন একটা।
পরের ওভারে উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এসে উইলিয়ামসনও চার পেলেন একটা। সে ফুটওয়ার্কটাই যেন তাইজুলকে ভাবনায় ফেলল একটু, ব্যাটার কি উইকেটেই থাকবে, নাকি ছেড়ে বেরিয়ে আসবে। শর্ট বলটা হয়তো এলো ওই ভাবনা থেকেই। উইলিয়ামসন পেয়ে গেলেন তার দ্বিতীয় চারের দেখা।
বাংলাদেশ ১৭২/১০ ও ১৪৪/১০
নিউজিল্যান্ড ১৮০/১০ ও ২০/১
১২:২০
সেই শরীফুলের হাত ধরেই প্রথম সাফল্য
মধ্যাহ্ন বিরতির আগের ওভারে যে উইকেট পেলেন না, সেটাই বিস্ময়ের। তবে সে আক্ষেপটা দ্বিতীয় সেশনে নিজের প্রথম ওভারেই পুষিয়ে নিলেন শরীফুল ইসলাম। শুরুতেই তুলে নিলেন ডেভন কনওয়েকে।
তার মিডল স্টাম্পে করা বলটা লেন্থে পড়ে আর উঠলই না। কনওয়ের রক্ষণ ভেঙে গেল তাতেই, বলটা লাগল প্যাডে। এবং আউট। বাংলাদেশ পেয়ে গেল মহামূল্য প্রথম উইকেটের দেখা।
বাংলাদেশ ১৭২/১০ ও ১৪৪/১০
নিউজিল্যান্ড ১৮০/১০ ও ৫/১
১১:৩৯
নিরুপদ্রব থেকে বিরতিতে নিউজিল্যান্ড
লক্ষ্যটা বেশি নয়। তবে উইকেটের আচরণ বলছে, কাজটা সহজও নয়। দক্ষিণ প্রান্ত থেকে আক্রমণে আসা শরিফুল ইসলাম তার দ্বিতীয় ওভারে সুইং (নাকি ‘টার্ন’?) করালেন বিশাল, একটা ডেভন কনওয়ে সহ উইকেটের পেছনে থাকা সবাইকে হকচকিয়ে দিয়ে বেরিয়ে গেল অনেক বাইরে দিয়ে। একই লেন্থ থেকে এক বল পরে ডেলিভারিটা ঢুকল ভেতরে।
তবে বাংলাদেশের এমন বোলিংয়ের পরও মধ্যাহ্ন বিরতির আগে নিরুপদ্রবই থেকেছে নিউজিল্যান্ড। রান উঠেছে চারটি, তবে উইকেট খোয়ায়নি একটাও।
বাংলাদেশ ১৭২/১০ ও ১৪৪/১০
নিউজিল্যান্ড ১৮০/১০ ও ৪/০
১১:৩৪
‘উইকেট! উইকেট!!’ ‘বাংলাদেশ! বাংলাদেশ!!’
পুঁজিটা খুব বেশি নয়। মোটে ১৩৭ রানের। এমন পুঁজি নিয়ে জিততে হলে শুরুতে উইকেট চাই। সঙ্গে গ্যালারির সমর্থনটাও। প্রথমটা না পেলেও দ্বিতীয়টা ঠিকই পাচ্ছে স্বাগতিকরা।
প্রথম তিন (কিংবা দুই) দিনে দর্শক না এলেও টেস্টের সম্ভাব্য শেষ দিনে গ্যালারিতে হাজির গোটাপাঁচেক দর্শক। শুরুর ওভারেই গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডে থাকা সমর্থকরা রব তুললেন ‘উইকেট! উইকেট!!’ বলে।
ওপাশে ইস্টার্ন গ্যালারিতে থাকা সমর্থকরাও তাল মেলালেন একটু পর। তবে তাদের স্লোগানটা ভিন্ন, চিরচেনা ‘বাংলাদেশ! বাংলাদেশ!!’ রবে মনোবল বাড়াতে লাগলেন খেলোয়াড়দের।
দ্বাদশ সদস্য তার উপস্থিতি জানান দিয়েছে। এবার মাঠে থাকা এগারো জন তার জবাবটা দিতে পারলেই হয়।
১১:১০
অলআউট বাংলাদেশ, পুঁজি ১৩৬ রানের
নবম ব্যাটার হিসেবে জাকির হাসান যখন ফিরলেন। শরীফুল ইসলাম আর তাইজুল ইসলাম তখন বুঝে গেছেন, টিকে থেকে লাভ নেই আর। দুজন মিলে টিকলেন ১২ বল, তাতেই রান এল ১৬টি। তাইজুল আর শরীফুল দুজনেই রান করলেন আটটি করে। রানগুলো যে মহামূল্য, তা আর বলতে!
তবে জুটির ১২তম বলে এজাজ পাটেলকে উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এসে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন শরিফুল। সঙ্গে সঙ্গে ইনিংসের ইতি ঘটে বাংলাদেশের। পুঁজিটা গিয়ে ঠেকে ১৩৬ রানে।
বাংলাদেশ ১৭২/১০ ও ১৪৪/১০
নিউজিল্যান্ড ১৮০/১০
১১:০৪
বিরল কীর্তি গড়া হলো না জাকিরের
দল অল আউট, কিন্তু ওপেনার একজন রইলেন অপরাজিত। এমন কীর্তির দেখা মেলে কদাচিৎ। শেষ ২৩ বছরে এমন কিছু হয়েছে ১৬ বার, মানে ফি বছর একটারও কম।
বাংলাদেশ ক্রিকেটে এমন কিছু আরও বিরল। এ পর্যন্ত আদ্যন্ত ব্যাট করার কীর্তিটা স্রেফ জাভেদ ওমর বেলিমেরই আছে। ২০০১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওপেন করতে নেমে ৮৫ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। এরপর থেকে আর কারও এই কীর্তি নেই।
আজ জাকির হাসান সেই বিরল কীর্তির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তবে শেষমেশ আর পারলেন না। ইনিংস সর্বোচ্চ ৫৯ রান করে বিদায় নিয়েছেন এজাজ পাটেলের পঞ্চম শিকার বনে। বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে লিডটা গিয়ে দাঁড়াল ১২০ রানের।
বাংলাদেশ ১৭২/১০ ও ১২৮/৯
নিউজিল্যান্ড ১৮০/১০
১০:৫৮
স্রোতের বিপরীতে জাকিরের ফিফটি
ওপেন করতে নেমে ওপাশে সঙ্গীর আসা যাওয়াই দেখেছেন কেবল। জাকির হাসান এবার করে ফেলেছেন ফিফটিও। তার ব্যাটে চড়েই বাংলাদেশ দেখছে লড়াকু পুঁজির স্বপ্ন।
বাংলাদেশ ১১৪/৮
১০:৫৩
কত রানের পুঁজি পাবে বাংলাদেশ?
কত রানের পুঁজি যথেষ্ট হবে? এ প্রশ্নের জবাবে গতকাল বিকেল থেকে নানা মুনি দিয়েছেন নানা মত। নিউজিল্যান্ডের হয়ে গ্লেন ফিলিপস বলে গেছেন, ২০০'র নিচে বাংলাদেশকে আটকে রাখতে পারলে খুব খুশি হবেন।
এরপর নাঈম হাসান বললেন, ২০০-২২০ এর কথা। আজকে সকালে আবার ম্যাচ শুরুর আগে এইচডি অ্যাকারম্যান বললেন, ২৫০ হলে জয় একেবারে অবধারিত।
তবে বাংলাদেশ সকাল থেকে যেমন ব্যাট করেছে, তাতে অত রানের পুঁজি হবে বলে মনেই হচ্ছে না। এমনকি ১৫০ রানের লিডকেও মনে হচ্ছে অনেক দূরের বাতিঘর। যদিও উইকেটের যা পরিস্থিতি, তাতে ১৫০ রানকেও বেশ লড়াকু পুঁজি বলেই মনে হচ্ছে এখন।
১০:৪৯
সাজঘরের পথে নাঈমও
অল আউটের আরও একটু কাছে চলে এসেছে বাংলাদেশ। সকালের সেশনে এ নিয়ে খোয়াল ষষ্ঠ উইকেট। এবার ব্যাটারের নাম নাঈম হাসান।
স্যান্টনারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন দ্বিতীয় স্লিপে। ১৯ বলে ৯ রান করে ফিরছেন তিনি।
বাংলাদেশ ১৭২/১০ ও ১১২/৮
নিউজিল্যান্ড ১৮০/১০
১০:২৭
এবার মিরাজ! এবং সোহানও!
ওপাশ থেকে জাকির হাসান একের পর এক সঙ্গীর আসা যাওয়াই দেখছেন কেবল। এবার মেহেদি হাসান মিরাজও ফিরলেন! দুই বল বিরতি দিয়ে নুরুল হাসান সোহানও। বাংলাদেশের ইনিংস শেষের খুব কাছেই চলে এসেছে।
এজাজ পাটেলের বলে টপ এজড হয়ে মিচেল স্যান্টনারের হাতে ক্যাচ দিয়েছিলেন মিরাজ। এরপর উইকেটে আসা নুরুল হাসান সোহান তার দ্বিতীয় বলেই বিদায় নিতে পারতেন। তবে আম্পায়ারের এলবিডব্লিউর সিদ্ধান্তটাকে চ্যালেঞ্জ করে বসেন তিনি, সে যাত্রায় বেঁচে জান।
তবে তার স্থায়িত্ব বাড়ল মোটে একটা বলই। এজাজ পাটেলের পরের বলটাই তিনি স্কুপ করতে গিয়ে লাইন মিস করে বসেন। এলবিডব্লিউর হওয়ার পর রিভিউ করেছিলেন আবার। এ যাত্রায় আর রক্ষা নেই। বিদায় নিলেন রানের খাতা খোলার আগেই।
বাংলাদেশ ১৭২/১০ ও ৯৭/৭
নিউজিল্যান্ড ১৮০/১০
১০:০৮
দীপুরও বিদায়, অর্ধেক ইনিংস শেষ বাংলাদেশের
এই উইকেটে আক্রমণই সবচেয়ে ভালো রক্ষণ। কথাটা গত দুই দিনে কম শোনা যায়নি। তবে মুশফিকুর রহিম-শাহাদাত হোসেন দীপুরা হয়তো সেটা শোনেননি, বা শুনলেও আমলে নেননি। মুশফিকের পর দীপুরও বিদায় হলো অতি-রক্ষণাত্মক হতে গিয়ে।
স্যান্টনারের আগের বলে দীপু রক্ষা পেয়েছিলেন এজ থেকে বেঁচে গিয়ে। তবে পরের বলে আবারও ঠেকাতে গিয়েই বিপদ ডেকে আনলেন দীপু, বলের লাইনে ব্যাট গেল না, বল গিয়ে আঘাত হানল প্যাডে। ফলাফল, অবধারিত বিদায়। অর্ধেক ইনিংস শেষ বাংলাদেশের। স্কোরবোর্ডে জমা পড়েছে ৮০ রানের লিড।
বাংলাদেশ ১৭২/১০ ও ৮৮/৫
নিউজিল্যান্ড ১৮০/১০
০৯:৫৪
মুশফিকেরও বিদায়
মুমিনুল হক বিদায় নিয়েছেন বেশিক্ষণ হয়নি। এবার মুশফিকুর রহিমও গেলেন। মিচেল স্যান্টনারের খানিকটা ফ্ল্যাট ট্র্যাজেক্টরি থেকে করা বলটায় বাড়তি গতি ছিল। অফ স্টাম্পের একটু বাইরে আসা বলটা ঠেকাবেন, নাকি মারবেন, তা নিয়ে দ্বিধাতেই ছিলেন বোধ হয়। সেটা কাটানোর আগেই বলটা তার ব্যাট ছুঁয়ে গিয়ে জমা পড়ল প্রথম স্লিপে থাকা ড্যারিল মিচেলের হাতে।
বাংলাদেশ ১৭২/১০ ও ৮২/৪
নিউজিল্যান্ড ১৮০/১০
০৯:৪৫
নড়বড়ে মুমিনুলের বিদায়
দিনের শুরু থেকেই মুমিনুল হক ছিলেন বড় নড়বড়ে। রান যা কিছু পেয়েছেন, তার সিংহভাগই ফলস শটে। তাকে থিতু হতে দেয়নি নিউজিল্যান্ড। বলা ভালো, তিনিই থিতু হতে পারেননি।
দিনের সপ্তম ওভারে এজাজ পাটেলের লেন্থ বলটাকে পুল করতে চেয়েছিলেন, বলের লাইন মিস করে গেছেন পুরোপুরি, বল এসে লাগল তার প্যাডে। এলবিডব্লিউ যে হয়েছেন, তখনই বুঝে গেছেন তিনি। এজাজদের আপিলে আঙুল তুলে দেওয়া আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে আর চ্যালেঞ্জও জানালেন না, সরাসরি হাঁটা শুরু করলেন প্যাভিলিয়নের দিকে। দিনের প্রথম আর সব মিলিয়ে তৃতীয় উইকেট খুইয়ে বসল বাংলাদেশ, লিডটা এখন ৬৩ রানের।
বাংলাদেশ ১৭২/১০ ও ৭১/৩
নিউজিল্যান্ড ১৮০/১০
০৯:১৪
হিয়ার উই গো
দুই দল চলে এসেছে মাঠে। জাকির হাসান স্ট্রাইক নিচ্ছেন, ওপাশে নন স্ট্রাইকে আছেন মুমিনুল। দিনের শুরুর ওভারটা করতে বোলিং প্রান্তে চলে এসেছেন এজাজ পাটেল। যথাসময়ে শুরু চতুর্থ দিনের খেলা।
বাংলাদেশ ১৭২/১০ ও ৩৮/২
নিউজিল্যান্ড ১৮০/১০
০৮:৪৯
খেলা তবে হচ্ছে ঠিক সময়েই!
ম্যাচের দ্বিতীয় আর তৃতীয় দিন খেলা শুরুর সময় ছিল ৯টা ১৫ মিনিটে। তবে দুই দিনের এক দিনও সে সময় খেলা শুরু হয়নি, এমনকি পুরো দিনও না, দ্বিতীয় দিন তো পুরো ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতেই!
আজও খেলা শুরুর সময় ওই ৯টা ১৫ মিনিটে। তবে আজ মনে হচ্ছে ঠিক সময় মেনেই খেলা শুরু হবে। উইকেটে কভার নেই, আম্পায়াররা পর্যবেক্ষণ করছেন; একপাশে ধারাভাষ্যকার গ্রান্ট এলিয়ট দাঁড়িয়ে ছিলেন।
উইকেটের অদূরে আউটফিল্ডে দুই দল সারছে গা গরম করার পর্ব... মানে স্বাভাবিক দিনে যা হয় আরকি! আজও তেমন স্বাভাবিক এক দিন। ঠিক সময়ে খেলা না শুরুর কোনো কারণই নেই।